মাসুম মাহমুদ
কী মুশকিল! সল্ট ছাড়া ছোট্ট রাইয়ানের কান্না থামছেই না। এখন ওর সল্ট কোথায় পাবে! সেই কখন থেকে মা বলছে ফ্রেঞ্চফ্রাই খাও, এটাতে সল্ট আছে। স্যুপ খাও, এটাতেও সল্ট আছে। কত্তগুলা খাবার রাইয়ানের সামনে। ওর চাচা, ফুপি, দাদি সবাই বুঝিয়ে বলছে, এখানে সবগুলো খাবারেই সল্ট আছে। উঁহু! তাতেও লাভ হচ্ছে না কিছু। রাইয়ানের সল্টই লাগবে। আর কোনো উপায় না পেয়ে ওর বড় চাচ্চু বলল, ‘চকলেট খাবে, রাইয়ান?’ বলে পকেট থেকে মজার একটা চকলেট বের করলেন।
চকলেট চাই না রাইয়ানের।
ফুপি বলল, ‘আইসক্রিম! ওটা তো তোমার অনেক পছন্দ, খাবে?’
আইসক্রিমও চায় না রাইয়ান।
দাদি বললেন, ‘আমার দাদুভাই চকলেট, আইসক্রিম কিচ্ছু খাবে না। ওগুলো খেলে দাঁতে পোকা হয়, তাই না দাদুভাই? চলো আমরা ফ্রায়েড চিকেন খাই, চায়নিজের ফ্রায়েড চিকেন খুব মজার হয়। ওটাতে সল্টও আছে বেশ।’
রাইয়ান কিছুই খাবে না তো খাবেই না। কান্না থামিয়ে এবার ও অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে। কেউ ওকে সল্ট এনে দিচ্ছে না, তাই ওর খুব রাগ হয়েছে। আসলে হয়েছে কী! বিকেলে ওরা ঘুরতে বেরিয়ে জাদুঘর, শিশুপার্ক সব ঘুরেটুরে চায়নিজ খেতে এসেছে। একেবারে ডিনার সেরে বাড়ি ফিরবে তাই। চায়নিজে এসেই গন্ডগোলটা লাগল! খেতে বসে রাইয়ানের বড় ভাই রাফসান বলে, ‘মা, সল্টটা একটু এদিকে দাও তো।’
ব্যস! ভাই সল্ট খাবে, তাই রাইয়ানেরও সল্ট খেতে হবে। সেও বলে, ‘আমিও সল্ট খাব, মা। আমাকেও দাও।’ মা রাফসানের কাছ থেকে সল্টের বাটিটা এনে রাইয়ানের সামনে দেয়। রাইয়ান দেখে—এমা! এটা তো লবণ! মা ভাইয়াকে সল্ট দিয়েছে আর ওকে লবণ! সে জন্য ওর খুব রাগ হয়। সেই থেকে কান্নাকাটির পর্ব শেষ করে এখন চুপটি মেরে বসে আছে। কারও সঙ্গে কথাটি পর্যন্ত বলছে না।
এখন তাহলে উপায়! কী করে রাইয়ানের রাগ ভাঙানো যায়! ভাবতে ভাবতে রাফসানের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। ঝটপট সে উঠে গিয়ে চায়নিজের কিচেন থেকে একটা গাজর নিয়ে আসে। দেখতে টসটসে গাজরটা রাইয়ানের সামনে ধরে বলে, ‘এই নাও রাইয়ান তোমার সল্ট।’
এইবার রাইয়ানের মুখে হাসি। এক হাতে গাজর নিয়ে খুশি খুশি মনে ও অন্য হাতে স্যুপ খেতে শুরু করে। শান্ত রাইয়ানকে খেতে দেখে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। রাফসানের দিকে তাকিয়ে দাদি মিটিমিটি হেসে বলেন, ‘তোর তো দেখি অনেক বুদ্ধিরে রাফসান!’
রাফসানও হেসে দাদিকে বলে, ‘ভাগ্যিস, রাইয়ান এখনো গাজর চেনেনি হা হা হা।’
কী মুশকিল! সল্ট ছাড়া ছোট্ট রাইয়ানের কান্না থামছেই না। এখন ওর সল্ট কোথায় পাবে! সেই কখন থেকে মা বলছে ফ্রেঞ্চফ্রাই খাও, এটাতে সল্ট আছে। স্যুপ খাও, এটাতেও সল্ট আছে। কত্তগুলা খাবার রাইয়ানের সামনে। ওর চাচা, ফুপি, দাদি সবাই বুঝিয়ে বলছে, এখানে সবগুলো খাবারেই সল্ট আছে। উঁহু! তাতেও লাভ হচ্ছে না কিছু। রাইয়ানের সল্টই লাগবে। আর কোনো উপায় না পেয়ে ওর বড় চাচ্চু বলল, ‘চকলেট খাবে, রাইয়ান?’ বলে পকেট থেকে মজার একটা চকলেট বের করলেন।
চকলেট চাই না রাইয়ানের।
ফুপি বলল, ‘আইসক্রিম! ওটা তো তোমার অনেক পছন্দ, খাবে?’
আইসক্রিমও চায় না রাইয়ান।
দাদি বললেন, ‘আমার দাদুভাই চকলেট, আইসক্রিম কিচ্ছু খাবে না। ওগুলো খেলে দাঁতে পোকা হয়, তাই না দাদুভাই? চলো আমরা ফ্রায়েড চিকেন খাই, চায়নিজের ফ্রায়েড চিকেন খুব মজার হয়। ওটাতে সল্টও আছে বেশ।’
রাইয়ান কিছুই খাবে না তো খাবেই না। কান্না থামিয়ে এবার ও অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে। কেউ ওকে সল্ট এনে দিচ্ছে না, তাই ওর খুব রাগ হয়েছে। আসলে হয়েছে কী! বিকেলে ওরা ঘুরতে বেরিয়ে জাদুঘর, শিশুপার্ক সব ঘুরেটুরে চায়নিজ খেতে এসেছে। একেবারে ডিনার সেরে বাড়ি ফিরবে তাই। চায়নিজে এসেই গন্ডগোলটা লাগল! খেতে বসে রাইয়ানের বড় ভাই রাফসান বলে, ‘মা, সল্টটা একটু এদিকে দাও তো।’
ব্যস! ভাই সল্ট খাবে, তাই রাইয়ানেরও সল্ট খেতে হবে। সেও বলে, ‘আমিও সল্ট খাব, মা। আমাকেও দাও।’ মা রাফসানের কাছ থেকে সল্টের বাটিটা এনে রাইয়ানের সামনে দেয়। রাইয়ান দেখে—এমা! এটা তো লবণ! মা ভাইয়াকে সল্ট দিয়েছে আর ওকে লবণ! সে জন্য ওর খুব রাগ হয়। সেই থেকে কান্নাকাটির পর্ব শেষ করে এখন চুপটি মেরে বসে আছে। কারও সঙ্গে কথাটি পর্যন্ত বলছে না।
এখন তাহলে উপায়! কী করে রাইয়ানের রাগ ভাঙানো যায়! ভাবতে ভাবতে রাফসানের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। ঝটপট সে উঠে গিয়ে চায়নিজের কিচেন থেকে একটা গাজর নিয়ে আসে। দেখতে টসটসে গাজরটা রাইয়ানের সামনে ধরে বলে, ‘এই নাও রাইয়ান তোমার সল্ট।’
এইবার রাইয়ানের মুখে হাসি। এক হাতে গাজর নিয়ে খুশি খুশি মনে ও অন্য হাতে স্যুপ খেতে শুরু করে। শান্ত রাইয়ানকে খেতে দেখে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। রাফসানের দিকে তাকিয়ে দাদি মিটিমিটি হেসে বলেন, ‘তোর তো দেখি অনেক বুদ্ধিরে রাফসান!’
রাফসানও হেসে দাদিকে বলে, ‘ভাগ্যিস, রাইয়ান এখনো গাজর চেনেনি হা হা হা।’
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৬ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৭ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৭ দিন আগে