Ajker Patrika

আল-জাজিরার বিশ্লেষণ

মাওবাদী নিধনের আড়ালে ছত্তিশগড়ের খনিজ সম্পদ লুণ্ঠনের আয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
ছত্তিশগড়ের বিজাপুড়ে একটি মাওবাদী ঘাঁটি। ছবি: এএফপি
ছত্তিশগড়ের বিজাপুড়ে একটি মাওবাদী ঘাঁটি। ছবি: এএফপি

ভারতের ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিদ্রোহীদের দমনে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। আদিবাসী অধ্যুষিত খনিজ সমৃদ্ধ এই অঞ্চল থেকে দীর্ঘদিনের সশস্ত্র বিদ্রোহ ‘নির্মূল’ করতে প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে ‘অপারেশন জিরো’ বা ‘কাগার’ নামে চলমান অভিযানে ছত্তিশগড় ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের কারিগাটা পাহাড় কার্যত ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিণত হয়েছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছেন, এই অভিযানে নিরীহ আদিবাসীরা হত্যার শিকার হচ্ছেন।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার উভয়ই পরিচালনা করছে ডানপন্থী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তাদের শাসনামলে নিরাপত্তা অভিযানের নামে হত্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, চলতি বছরে অন্তত ২০১ জন মাওবাদী বিদ্রোহী (যাদের নকশাল নামেও অভিহিত করা হয়) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (২১ মে) নিহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন বিদ্রোহী, যার মধ্যে মাওবাদীদের এক শীর্ষস্থানীয় নেতাও রয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ মাসে আদিবাসী অধ্যুষিত ছত্তিশগড়ে ৪০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন।

তবে মানবাধিকার কর্মীরা এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, নিহতদের অনেকেই নিরীহ আদিবাসী। আন্দোলনকারী ও বিরোধী দলের নেতারা সরকারকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তেমন অগ্রগতি হয়নি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাওবাদী যোদ্ধাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ১১ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। একই সময়ে নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ৬ হাজার ১৬০ জন মাওবাদী যোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ ও মাওবাদী উভয় সূত্র জানিয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের এই কঠোর নীতি কি শান্তি আনতে সাহায্য করবে, নাকি দেশের সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আদিবাসীদের আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলবে?

ভারতে সশস্ত্র বিদ্রোহের সূত্রপাত হয় ১৯৬৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ি গ্রামের একটি অভ্যুত্থান থেকে। এই গ্রাম থেকেই ‘নকশাল’ শব্দের উৎপত্তি। কমিউনিস্ট নেতা কানু সান্যাল, চারু মজুমদার ও জঙ্গল সাঁওতালের নেতৃত্বে এই সশস্ত্র অভ্যুত্থান শুরু হয়। এদের উদ্দেশ্য ছিল, ভূমিহীন দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো এবং জমিদারদের শোষণ থেকে মুক্তি।

এই তিন নেতা মিলেই ১৯৬৯ সালের ২২ এপ্রিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-সিপিআই/লেনিনবাদী-এমএল) প্রতিষ্ঠা করেন, সেময় যাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ পরিচালনা করা। তারা বিশ্বাস করতেন যে, বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাদের দাবি পূরণ হবে না। দরকার সশস্ত্র বিদ্রোহ। নকশাল বিদ্রোহীরা চীনা নেতা মাও সেতুং-এর বিপ্লবী আদর্শ দ্বারাও অনুপ্রাণিত ছিলেন। এই লক্ষ্যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির রাষ্ট্র দখলের কৌশলের অনুকরণে তারা কয়েক দশক ধরে খনিজ সমৃদ্ধ মধ্য ও পূর্ব ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংস বিদ্রোহ চালিয়েছেন।

তবে পরবর্তীতে সিপিআই(এমএল) একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে যায়, যার ২০টিরও বেশি শাখা এখনো বিদ্যমান। মূল সিপিআই(এমএল) নিজেই সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগ করে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে এবং নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ শুরু করে।

এদিকে, ১৯৮০ সালে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধ্র প্রদেশের কোন্ডাপল্লী সীতারামায়া ও কল্লুরি চিরঞ্জীবী প্রতিষ্ঠা করেন পিপলস ওয়ার নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। আরেকটি প্রধান বিচ্ছিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ছিল মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার (এমসিসি), যাদের ঘাঁটি ছিল বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে, এমসিসি এবং সিপিআই(এমএল) পিপলস ওয়ার একীভূত হয়ে ভারতের বৃহত্তম সশস্ত্র মাওবাদী সংগঠন, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদী) গঠন করে।

সংগঠনটির সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও, ওরফে বাসবরাজ, গত বুধবার ছত্তিশগড়ের বস্তারে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। এই স্থানটিই ছিল মাওবাদীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি।

মাওবাদী নেতা কানু সান্যাল, তিনি ২০১০ সালের ২৩ মার্চ মারা যান। ছবি: এপির সৌজন্যে
মাওবাদী নেতা কানু সান্যাল, তিনি ২০১০ সালের ২৩ মার্চ মারা যান। ছবি: এপির সৌজন্যে

বিজেপির লক্ষ্য ‘নকশালমুক্ত ভারত’

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী সরকারের তুলনায় বিজেপি পরিচালিত ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৩ বছরে ১৪১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছিল। তবে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কেবল ২০২৪ সালেই নিরাপত্তা বাহিনী ২২৩ জন সন্দেহভাজন মাওবাদীকে হত্যা করেছে।

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘গত ১৫ মাস ধরে আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা নকশালদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই করছে। এই অভিযান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে ভারতকে নকশালমুক্ত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। এটি একটি নিষ্পত্তিমূলক পর্যায় এবং আমরা দ্রুত সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনী কারিগাটা পাহাড়ে সন্দেহভাজন মাওবাদী আস্তানাগুলো ঘিরে রেখেছে এবং সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে অভিযানে সহায়তা করছে।

গত ১৪ মে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কারিগাটা পাহাড়ে ৩১ জন মাওবাদীকে হত্যার কথা বলেছিলেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে বলেন, ‘আমি আবারও দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছি যে, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত নকশালমুক্ত হবে।’

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানতে পেরেছে, ছত্তিশগড়ে প্রায় ৬৬ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে আধাসামরিক এবং বিশেষ বাহিনীও রয়েছে।

এদিকে, সরকার এসব সামরিক অভিযানে সাফল্য দাবি করলেও, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের (পিইউসিএল) মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ভুয়া এনকাউন্টার বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনেছে।

ছত্তিশগড়ে পিইউসিএলের সভাপতি জুনাস তিরকি বলেছেন, ‘মাওবাদীদের নির্মূল করার অজুহাতে একটি বড় আকারের সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে বস্তারে সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামরিকীকরণ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরীহ আদিবাসীদের ভুয়া এনকাউন্টারে হত্যা করা হচ্ছে।’ পিইউসিএল গত দেড় বছরে অন্তত ১১টি ঘটনাকে ভুয়া এনকাউন্টার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে সরকার পিইউসিএলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বস্তারের পুলিশ মহাপরিদর্শক প্যাট্টিলিঙ্গম সুন্দররাজও এই অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, মাওবাদীরা প্রায়শই স্থানীয়দের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এনকাউন্টারের পর পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে। তবে, অতীতে বস্তারে একাধিক ‘এনকাউন্টার’ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা বিচার পায়নি।

সমস্যার মূলে খনিজ সম্পদ ও আদিবাসীদের বাস্তুচ্যুতি?

নকশালরা দেশের খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলে বন্দুক তোলার কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদের শোষণ, বিশেষ করে বৈশ্বিক করপোরেশনগুলোকে দেওয়া খনিজ লিজ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের বাস্তুচ্যুতিকে তুলে ধরেছেন। হাজার হাজার আদিবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং খনিজ উত্তোলনের কারণে তাদের স্থানীয় পরিবেশ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বস্তারের ৫১টি স্থান খনিজ উত্তোলনের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬টি বেসরকারি সংস্থা। এর মধ্যে কিছু বিদেশি কোম্পানিও আছে। প্রাক্তন বিধায়ক এবং আদিবাসী নেতা মণীশ কুঞ্জাম একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে বলেন, ‘আসল সমস্যা হলো এই অঞ্চলের লৌহ আকরিক।’

ভারতীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের মোট লৌহ আকরিক মজুদের ১৯ শতাংশ ছত্তিশগড়ে, যার বেশির ভাগই বস্তারে অবস্থিত। ছত্তিশগড় ভারতের মোট রেলওয়ে রাজস্বের ১৮ শতাংশ সরবরাহ করে, যার অধিকাংশই আসে খনিজ পরিবহন থেকে।

প্রাক্তন বিধায়ক মণীশ কুঞ্জাম ব্যাখ্যা করেন, ২০০৫ সালে যখন টাটা ও এসার করপোরেশন লৌহ আকরিক উত্তোলনের প্রকল্প শুরু করে, তখন রাজ্য সরকার ‘সালওয়া জুডুম’ (গোন্ডি ভাষায় যার অর্থ শান্তি মার্চ) চালু করে মাওবাদী ভয়ের অজুহাতে ৬৪৪টি গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেয়। এতে অন্তত ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। তবে, আদিবাসীদের শক্তিশালী প্রতিরোধের কারণে কোম্পানিগুলো সরে যেতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, ‘সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার এখন খনিজ অঞ্চলে নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন করেছে, সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে নতুন করে উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তবে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই অবশ্য বিশ্বাস করেন, আদিবাসী অঞ্চলের খনিজ সম্পদ ব্যবহার করা উচিত। তিনি দাবি করেন, ‘খনির কাজ এবং শিল্প কার্যকলাপ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আদিবাসীদের জীবন পরিবর্তিত হবে।’ তিনি গর্ব করে বলেন, ছত্তিশগড় খনিজ উৎপাদক রাজ্য গুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে (ওডিশার পর), যেখান থেকে গত বছর প্রায় ১ হাজার ৪১৯ কোটি রুপি আয় হয়েছে। তাই এ বছর, রাজ্য সরকার বেসরকারি সংস্থা গুলিকে আরও ৪৮টি প্রধান খনিজ ব্লক বরাদ্দ করেছে।

মানবাধিকার কর্মী সোনি সোরি বলেন, ‘সরকার একদিকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেয়, অন্যদিকে বস্তারকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করছে।’ মাওবাদীরা যুদ্ধবিরতি ও প্যারামিলিটারি বাহিনী প্রত্যাহারের শর্তে আলোচনা চায়। সিপিআই (মাওবাদী) মুখপাত্র অভয় বলেন, ‘শান্তি প্রক্রিয়া অর্থহীন যদি হত্যা চলতে থাকে।’ তবে মুখ্যমন্ত্রী সাই বলেন, ‘নকশাল নির্মূল একটি মিশন এবং এতে কোনো নমনীয়তার স্থান নেই।’

তবে খনিজ শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক দারিদ্র্য এবং মৌলিক স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আদিবাসী নেতা নেতাম উল্লেখ করেন, রাজ্যের নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজার জনে প্রায় ৩৮, যেখানে জাতীয় নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজার জনে মাত্র ২৮। তিনি বলেন, বস্তারে দারিদ্র্যের হার ৮০ শতাংশ।

বিরোধী দল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুশীল আনন্দ শুক্লা আল-জাজিরাকে বলেন, ‘আদিবাসীদের জীবনের বিনিময়ে রাজস্ব উপার্জনের ধারণা বিপজ্জনক এবং অসাংবিধানিক।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বস্তারে এখন প্রায় ১ হাজার সশস্ত্র মাওবাদী ও তাদের ১৫ হাজার সহযোগী রয়েছে, যা ২০১১ সালের তুলনায় অনেক কম। ধীরে ধীরে নতুন মাওবাদী সদস্য নিয়োগ, অস্ত্র ও ঘাঁটি কমছে। তবে প্রাক্তন ডিজিপি বিশ্বরঞ্জন বলেন, ‘হিংসার মাধ্যমে মাওবাদী মতাদর্শ পরাজিত করা যাবে না। অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকলে এটি নতুন রূপে ফিরে আসতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা দিল সেনাবাহিনী

নানা গুঞ্জনের মধ্যে ড. ইউনূসের সঙ্গে নাহিদের সাক্ষাৎ

অভ্যুত্থানের পরে সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিবর্গ প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান

ভারতে জাহাজ নির্মাণের জন্য ২১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ

যে কুমির ডেকে আনছেন, তা আপনাদেরকেই খাবে: কাদের ইঙ্গিত করলেন উপদেষ্টা আসিফ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত