Ajker Patrika

মোহাম্মদপুর-আদাবরে সক্রিয় সন্ত্রাসীদের ১৭টি দল

  • ছিনতাইয়ের ১১টি হটস্পট। গাবতলী স্লুইসগেট থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত চলে ছিনতাই
  • ১৩ মাসে ১৮ খুন। গণপিটুনিতেই নিহত ছয়জন। পিটুনির নামে হত্যার অভিযোগ
  • জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৯ মাসে ১৯ সংঘর্ষ, নিহত ৮ জন
  • পুলিশ বলছে, অপরাধ আগের চেয়ে কমে এসেছে। আরও কমবে বলে আশাবাদ
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা 
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ০৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি-ফ্ল্যাট দখল, মাদক কারবার, অস্ত্রের মহড়া, মারধরসহ বিভিন্ন অপরাধের পেছনে রয়েছে ১৭টি গ্রুপের সন্ত্রাসী-অপরাধীরা। এই গ্রুপগুলোর নেতৃত্বে আছেন ১৭ জন। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এই ১৭ জন চলেন দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর নির্দেশনায়। পুলিশ, র‍্যাব ও যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অপরাধীদের দৌরাত্ম্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা। কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তার জন্য গঠিত টহল দলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য পুলিশের দাবি, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে অপরাধ আগের চেয়ে কমেছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হলেও কিছুদিন পর জামিনে বেরিয়ে এসে আবার অপরাধে জড়াচ্ছে।

মোহাম্মদপুর ও আদাবরে অপরাধ এখন যেন স্বাভাবিক ঘটনা। এ দুই থানায় দিনে ৮-৯টি ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসছে। অবশ্য ঝামেলার ভয়ে বেশির ভাগ ভুক্তভোগীই মামলা করেন না। ছিনতাই হচ্ছে দিনে-রাতে, বিভিন্ন স্পটে। পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ১৩ মাসে খুন হয়েছে ১৮ জন। মাদক কারবারিদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেনেভা ক্যাম্পে ৯ মাসে নিহত হয়েছেন আটজন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে ‘কিশোর গ্যাং’ ও ছিনতাইকারীরা মাঠপর্যায়ে অপরাধ ঘটায়। মাঠের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন ১৭ জন। তাঁরা অপরাধের পুরো নেটওয়ার্ক চালান। তাঁদের চারজন একটি রাজনৈতিক দল ও এর অঙ্গ সংগঠনের পদে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তাঁদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান ওরফে পিচ্চি হেলাল ও ইমনের অনুসারী। তবে তাঁদের মধ্যে পিচ্চি হেলালের অনুসারী বেশি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, এই ১৭ জনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ থেকে ৩০টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। তাঁদের দুজন বর্তমানে কারাগারে, বাকিরা আত্মগোপনে।

দেড় মিনিটে ছিনতাই

বছিলার স্বপ্নধারা হাউজিংয়ের বাসিন্দা শিরিন বেগম জানান, ১ অক্টোবর বিকেলে তিনি একটি সমিতি থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ তুলে মাকে নিয়ে রায়েরবাজার বেড়িবাঁধ হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী ২ নম্বর গেটে কয়েকজন তরুণ তাঁদের কোপ দিয়ে ওই টাকা ও গয়না ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে মাত্র দেড় মিনিটে। আশপাশে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

শিরিন বেগম আরও বলেন, ওই তরুণেরা পথ আটকে প্রথমে নিজেদের মধ্যে পাতানো মারামারি করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনি সেদিনই মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। তবে আসামিরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই ছিনতাইয়ে জড়িত চক্রটি বর্তমানে কারাগারে থাকা এজাজ ওরফে হেজাজের অনুসারী। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এজাজের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে।

গাবতলী স্লুইসগেট থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত চলে ছিনতাই

গাবতলী স্লুইসগেট থেকে হাজারীবাগ পর্যন্ত বেড়িবাঁধের উভয় পাশে ৮টি নতুন হাউজিং ঘিরে ছিনতাইয়ের বিস্তৃতি ঘটেছে। এই হাউজিংগুলো হলো সুনিবিড় হাউজিং, তুরাগ হাউজিং, নবীনগর হাউজিং, ঢাকা উদ্যান (ওয়াকওয়ে), চন্দ্রিমা মডেল টাউন, চাঁদ উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, স্বপ্নধারা ও বছিলা গার্ডেন সিটি। এসব এলাকা থেকে থানা অনেক দূরে। অপরাধীরা ঘটনা ঘটিয়ে কয়েক মিনিটেই পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব হাউজিংয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। আছে ছোট ছোট বস্তি। অপরাধীরা কয়েক দিন পরপর বাসা বদল করে। রয়েছে কয়েক শ ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ। এসব এলাকায় মাদক কারবার, ছিনতাই, জমি ও ফ্ল্যাট দখল নৈমিত্তিক ঘটনা।

সবচেয়ে বেশি ছিনতাই হয় ১১টি স্থানে। এগুলো হলো রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী এলাকা, সোনা মিয়ার টেক, বছিলা ফুটপাত, সুনিবিড় হাউজিংয়ের বেড়িবাঁধ ও বালুর মাঠ, তুরাগ হাউজিংয়ের মসজিদ এলাকা, নবীনগর হাউজিংয়ের ১ থেকে ৪ নম্বর সড়ক, ঢাকা উদ্যান ওয়াকওয়ে, চন্দ্রিমা মডেল টাউনের নদীর তীর, চাঁদ উদ্যানের ভাঙা মসজিদ এলাকা, নবোদয় হাউজিংয়ের বাজারসংলগ্ন এলাকা ও জেনেভা ক্যাম্প।

আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানার তথ্যে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৮-৯টি ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসে। তবে অনেক ভুক্তভোগী মামলা করেন না।

১৩ মাসে ১৮ খুন

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও দারুসসালাম এলাকায় গত ৯ মাসে মাদক কারবারের আধিপত্য, গণপিটুনির নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১৮ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু আদাবর ও মোহাম্মদপুরে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণের বিরোধে পাঁচজন এবং তথাকথিত ‘গণপিটুনিতে’ ছয়জন নিহত হন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে আদাবরে রিপন সরদার (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেনাবাহিনীর অভিযানে ইমন ওরফে দাঁতভাঙা ইমনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘বেলচা মনির’ বাহিনীর নেতৃত্বে আদাবরের ১০ ও ১৭ নম্বর এলাকায় মাদক কারবার চলে। এই দুই দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে রাজুর চাচাতো ভাই রিপন খুন হন।

নিহত রিপনের ছেলে ইমন সরদার দাবি করেন, তাঁর বাবা পেশায় চা-দোকানি। বেলচা মনিরের লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুধু জেনেভা ক্যাম্পে বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিমের গ্রুপের মধ্যে গত ৯ মাসে ১৯ বার সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত হয়েছেন আটজন। এদের মধ্যে সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ ও ডিবি একাধিকবার অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলেও মাদক কারবার এবং সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি।

এ ছাড়া গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বেড়িবাঁধে সাদেক খান আড়তের সামনে পিচ্চি হেলালের অনুসারীরা নাসির ও মুন্না নামে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পিচ্চি হেলালসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মামলা হয়।

‘গণপিটুনির’ নামে হত্যার অভিযোগ

চলতি বছরের ১৫ মে থেকে দারুসসালাম, আদাবর ও মোহাম্মদপুরে গণপিটুনিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব ছিল হত্যা।

১৫ মে ভোরে মোহাম্মদপুরের রাকিব ও মিলন নামে দুই তরুণকে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে ৭-৮ জন মিলে পিটুনি দেয়। রাকিব মারা যান, মিলনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেখানে তখন কোনো ছিনতাই হয়নি।

৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকায় ফাহিম ও ইয়ামিন নামে দুই তরুণকে পেটানো হয়। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ছাত্র ইয়ামিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভিডিও ফুটেজ দেখে একটি কারখানার এক শ্রমিক বলেন, তাঁদের কারখানার কয়েকজন শ্রমিক ওই পিটুনিতে জড়িত ছিলেন। ঘটনার পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান।

ইয়ামিনের বাবা মাহবুব মিয়া বলেন, তাঁর ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল। হঠাৎ তাদের ধরে পেটানো হয়।

১০ সেপ্টেম্বর ভোররাতে নবীনগর হাউজিংয়ের সাঁকোরপাড় এলাকায় চার তরুণকে গণপিটুনির ঘটনায় সুজন ওরফে বাবুল ও হানিফ নামের দুজন নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুজন ও শরীফকে খামার থেকে তুলে এনে এবং হানিফ ও ফয়সালকে হোটেলের সামনে থেকে এনে স্থানীয় টহল দল পেটায়। নিহত দুজন ও মারধরকারীরা একই এলাকার।

নবীনগর হাউজিং, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, ঢাকা উদ্যান ও সুনিবিড় হাউজিংয়ে নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় টহল দল করা হয়েছে। এই দলের সদস্যরা রাতে মোটরসাইকেলে টহল দেন। টহল দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে মারধর ও আটকের অভিযোগ উঠেছে।

নবীনগর হাউজিংয়ের ১২ থেকে ১৬ নম্বর সড়ক পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ১০ জনের একটি টহল দল কাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এদের মধ্যে কেউ কেউ ছিনতাই ও মাদক কারবারে জড়িত।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আক্তার হোসেনের বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বাড়িমালিকেরা এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই কয়েকজনকে নিয়ে তাঁর স্বামী টহলের ব্যবস্থা করেছেন।

চাঁদা না দিলে গুলি

গত ২৪ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুরের শের শাহ সুরি রোডে আবাসন ব্যবসায়ী মনির আহমেদের অফিসে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এর আগে বিদেশি নম্বর থেকে ‘ক্যাপ্টেন’ পরিচয়ে তাঁর কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জাবেদ ও হাসান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। জাবেদের মোবাইলে চাঁদা দাবি করা নম্বরটি ‘দ্য কাউন্ট ডাউন’ নামে সেভ করা ছিল। পুলিশ বলেছে, জাবেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন এই ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন মোড়ল। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করেছিলেন। তবে তদন্তে দেখা গেছে, জাহিদ মোড়ল মূলত পিচ্চি হেলালের অনুসারী। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার দুজনের একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জাহিদ মোড়লের বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

পুলিশ যা বলছে

পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে আগের চেয়ে অপরাধ কমেছে। আগে প্রতি মাসে ২৫০টি মামলা হতো, এখন কমে ১৫০-এ নেমেছে। অপরাধীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে জামিনে বের হয়ে আবার একই অপরাধে জড়াচ্ছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান বলেন, ‘মোহাম্মদপুর অনেক বড় এলাকা। এখানে জেনেভা ক্যাম্প এবং বেশ কিছু বস্তি রয়েছে। এ জন্য কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন অপরাধের গ্রাফ নিচের দিকে। এটা আরও কমে আসবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদপুরে বহিরাগতকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, রামদা নিয়ে কলেজশিক্ষকদের হুমকি

ফরিদপুর প্রতিনিধি
অস্ত্র হাতে যুবক।  ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্র হাতে যুবক। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া কলেজটির সিসি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ দৃশ্য ধরা পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক কলেজে প্রবেশ করে। পেছনে বসা আল সাদের হাতে বড় আকৃতির দেশীয় অস্ত্র, রামদা। এ সময় অনেকে দৌড়ে সরে যায়। এরপর কলেজের মূল ভবনে প্রবেশ করে তারা। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যায়।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার আলফডাঙ্গা পৌরসভার কামারগ্রামে অবস্থিত আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা কলেজে এসে অধ্যক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। পূর্বে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক এবং তাঁর মামা মো. আমিরুল ইসলাম পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকা অপর যুবকের নাম সাদি (২৫)। সে পৌরসভার শ্রীরামপুর এলাকার গফুর খাঁর ছেলে।

বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ এম এম মজিবুর রহমান মুজিবের সঙ্গে। তিনি জানান, ওই যুবকের স্ত্রী ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষা চলাকালে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন কলেজের পিয়ন নাজমুল বাধা দিলেও তা না মেনে কেন্দ্রের ভেতরে আসার চেষ্টা করেন।

অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আমি তাকে বের হওয়ার অনুরোধ করি। তখন সে বলে, আমার স্ত্রী কোথায় বসেছে দেখব এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠে। আমাকে হাত উঁচু করে বলতে থাকে, আমাকে চেনেন, আমি দেখে নেব, থানা পুলিশ দেখতেছি। তখন পরিসংখ্যানের শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস তার হাত ধরে বাধা দিলে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন সেখান থেকে বের হয়ে গিয়ে ২০ মিনিট পর একটি মোটরসাইকেলে রামদা নিয়ে কলেজের ভেতরে ঢুকে ত্রাস সৃষ্টি করে। তখন আমিসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে ইউএনও, ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ আসে। এর আগেই সে চলে যায়।’

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতারা এসে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে ওই যুবক মুচলেকা দিয়েছেন।’

জানা গেছে, এ ঘটনায় আল সাদের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাত বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কলেজটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই যুবককে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাবুগঞ্জে ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিরুদ্ধে বরিশালের বাবুগঞ্জে ঝাড়ুমিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিরুদ্ধে বরিশালের বাবুগঞ্জে ঝাড়ুমিছিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের বিরুদ্ধে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ঝাড়ুমিছিল হয়েছে। দুদিন আগে মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছিলেন ফুয়াদ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বুধবার এ ঝাড়ুমিছিল হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে ‘মীরগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে মিছিলে শতাধিক নারী ঝাড়ু হাতে অংশ নেন। তাঁরা লোহালিয়া গ্রাম থেকে মিছিল শুরু করে মীরগঞ্জ বাজারে যান। সেখানে সমাবেশে করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ বাবুগঞ্জের স্থানীয় জনগণকে চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বিচার হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, গত রোববার বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জে আড়িয়াল খাঁ সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন দুই উপদেষ্টা। অনুষ্ঠান শেষে ফুয়াদ গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক ছদ্মাবরণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। তবে তিনি কোনো দলের নামপরিচয় উল্লেখ করেননি। এরপরই উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাঁকে ধাওয়া দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কিশোরগঞ্জে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে টমটম খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু, আহত ৩

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
ভৈরবে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে টমটম খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভৈরবে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে টমটম খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বেওয়ারিশ কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে টমটমচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার উপজেলার বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলামিন মিয়া (৩৬) জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দি উত্তরকান্দা গ্রামের পণ্ডিত মিয়ার ছেলে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বুধবার সকালে মালবোঝাই টমটম ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি বেওয়ারিশ কুকুর রাস্তার ওপর দিয়ে দৌড়ে আসে। কুকুরটিকে বাঁচাতে টমটমচালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান এবং সেটি খাদে পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।

এতে ঘটনাস্থলে চালক আলামিন মারা যান। এ সময় টমটমে থাকা আরও তিন যাত্রী লাফিয়ে বাঁচতে গিয়ে আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে টমটমচালকের লাশ উদ্ধার করি। ওয়াজ মাহফিলের ডেকোরেশনের মাল নিয়ে যাওয়ার পথে কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে কুকুরকে গাড়িচাপায় হত্যা, ডিসি বাসভবনের প্রহরীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এবার গর্ভবতী কুকুরকে গাড়িচাপায় হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বাসভবনের নিরাপত্তাপ্রহরীসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোস্তফা এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী নাজবীন সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নিতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। অজ্ঞাতনামা দুই আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোড ১৮৬০-এর ৪২৮ তৎসহ ২০১৮-এর ৯৮ ধারায় শাস্তিযোগ্য অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ৪ ডিসেম্বর রাতে নগরীর ডিসি হিলে একটি গর্ভবতী কুকুরকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে নালিশি মামলার আবেদন করেন তোফাইল আহম্মদ (২৭) নামের এক যুবক।

মামলায় দুজন আসামির নাম-পরিচয় অজ্ঞাতনামা হলেও পেশায় একজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যজন গাড়িচালক বলে উল্লেখ করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৪ ডিসেম্বর রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ডিসির বাসভবন থেকে একটি গাড়ি বের হওয়ার সময় নিরাপত্তাপ্রহরী ডিসি হিলের প্রধান ফটকের দরজা খুলে দেয়। ওই সময় ফটকের সামনে একটি গর্ভবতী কুকুর বসা ছিল।

এ সময় চালক গাড়ি চালিয়ে কুকুরটির ওপর দিয়ে চলে যায়। কুকুরটি পিষ্ট হয়েছে বুঝতে পেরেও চালক গাড়ি চালিয়ে চলে যান। এ ছাড়া নিরাপত্তাপ্রহরী কুকুরটিকে দেখতে পেয়েও তাঁকে সরানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি এবং কুকুরটি পিষ্ট হওয়ার পর তাঁকে বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি।

এই ঘটনায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশের পশুপ্রেমীরা সংক্ষুব্ধ হয়েছে। ঘটনার পক্ষে সাক্ষ্য-প্রমাণ, স্থির ও ভিডিও চিত্র রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী তোফাইল আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে সেখান থেকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’

উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে মা কুকুরের অগোচরে আট কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলকালাম ঘটে। পরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নিশি রহমান (৩৮) নামের এক গৃহবধূ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত