আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজার বেইত হানুন শহরে হামাসের সাম্প্রতিক হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হামাসের গেরিলা কৌশলের দক্ষতার প্রমাণ এটি। গত ৭ জুলাই রাতে, ইসরায়েলের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যানবাহনের রুটে হাঁটছিলেন, তখন একটি দূরবর্তী নিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি হামাসের একটি দল হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এই দলটি কাছাকাছিই লুকিয়ে ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।
এই হামলা সংঘটিত হয় গাজার উত্তর-পূর্ব কোণে বেইত হানুন শহরে, যে শহরটি ইসরায়েলের সদেরত শহর থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, হামাস হামলার আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোমাগুলো স্থাপন করেছিল। এই অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা বলতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবেই করেছিল তারা। এই জটিল হামলা হামাসের গেরিলা কৌশলে রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়। যদিও তারা ২১ মাসের যুদ্ধে ক্ষয়প্রাপ্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হারিয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেডস, এই হামলাকে ‘ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত নিরাপদ এলাকায়’ সফল অপারেশন হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা এই যুদ্ধকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবক্ষয়ের যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের অতর্কিত হামলার সময় আটক করে নিয়ে যাওয়া ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ে বেশ দর-কষাকষি করছে। এখন গেরিলা কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে তারা জিম্মি সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
গত বুধবার, খান ইউনিসে হামাস যোদ্ধারা একটি ইসরায়েলি সামরিক প্রকৌশল যানে রকেট-চালিত গ্রেনেড হামলা চালায়। চালক পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর ওপর আক্রমণ করে। হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা সৈন্যটিকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল, তবে ইসরায়েলি বাহিনী তা প্রতিহত করে এবং সৈন্যটি নিহত হয়।
গাজায় চলমান নৃশংস ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার স্পষ্ট বৈপরীত্য দেখা গেছে। ইসরায়েল বেশ দ্রুত ও নিখুঁত অভিযান চালিয়েছে। ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছে। কিন্তু আকাশপথে এবং স্থলভাগে কোনো সেনা হারায়নি ইসরায়েল। অথচ ১২ দিনের ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সমাপ্তির পর থেকে, বেত হানুন-এর আক্রমণসহ গাজায় কমপক্ষে ১৯ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির দিন, দক্ষিণ গাজায় হামাসের একজন যোদ্ধা একটি সাঁজোয়া প্রকৌশল গাড়ির খোলা হ্যাচের ভেতর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে গাড়ির ভেতরে থাকা সাতজন সৈন্যই নিহত হয়। এই আক্রমণটি গাজায় আইডিএফ-এর জন্য গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর অন্যতম।
ইসরায়েলের সাবেক আইডিএফ অপারেশনস ডিরেক্টরেট প্রধান মেজর জেনারেল ইসরায়েল জিভ বলেন, হামাস ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে এবং গাজার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গতে লুকিয়ে থাকছে। তিনি আরও বলেন, হামাস ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া গোলাবারুদ থেকে বিস্ফোরক তৈরি করে সেগুলো দিয়েই এই হামলাগুলো চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের সাবেক আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি জানুয়ারিতে বলেছিলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েল ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তবে হামাস নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করে তাদের শক্তি ও সামর্থ্য পুনরুদ্ধার করছে। গত মার্চে ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্ট, কান নিউজ, জানিয়েছিল, হামাস শত শত নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করেছে।
কাতারের দোহায় চলমান শান্তি আলোচনা সত্ত্বেও, হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মূল বিরোধ নিরসনের কোনো আশা এখনো দেখা যায়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে বলেছেন, হামাসকে গাজায় তাদের সামরিক এবং শাসন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে, তা না হলে আবার যুদ্ধ শুরু হবে। তবে হামাস এই ধরনের শর্ত মানতে কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। আর সাম্প্রতিক হামলাগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারা এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
গাজার বেইত হানুন শহরে হামাসের সাম্প্রতিক হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হামাসের গেরিলা কৌশলের দক্ষতার প্রমাণ এটি। গত ৭ জুলাই রাতে, ইসরায়েলের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যানবাহনের রুটে হাঁটছিলেন, তখন একটি দূরবর্তী নিয়ন্ত্রিত বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি হামাসের একটি দল হালকা অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এই দলটি কাছাকাছিই লুকিয়ে ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।
এই হামলা সংঘটিত হয় গাজার উত্তর-পূর্ব কোণে বেইত হানুন শহরে, যে শহরটি ইসরায়েলের সদেরত শহর থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। এটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, হামাস হামলার আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোমাগুলো স্থাপন করেছিল। এই অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা বলতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবেই করেছিল তারা। এই জটিল হামলা হামাসের গেরিলা কৌশলে রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়। যদিও তারা ২১ মাসের যুদ্ধে ক্ষয়প্রাপ্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হারিয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেডস, এই হামলাকে ‘ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত নিরাপদ এলাকায়’ সফল অপারেশন হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা এই যুদ্ধকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবক্ষয়ের যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের অতর্কিত হামলার সময় আটক করে নিয়ে যাওয়া ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ে বেশ দর-কষাকষি করছে। এখন গেরিলা কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে তারা জিম্মি সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
গত বুধবার, খান ইউনিসে হামাস যোদ্ধারা একটি ইসরায়েলি সামরিক প্রকৌশল যানে রকেট-চালিত গ্রেনেড হামলা চালায়। চালক পালানোর চেষ্টা করলে তাঁর ওপর আক্রমণ করে। হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁরা সৈন্যটিকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল, তবে ইসরায়েলি বাহিনী তা প্রতিহত করে এবং সৈন্যটি নিহত হয়।
গাজায় চলমান নৃশংস ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলার স্পষ্ট বৈপরীত্য দেখা গেছে। ইসরায়েল বেশ দ্রুত ও নিখুঁত অভিযান চালিয়েছে। ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছে। কিন্তু আকাশপথে এবং স্থলভাগে কোনো সেনা হারায়নি ইসরায়েল। অথচ ১২ দিনের ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সমাপ্তির পর থেকে, বেত হানুন-এর আক্রমণসহ গাজায় কমপক্ষে ১৯ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির দিন, দক্ষিণ গাজায় হামাসের একজন যোদ্ধা একটি সাঁজোয়া প্রকৌশল গাড়ির খোলা হ্যাচের ভেতর দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। এতে গাড়ির ভেতরে থাকা সাতজন সৈন্যই নিহত হয়। এই আক্রমণটি গাজায় আইডিএফ-এর জন্য গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর অন্যতম।
ইসরায়েলের সাবেক আইডিএফ অপারেশনস ডিরেক্টরেট প্রধান মেজর জেনারেল ইসরায়েল জিভ বলেন, হামাস ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তারা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে এবং গাজার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গতে লুকিয়ে থাকছে। তিনি আরও বলেন, হামাস ইসরায়েলের ফেলে যাওয়া গোলাবারুদ থেকে বিস্ফোরক তৈরি করে সেগুলো দিয়েই এই হামলাগুলো চালাচ্ছে।
ইসরায়েলের সাবেক আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি জানুয়ারিতে বলেছিলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েল ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তবে হামাস নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করে তাদের শক্তি ও সামর্থ্য পুনরুদ্ধার করছে। গত মার্চে ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্ট, কান নিউজ, জানিয়েছিল, হামাস শত শত নতুন যোদ্ধা নিয়োগ করেছে।
কাতারের দোহায় চলমান শান্তি আলোচনা সত্ত্বেও, হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মূল বিরোধ নিরসনের কোনো আশা এখনো দেখা যায়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরে বলেছেন, হামাসকে গাজায় তাদের সামরিক এবং শাসন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে, তা না হলে আবার যুদ্ধ শুরু হবে। তবে হামাস এই ধরনের শর্ত মানতে কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। আর সাম্প্রতিক হামলাগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারা এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
লাতিন আমেরিকার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা আবারও তুঙ্গে উঠছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আগস্টের শুরুর দিকে অঞ্চলটির মাদকচক্র দমনে সামরিক বিকল্পগুলো খতিয়ে দেখতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের নির্দেশ দেন। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা ওই অঞ্চলের আশপাশের...
২ দিন আগেভেনেজুয়েলার আশপাশে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হলেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটিতে কোনো ধরনের স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। বিশ্লেষক ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তারাও বলছেন, ভেনেজুয়েলায় মার্কিন আক্রমণের কোনো সম্ভাবনা নেই।
৩ দিন আগেভারতের প্রেস ট্রাস্টের বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প শুক্রবার ওভাল অফিসে বলেন, ‘আমি মোদির সঙ্গে সব সময় বন্ধু থাকব...তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। তিনি অসাধারণ। তবে এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক আছে। চিন্তার কিছু নেই। আমাদের মাঝে মাঝে
৪ দিন আগেচীনের স্বাধীনতা দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নতুন ভূরাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে। এই কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের অংশগ্রহণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
৮ দিন আগে