ডয়চে ভেলে
বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে তাতে অচিরেই চরম বিপর্যয় দেখা দিতে পারে ৷ চলতি শতকে তীব্র তাপজনিত কারণে শুধু ইরাকেই এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইরাকে কখনো কখনো তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায় ৷ সেই অবস্থায় মানুষ বাঁচে কী করে? কী করে অফিসের কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য করে? খোলুদ আল-আমিরি জানালেন, সেরকম গরমে ইরাকের বেশির ভাগ মানুষ ঘরেই থাকেন, ‘ (তাপমাত্রা যে নাগালের বাইরে চলে যাবে সে বিষয়ে) তথ্য আমরা সাধারণত (রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল) আল ইরাকিয়ার কাছ থেকে আগেই পেয়ে যাই ৷ কখনো কখনো তা ফেসবুকেও দেয়া হয় ৷ তারা আমাদের কাজে না যেতে বলে দেয় ৷ যাদের স্বাস্থ্য খুব নাজুক তাদের বাইরে না যাওয়ার কথাও বলে দেয়া হয় ৷ শুধু তা-ই নয়, আমরা যেন পাখি বা অন্য প্রাণীদের জন্য গাছের নীচে পানি রেখে আসি-সে কথাও বলে দেয়া হয় আমাদের।’
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদকদের বাগদাদভিত্তিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা খোলুদ আল-আমিরি আরো জানান, সরকারের প্রতি বেশি আস্থা অতি অল্প বলে, তীব্র তাবদাহের সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বাঁচার কৌশলটা নিজে নিজেই শিখে নেয় ইরাকের মানুষ৷
বিপর্যয়ের শঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকা
গত মে মাসে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচার সাসটেইন্যাবিলিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ %-এর চেয়ে বেড়ে ভয়াবহ একটা অবস্থায় চলে যেতে পারে ৷ গত এপ্রিলে ব্রিটেনের বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যান্সেট আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ব্যাপক হারে বাড়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের কী অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে একটা সমীক্ষা প্রকাশ করে।
সেখানে বলা হয়, তীব্র তাবদাহের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে দাবদাহজনিত রোগে মৃত্যুহার অনেক বাড়বে ৷ এখন দাবদাহজনিত রোগে ১০০০ জনের মধ্যে যেখানে মাত্র দুই জনের মৃত্যু হয়, তখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১২৩-এ।
দাবদাহ এই হারে বাড়তে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে শুধু ইরাকেই দাবদাহজনিত অসুস্থতায় মারা যাবে এক লাখ ৩৮ হাজারের মতো মানুষ৷
প্রবীণ এবং নগরবাসীদের ঝুঁকি বেশি
ল্যানসেটের সমীক্ষায় বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের ৭০ ভাগের মতো মানুষ বড় বড় শহরে বসবাস শুরু করবে ৷ এর প্রভাবে শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা অনেক বাড়বে ৷ ফলে দাবদাহজনিত কারণে মৃত্যুও বাড়বে ৷ গবেষকরা বলছেন, মৃত্যু বেশি বাড়বে প্রবীণদের মাঝে৷
গবেষকরা আরো বলছেন, চলতি শতকে বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ২ থেকে ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে৷
কিন্তু জাতিসংঘের চিফ হিট অফিসার এলেনি মিরিভিলি বলেন, ‘আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়গুলোর মধ্যে চরম তাপমাত্রা সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠলেও সারা বিশ্বেই বিষয়টিকে অবমূল্যায়ন করা হয় বা খুব কম গুরুত্ব দেয়া হয় ৷ কিন্তু বড় বিপর্যয় এড়াতে হলে সরকারগুলোর উচিত চরম তাবদাহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতি এবং নিজেদের রক্ষার কৌশল নির্ণয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা৷ ’
পরিকল্পনায় কী কী রাখা উচিত সরকারের? এই প্রশ্নের উত্তরটা সবচেয়ে সহজ করে দিয়েছেন আল-আমিরি, ‘ (দাবদাহের সময়ের কথা মাথায় রেখে) আমাদের জরুরি সেবা দেয়ার জন্য ডেডিকেটেড ক্লিনিক গড়তে হবে, আগাম প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য তথ্য সরবারের ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে ৷ এসবের পাশাপাশি প্রচুর গাছ লাগিয়ে সবুজের বিস্তার ঘটাতে হবে৷ ’
তবে ল্যানসেটের গবেষকরা মনে করেন, এসব করলে তাপমাত্রা আশানুরূপ কমবে না৷ তাদের মতে, তাবদাহজনিত মৃত্যুর ৮০ ভাগই হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে আর সেই বিপর্যয় এড়াতে হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির মধ্যে আটকে রাখতে হবে ৷
বৈশ্বিক তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে তাতে অচিরেই চরম বিপর্যয় দেখা দিতে পারে ৷ চলতি শতকে তীব্র তাপজনিত কারণে শুধু ইরাকেই এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইরাকে কখনো কখনো তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে যায় ৷ সেই অবস্থায় মানুষ বাঁচে কী করে? কী করে অফিসের কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য করে? খোলুদ আল-আমিরি জানালেন, সেরকম গরমে ইরাকের বেশির ভাগ মানুষ ঘরেই থাকেন, ‘ (তাপমাত্রা যে নাগালের বাইরে চলে যাবে সে বিষয়ে) তথ্য আমরা সাধারণত (রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেল) আল ইরাকিয়ার কাছ থেকে আগেই পেয়ে যাই ৷ কখনো কখনো তা ফেসবুকেও দেয়া হয় ৷ তারা আমাদের কাজে না যেতে বলে দেয় ৷ যাদের স্বাস্থ্য খুব নাজুক তাদের বাইরে না যাওয়ার কথাও বলে দেয়া হয় ৷ শুধু তা-ই নয়, আমরা যেন পাখি বা অন্য প্রাণীদের জন্য গাছের নীচে পানি রেখে আসি-সে কথাও বলে দেয়া হয় আমাদের।’
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদকদের বাগদাদভিত্তিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা খোলুদ আল-আমিরি আরো জানান, সরকারের প্রতি বেশি আস্থা অতি অল্প বলে, তীব্র তাবদাহের সময় প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বাঁচার কৌশলটা নিজে নিজেই শিখে নেয় ইরাকের মানুষ৷
বিপর্যয়ের শঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকা
গত মে মাসে বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচার সাসটেইন্যাবিলিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ %-এর চেয়ে বেড়ে ভয়াবহ একটা অবস্থায় চলে যেতে পারে ৷ গত এপ্রিলে ব্রিটেনের বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যান্সেট আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ব্যাপক হারে বাড়ার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের কী অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে একটা সমীক্ষা প্রকাশ করে।
সেখানে বলা হয়, তীব্র তাবদাহের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে দাবদাহজনিত রোগে মৃত্যুহার অনেক বাড়বে ৷ এখন দাবদাহজনিত রোগে ১০০০ জনের মধ্যে যেখানে মাত্র দুই জনের মৃত্যু হয়, তখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১২৩-এ।
দাবদাহ এই হারে বাড়তে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে শুধু ইরাকেই দাবদাহজনিত অসুস্থতায় মারা যাবে এক লাখ ৩৮ হাজারের মতো মানুষ৷
প্রবীণ এবং নগরবাসীদের ঝুঁকি বেশি
ল্যানসেটের সমীক্ষায় বলা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের ৭০ ভাগের মতো মানুষ বড় বড় শহরে বসবাস শুরু করবে ৷ এর প্রভাবে শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা অনেক বাড়বে ৷ ফলে দাবদাহজনিত কারণে মৃত্যুও বাড়বে ৷ গবেষকরা বলছেন, মৃত্যু বেশি বাড়বে প্রবীণদের মাঝে৷
গবেষকরা আরো বলছেন, চলতি শতকে বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ২ থেকে ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে৷
কিন্তু জাতিসংঘের চিফ হিট অফিসার এলেনি মিরিভিলি বলেন, ‘আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়গুলোর মধ্যে চরম তাপমাত্রা সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠলেও সারা বিশ্বেই বিষয়টিকে অবমূল্যায়ন করা হয় বা খুব কম গুরুত্ব দেয়া হয় ৷ কিন্তু বড় বিপর্যয় এড়াতে হলে সরকারগুলোর উচিত চরম তাবদাহ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতি এবং নিজেদের রক্ষার কৌশল নির্ণয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা৷ ’
পরিকল্পনায় কী কী রাখা উচিত সরকারের? এই প্রশ্নের উত্তরটা সবচেয়ে সহজ করে দিয়েছেন আল-আমিরি, ‘ (দাবদাহের সময়ের কথা মাথায় রেখে) আমাদের জরুরি সেবা দেয়ার জন্য ডেডিকেটেড ক্লিনিক গড়তে হবে, আগাম প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য তথ্য সরবারের ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে হবে ৷ এসবের পাশাপাশি প্রচুর গাছ লাগিয়ে সবুজের বিস্তার ঘটাতে হবে৷ ’
তবে ল্যানসেটের গবেষকরা মনে করেন, এসব করলে তাপমাত্রা আশানুরূপ কমবে না৷ তাদের মতে, তাবদাহজনিত মৃত্যুর ৮০ ভাগই হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে আর সেই বিপর্যয় এড়াতে হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির মধ্যে আটকে রাখতে হবে ৷
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার ভোর থেকে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ইরানের খামেনিদের শাসনের অবসান ঘটানো। একই কথা বলেছেন, ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের সর্বশেষ শাসক রেজা শাহ পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি।
১৮ মিনিট আগেইরানে হামলা শুরুর সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, দেশটির যে পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে, তা হুমকির। এ জন্য হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ, তবে এটা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য হলো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন। এই হামলার আড়ালে তিনি হয়তো প্রত্যাশা করছেন, এই নজিরবিহীন
৮ ঘণ্টা আগেতৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত। দিন যত যাচ্ছে, এই সংঘাতে দুই পক্ষেরই প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। ইরানে অন্তত ৮০ জন ও ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামানোর উদ্দেশ্যে এটি একটি ‘প্রতিরোধমূলক হামলা’।
১১ ঘণ্টা আগেইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি। যদিও উত্তেজনা অবশ্যম্ভাবী, তবে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।
১২ ঘণ্টা আগে