Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিদায়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের উল্লাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিদায়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের উল্লাস

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য সাদেকুল আরেফিনের বিদায়ে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় বিভিন্ন রকমের লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন। 

আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় ক্যাম্পাসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। তারা উপাচার্য সাদিকুল আরেফিনের বিদায়ে আনন্দ উল্লাস করেন। ক্লাস শেষে বের হওয়া প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে তাঁরা মিষ্টিমুখ করান। 

এতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন—ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ইরাজ রব্বানী, মো. সালাউদ্দিন, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মিথুন সিকদার, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম। তারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী অমিত হাসান রক্তিম বলেন, ‘গত ৪ বছরে ভিসি সাদেকুল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে মেরুদণ্ডহীন করেছেন। তাদের ১৭ দফা দাবি বন্ধে হামলার ইন্ধন দিয়েছেন। হামলায় তাদের দুই সহপাঠী পঙ্গু হয়েছে। লেখাপড়া করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে অনেকে ক্যাম্পাস ছাড়া হয়েছে।’ 

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মিথুন সিকদার বলেন, ‘আমরা মনে করি ববিতে শিক্ষার্থী বান্ধব একজন নতুন ভিসি আসবেন। যেখানে থাকবে না সেশনজট, ক্লাস রুম সংকট, হল সংকট, ছাত্র, শিক্ষক বৈষম্য।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘ভিসি ড. সাদেকুলের সময়কালের ৪ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। যা ববি পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। নেতৃত্বের দক্ষতার ঘাটতি থাকায় উন্নয়ন হয়নি।’

প্রসঙ্গত, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. সাদেকুল আরেফিন গত রোববার তাঁর শেষ কর্মদিবসে বরিশাল ছাড়েন। গত ৪ বছরে নানা কারণে তিনি আলোচিত ও সমালোচিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বসতভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় দম্পতিকে পিটিয়ে আহত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলায় বসতভিটা দখলে বাধা দেওয়ায় এক দম্পতিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘ভূমিদস্যুদের’ বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম শহরতলির ভেলাকোপা হানাগড়ের মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত দম্পতি হলেন রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী কাকলি বেগম। তাঁরা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ইয়াকুব আলী (৫০), রিপন মিয়া (৩০) ও লিটন মিয়া (২৫)। তাঁরা এলাকায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে লাঠিসোঁটা নিয়ে রফিকুল ইসলামের বসতভিটা দখলচেষ্টা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আজ সকালে প্রতিপক্ষ ভূমিদস্যুরা আকস্মিক রফিকুলের বসতভিটার জমি ঘিরতে আসে। এতে ওই দম্পতি বাধা দিতে গেলে ইয়াকুব ও তাঁর লোকজন ওই দম্পতির ওপর হামলা চালান। এতে রফিকুল ও তাঁর স্ত্রী দুজনই আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইয়াকুব ও রিপন মিয়ারা আমাদের বসতভিটা জোর করে দখলের চেষ্টা চালায়। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে পেটাতে থাকে। আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে তারা তার ওপরও হামলা চালায়। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী ও রিপন মিয়ার মন্তব্য জানতে তাঁদের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তাঁরা সাড়া দেননি। কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনি, ধানখেতে মিলল লাশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় গরু চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সানোয়ার হোসেন সানু (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার ভোরে সদরের বহুলী ইউনিয়নের চকমোক্তারগাতি এলাকার একটি ধানখেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সানু সদর উপজেলার বহুলীর আলমপুর বাজার এলাকার বাদুল্লা মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে সানোয়ার রায়গঞ্জ উপজেলার নিজামগাতি গ্রামের হাসান আলীর বাড়িতে গরু চুরি করতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফুলজোড় নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে নদী সাঁতরে চকমোক্তারগাতি এলাকায় যান। সেখানে একটি ধানখেতের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই ব্যক্তির নামে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিনি হয়তো গরু চুরি করতে গিয়েছিলেন। তিনি ঢাকায় থাকতেন, মাঝে মাঝে চুরি করতে এলাকায় আসতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের জানিয়েছেন। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

সদর থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) আহসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেয়াদ শেষেও চলছিল মেলা, যৌথ বাহিনীর অভিযানে পণ্ড

কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি 
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলা অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজক কমিটিকে বারবার মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। পরে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁকে সহযোগিতা করেন কাজীপুর সেনাক্যাম্পের সদস্য, থানা-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

জানা গেছে, ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য কাজীপুরের সোনামুখী মেলার অনুমোদন দিয়েছিল সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসন। অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মেলা বন্ধ না করে নিয়মিত মেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকেরা। পরে মেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।

কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মেলা বন্ধ করতে আয়োজক কমিটিকে বারবার বলা হয়েছে, কিন্তু বন্ধ করেনি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় আজকে অভিযান চালিয়ে সব উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী সোনামুখী মেলায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইউএনও আরও বলেন, ‘মেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প ব্যবসায়ীদের পক্ষে তিনজন তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং এমন অপরাধ আর করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। ভোগ্যপণ্যের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে ব্যবসায়ীদের নিজেদের সবকিছু দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা ও অননুমোদিতভাবে মেলা চালিয়ে যাওয়ায় আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য কাজীপুর থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, ‘মেলার আয়োজক কমিটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। তবে তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মেলার সবকিছু সরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের ছাড়া হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাতে পুলিশের অভিযানের পর সকালে মিলল আসামির লাশ

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আবু সাদাদ সায়েম (৫০) নামের এক আসামির লাশ ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামে লাশটি পাওয়া যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের সঙ্গে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সায়েমকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।

মৃত সায়েম ওই এলাকার মোসলেম উদ্দিন বিল্লালের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোজাম্মেল থানায় মামলা করেন। গতকাল রাতে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিকের নেতৃত্বে মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সায়েম ঘর থেকে বের না হলে পুলিশ গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সায়েম পেছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ ভোরে বাড়ির পেছনে ধানখেতে ছেলেকে পড়ে থাকতে দেখতে পান তাঁর বাবা। স্বজনেরা তাঁকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে আমার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর ফলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে থানায় তারা মামলা করে।’

মৃতের ভাই জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘এসআই মানিকের সহযোগিতায় বাদীপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে ধানখেতে ফেলে রেখে যায়। অথচ মামলায় আমাদের গ্রেপ্তার করবে না বলে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয় এসআই মানিক। আমার প্রশ্ন, পুলিশ কীভাবে গ্রিলের তালা ভেঙে গভীর রাতে ঘরে আসতে পারে? আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি আসামি ধরতে যাই, কিন্তু না পেয়ে ফিরে আসি।’ আসামির বাড়িতে কোনো বাদী নিয়ে যাননি বলেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন। এসআই মানিক আরও বলেন, ‘আমার নামে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমাকে তিনি কোনো দিন দেখেনই নাই। তাঁর সঙ্গে কোনো দিন কথা হয় নাই। একটা মানুষ যদি এভাবে মিথ্যা কথা বলে, আমার এখন কী করার আছে।’

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত