বিবিসির বিশ্লেষণ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইরানে হামলা শুরুর সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, দেশটির যে পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে, তা হুমকির। এ জন্য হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ, তবে এটা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য হলো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন। এই হামলার আড়ালে তিনি হয়তো প্রত্যাশা করছেন, এই নজিরবিহীন হামলা একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানে হামলা শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহু বিবৃতিতে বলেন, এখন সময় এসেছে ঐতিহ্য ও ইরানি পতাকাতলে জনগণের একত্র হওয়ার। এখন সময় দুষ্ট ও দমনমূলক শাসনব্যবস্থা থেকে নিজের স্বাধীনতা বুঝে নেওয়ার।
ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব, নারীর অধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির অনেকেই অসন্তুষ্ট। ফলে ইসরায়েলের হামলা ইরানের নেতৃত্বের জন্য একটি বাস্তব হুমকি সৃষ্টি করছে। এই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অনেক উচ্চপদস্থ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এখানেই হামলা শেষ করেনি ইসরায়েল। তাদের হামলা এখনো চলমান।
ইসরায়েলের এই হামলার পর শুক্রবার দুপুর থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইরান। ইসরায়েলের বিমান ও সামরিক ঘাঁটিসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় তারা। এতে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ইরানের পাল্টা মিসাইল হামলার পর নেতানিয়াহু হুমকি দেন, ইরানে আরও হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েল ইরানে যে হামলা চালাচ্ছে এর লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন তেহরানের নেতারাও। ইসরায়েল হয়তো হিসাব করছে, এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড শাসনব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং জনবিক্ষোভের পথ খুলে দিতে পারে। অন্তত এটিই নেতানিয়াহুর আশা। কিন্তু এটা অনেকটা বড় জুয়ার মতো। কারণ ইরানে এখনো এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি, এমনকি এখনো স্পষ্ট হয়নি, আসলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইরানের যাঁরা অর্থনীতি ও সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরা মূলত আইআরজিসির এবং বাকিরা কেউ নির্বাচিত হয়ে আসেন না। অর্থাৎ জনগণের ভোটাধিকার ক্ষমতায় তাঁদের এসব চেয়ারে বসায় না। এই ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের জন্য সামরিক অভ্যুত্থানের প্রয়োজন নেই, কারণ তাঁরা ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় আছেন। এ ছাড়া তাঁরা চাইলে দেশকে আরও সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
তবে এবারের হামলার মধ্য দিয়ে আরেকটি ঘটনা ঘটতে পারে। সেটি হলো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পতন এবং এর মাধ্যমে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া। সেটা হলে ৯ কোটি জনসংখ্যার এই দেশ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ফেলবে। ইসরায়েল আশা করছে, ইরানে একটি গণ-আন্দোলন হবে। ফলে তাদের মিত্র একটি পক্ষ ক্ষমতা গ্রহণ করবে। এখানেই প্রশ্নটা আসে, ইরানে ইসরায়েলের সেই মিত্র শক্তি কে?
সম্প্রতি ইরানের রাজনীতি লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, দেশটির বিরোধী শক্তিগুলো বিভক্ত এবং এখানে কোনো সুস্পষ্ট বিকল্প নেই। ২০২২ সালের নারী অধিকার ইস্যুতে ইরানে একটি বড় আন্দোলন হয়েছিল। এরপর ইসলামি প্রজাতন্ত্রবিরোধীরা একটি জোটও গঠন করেছিল। কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ এবং বর্তমান শাসনব্যবস্থা পতনের পর নতুন সরকার কেমন হবে—এসব মতপার্থক্যের কারণে সেই জোট বেশি দিন টেকেনি।
ইসরায়েলের নেতারা হয়তো কয়েকটি গোষ্ঠী বা পছন্দসই ব্যক্তিদের বিকল্প হিসেবে দেখতে পারেন। এর মধ্যে ইরানের সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি হতে পারেন একজন। বর্তমানে তিনি নির্বাসনে আছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে তিনি যোগাযোগও রাখছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তিনি ইসরায়েলেও সফর করেছেন। কিন্তু এখানে একটা গোলমেলে বিষয় আছে। সেটি হলো, তিনি ইরানিদের একাংশের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তবে এই ইরানিদের নিয়ে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মতো বড় এবং দ্রুততম কাজটি করতে পারবেন, এটি পরিষ্কার নয়। অর্থাৎ নেতানিয়াহু একটি বড় জুয়ার বাজি ধরেছেন।
ইরানে হামলা শুরুর সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, দেশটির যে পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে, তা হুমকির। এ জন্য হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ, তবে এটা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য হলো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন। এই হামলার আড়ালে তিনি হয়তো প্রত্যাশা করছেন, এই নজিরবিহীন হামলা একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবে এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পতন হবে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইরানে হামলা শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহু বিবৃতিতে বলেন, এখন সময় এসেছে ঐতিহ্য ও ইরানি পতাকাতলে জনগণের একত্র হওয়ার। এখন সময় দুষ্ট ও দমনমূলক শাসনব্যবস্থা থেকে নিজের স্বাধীনতা বুঝে নেওয়ার।
ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব, নারীর অধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির অনেকেই অসন্তুষ্ট। ফলে ইসরায়েলের হামলা ইরানের নেতৃত্বের জন্য একটি বাস্তব হুমকি সৃষ্টি করছে। এই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অনেক উচ্চপদস্থ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এখানেই হামলা শেষ করেনি ইসরায়েল। তাদের হামলা এখনো চলমান।
ইসরায়েলের এই হামলার পর শুক্রবার দুপুর থেকে পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইরান। ইসরায়েলের বিমান ও সামরিক ঘাঁটিসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায় তারা। এতে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ইরানের পাল্টা মিসাইল হামলার পর নেতানিয়াহু হুমকি দেন, ইরানে আরও হামলা চালানো হবে।
ইসরায়েল ইরানে যে হামলা চালাচ্ছে এর লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন তেহরানের নেতারাও। ইসরায়েল হয়তো হিসাব করছে, এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড শাসনব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং জনবিক্ষোভের পথ খুলে দিতে পারে। অন্তত এটিই নেতানিয়াহুর আশা। কিন্তু এটা অনেকটা বড় জুয়ার মতো। কারণ ইরানে এখনো এমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি, এমনকি এখনো স্পষ্ট হয়নি, আসলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইরানের যাঁরা অর্থনীতি ও সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁরা মূলত আইআরজিসির এবং বাকিরা কেউ নির্বাচিত হয়ে আসেন না। অর্থাৎ জনগণের ভোটাধিকার ক্ষমতায় তাঁদের এসব চেয়ারে বসায় না। এই ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের জন্য সামরিক অভ্যুত্থানের প্রয়োজন নেই, কারণ তাঁরা ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় আছেন। এ ছাড়া তাঁরা চাইলে দেশকে আরও সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারেন।
তবে এবারের হামলার মধ্য দিয়ে আরেকটি ঘটনা ঘটতে পারে। সেটি হলো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পতন এবং এর মাধ্যমে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া। সেটা হলে ৯ কোটি জনসংখ্যার এই দেশ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব ফেলবে। ইসরায়েল আশা করছে, ইরানে একটি গণ-আন্দোলন হবে। ফলে তাদের মিত্র একটি পক্ষ ক্ষমতা গ্রহণ করবে। এখানেই প্রশ্নটা আসে, ইরানে ইসরায়েলের সেই মিত্র শক্তি কে?
সম্প্রতি ইরানের রাজনীতি লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, দেশটির বিরোধী শক্তিগুলো বিভক্ত এবং এখানে কোনো সুস্পষ্ট বিকল্প নেই। ২০২২ সালের নারী অধিকার ইস্যুতে ইরানে একটি বড় আন্দোলন হয়েছিল। এরপর ইসলামি প্রজাতন্ত্রবিরোধীরা একটি জোটও গঠন করেছিল। কিন্তু নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধ এবং বর্তমান শাসনব্যবস্থা পতনের পর নতুন সরকার কেমন হবে—এসব মতপার্থক্যের কারণে সেই জোট বেশি দিন টেকেনি।
ইসরায়েলের নেতারা হয়তো কয়েকটি গোষ্ঠী বা পছন্দসই ব্যক্তিদের বিকল্প হিসেবে দেখতে পারেন। এর মধ্যে ইরানের সাবেক যুবরাজ রেজা পাহলভি হতে পারেন একজন। বর্তমানে তিনি নির্বাসনে আছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তির সঙ্গে তিনি যোগাযোগও রাখছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তিনি ইসরায়েলেও সফর করেছেন। কিন্তু এখানে একটা গোলমেলে বিষয় আছে। সেটি হলো, তিনি ইরানিদের একাংশের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তবে এই ইরানিদের নিয়ে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মতো বড় এবং দ্রুততম কাজটি করতে পারবেন, এটি পরিষ্কার নয়। অর্থাৎ নেতানিয়াহু একটি বড় জুয়ার বাজি ধরেছেন।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার ভোর থেকে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ইরানের খামেনিদের শাসনের অবসান ঘটানো। একই কথা বলেছেন, ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের সর্বশেষ শাসক রেজা শাহ পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি।
২১ মিনিট আগেতৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত। দিন যত যাচ্ছে, এই সংঘাতে দুই পক্ষেরই প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। ইরানে অন্তত ৮০ জন ও ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামানোর উদ্দেশ্যে এটি একটি ‘প্রতিরোধমূলক হামলা’।
১১ ঘণ্টা আগেইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি। যদিও উত্তেজনা অবশ্যম্ভাবী, তবে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।
১২ ঘণ্টা আগেইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের দাবি করা যুবরাজ রেজা পাহলভি দেশটিতে বর্তমান রেজিমের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের আভাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক এই যুবরাজ এই পরিকল্পনার আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইরানিরা বর্তমান ইসলামিক
১৪ ঘণ্টা আগে