হারেৎজের নিবন্ধ
অনলাইন ডেস্ক
ইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি। যদিও উত্তেজনা অবশ্যম্ভাবী, তবে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।
ইসরায়েল ইরানের কতটা ক্ষতি করেছে
প্রথম প্রশ্ন হলো, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কতটা ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতার। এরই মধ্যে জানা গেছে, ইসরায়েল ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করেছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার (যার অধিকাংশই ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল) অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করেছে এবং পরমাণুবিজ্ঞানী ও ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তবে নাতানজের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতির পরিমাণ ও ইসরায়েল ফোরদোর মতো অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছে কি না—তা এখনো স্পষ্ট নয়। ফোরদো মাটির গভীরে অবস্থিত এবং এটিতে আঘাত হানা কঠিন বলে মনে করা হয়। গত শুক্রবার দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ নাতানজের ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতির’ কথা জানিয়েছে।
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপরই নির্ভর করবে ইসরায়েল আগামী কয়েক ঘণ্টা বা দিনে আরও বিমান হামলা চালাবে কি না। নাকি গতকাল শনিবার রাতের হামলাই এই অভিযানের শুরু ও শেষ। পরেরটি হওয়ার সম্ভাবনা কম—ইসরায়েলি সামরিক ব্রিফিং অনুসারে, প্রথম হামলাটি সফল হলেও ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ধ্বংস করার ইসরায়েলের ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনে এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।
ইরান কীভাবে প্রতিশোধ নেবে
দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো—ইরান ঠিক কীভাবে প্রতিশোধ নেবে? ইসরায়েলের প্রাথমিক হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইরান ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি আক্রমণকারী ড্রোন পাঠায়। যার বেশির ভাগই ইসরায়েলি বা জর্ডানের সেনাবাহিনী মাঝপথে প্রতিহত করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এটি ইরানি প্রতিক্রিয়ার সম্পূর্ণ চিত্র নাও হতে পারে। এই হামলার পর ইরানের তরফ থেকে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে কি না, তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য এরই মধ্যে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, ইরান ‘কাগুজে বাঘ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ভয়ে অক্টোবরে ইসরায়েলের আগের হামলার পর তাদের প্রতিক্রিয়ার চেয়ে অনেক বেশি জোরালোভাবে জবাব দেবে। তখন ইরান তিন শতাধিক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েল সেই হামলার বেশির ভাগই ঠেকানোর দাবি করলেও এতে ইসরায়েলে অন্তত ৪ কোটি ডলারের সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছিল।
কিন্তু এমন পদক্ষেপ ইরানের জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি ডেকে আনবে। বিশেষ করে, যদি ইসরায়েল এখনো তাদের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যথেষ্ট ক্ষতি করতে না পারে।
যুক্তরাষ্ট্র কতটা সম্পৃক্ত হবে
তৃতীয় প্রশ্নটি হলো—ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা। তেহরানে বিস্ফোরণ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ও আশা নিয়ে কথা বলছিলেন। ইরানিদের কাছে, সেই কথাগুলো এখন ইসরায়েলি ও মার্কিনদের যৌথভাবে সাজানো একটি ফাঁদ বলে মনে হচ্ছে এবং এই প্রশাসনের সঙ্গে তাদের আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ইরান আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নির্ধারিত পারমাণবিক আলোচনা থেকে সরে এসেছে বলে জানা গেছে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রাতারাতি বিবৃতিতে যেমনটি বলেন—যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি হামলায় জড়িত ছিল না, নাকি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে যেমনটি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রুবিওর এই অবস্থান ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কৌশলের অংশ—তা এখনো একটি অমীমাংসিত প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর ইরানের প্রতিক্রিয়া ও ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত অনুমান করা কঠিন।
যদি ইরানিরা—সঠিক হোক বা না হোক—এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এটি একটি যৌথ ইসরায়েলি-মার্কিন প্রচেষ্টা ছিল, তবে তাঁরা সম্ভবত তাঁদের প্রতিশোধের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে মার্কিন স্থাপনা ও ইসরায়েল ছাড়া অন্য মার্কিন মিত্রদের ওপর হামলা চালাবে। অন্যদিকে যদি তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, এটি ইসরায়েলের একক পদক্ষেপ ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, তবে তাঁরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া ইসরায়েলের ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততাকে প্রাথমিক হামলায় অংশগ্রহণ হিসেবে ধরা নাও হতে পারে। ইরান যুক্তি দিতে পারে যে, ট্রাম্পের ইসরায়েলকে এই হামলা চালানো থেকে থামানোর ক্ষমতা ছিল, কিন্তু তিনি তা করেননি। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ইরানের প্রতিশোধ ঠেকাতে সাহায্য করবে, যা তেহরান কর্তৃক ইসরায়েলের যুদ্ধের কার্যত সমর্থন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
তবে ইরান এই উপসংহারকে বাস্তবে রূপ দিলে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়েই তা করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ট্রাম্প ও ইসরায়েলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করা। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালালে অন্তত স্বল্প মেয়াদে এর বিপরীত ফল হবে।
গাজা ও ইসরায়েলি জিম্মিদের ভবিষ্যৎ কী
এবং সবশেষে একটি চূড়ান্ত ও সম্পূরক প্রশ্ন—এসব ঘটনাপ্রবাহ গাজার পরিস্থিতিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে। গাজায় ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে ৫৩ ইসরায়েলি জিম্মি এখনো বন্দী। যাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের ওপর হামলার পর কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তা দ্রুত গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করে দাবি করেছেন যে, এতে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সহজ হবে, কারণ ইরানের হুমকি ইসরায়েলের ওপর থেকে সরে গেলে হামাস নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করবে।
কিন্তু এর বিপরীতটিও ঘটতে পারে—মার্কিন-ইসরায়েলি প্রতারণা মনে হওয়ায় হামাস ট্রাম্প ও তাঁর বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফের ওপর যেটুকু বিশ্বাস ছিল, সেটুকুই হারাতে পারে। যদি এমনটি হয়, তবে গাজার অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হবে এবং জিম্মিরা অবিরাম দুর্ভোগ পোহাতে থাকবেন।
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
ইরানে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে এসেছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের ওপরই নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি। যদিও উত্তেজনা অবশ্যম্ভাবী, তবে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।
ইসরায়েল ইরানের কতটা ক্ষতি করেছে
প্রথম প্রশ্ন হলো, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কতটা ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে তাদের পারমাণবিক সক্ষমতার। এরই মধ্যে জানা গেছে, ইসরায়েল ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে হত্যা করেছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার (যার অধিকাংশই ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল) অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করেছে এবং পরমাণুবিজ্ঞানী ও ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তবে নাতানজের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতির পরিমাণ ও ইসরায়েল ফোরদোর মতো অন্যান্য পারমাণবিক কেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরেছে কি না—তা এখনো স্পষ্ট নয়। ফোরদো মাটির গভীরে অবস্থিত এবং এটিতে আঘাত হানা কঠিন বলে মনে করা হয়। গত শুক্রবার দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ নাতানজের ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষতির’ কথা জানিয়েছে।
এই প্রশ্নের উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপরই নির্ভর করবে ইসরায়েল আগামী কয়েক ঘণ্টা বা দিনে আরও বিমান হামলা চালাবে কি না। নাকি গতকাল শনিবার রাতের হামলাই এই অভিযানের শুরু ও শেষ। পরেরটি হওয়ার সম্ভাবনা কম—ইসরায়েলি সামরিক ব্রিফিং অনুসারে, প্রথম হামলাটি সফল হলেও ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ধ্বংস করার ইসরায়েলের ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনে এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে।
ইরান কীভাবে প্রতিশোধ নেবে
দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো—ইরান ঠিক কীভাবে প্রতিশোধ নেবে? ইসরায়েলের প্রাথমিক হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইরান ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি আক্রমণকারী ড্রোন পাঠায়। যার বেশির ভাগই ইসরায়েলি বা জর্ডানের সেনাবাহিনী মাঝপথে প্রতিহত করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এটি ইরানি প্রতিক্রিয়ার সম্পূর্ণ চিত্র নাও হতে পারে। এই হামলার পর ইরানের তরফ থেকে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে কি না, তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য এরই মধ্যে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের বেশির ভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, ইরান ‘কাগুজে বাঘ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার ভয়ে অক্টোবরে ইসরায়েলের আগের হামলার পর তাদের প্রতিক্রিয়ার চেয়ে অনেক বেশি জোরালোভাবে জবাব দেবে। তখন ইরান তিন শতাধিক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। ইসরায়েল সেই হামলার বেশির ভাগই ঠেকানোর দাবি করলেও এতে ইসরায়েলে অন্তত ৪ কোটি ডলারের সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছিল।
কিন্তু এমন পদক্ষেপ ইরানের জন্যও বড় ধরনের ঝুঁকি ডেকে আনবে। বিশেষ করে, যদি ইসরায়েল এখনো তাদের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যথেষ্ট ক্ষতি করতে না পারে।
যুক্তরাষ্ট্র কতটা সম্পৃক্ত হবে
তৃতীয় প্রশ্নটি হলো—ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা। তেহরানে বিস্ফোরণ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ও আশা নিয়ে কথা বলছিলেন। ইরানিদের কাছে, সেই কথাগুলো এখন ইসরায়েলি ও মার্কিনদের যৌথভাবে সাজানো একটি ফাঁদ বলে মনে হচ্ছে এবং এই প্রশাসনের সঙ্গে তাদের আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ইরান আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নির্ধারিত পারমাণবিক আলোচনা থেকে সরে এসেছে বলে জানা গেছে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রাতারাতি বিবৃতিতে যেমনটি বলেন—যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি হামলায় জড়িত ছিল না, নাকি ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে যেমনটি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রুবিওর এই অবস্থান ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কৌশলের অংশ—তা এখনো একটি অমীমাংসিত প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর ইরানের প্রতিক্রিয়া ও ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপকে এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত অনুমান করা কঠিন।
যদি ইরানিরা—সঠিক হোক বা না হোক—এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, এটি একটি যৌথ ইসরায়েলি-মার্কিন প্রচেষ্টা ছিল, তবে তাঁরা সম্ভবত তাঁদের প্রতিশোধের অংশ হিসেবে এই অঞ্চলে মার্কিন স্থাপনা ও ইসরায়েল ছাড়া অন্য মার্কিন মিত্রদের ওপর হামলা চালাবে। অন্যদিকে যদি তাঁরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, এটি ইসরায়েলের একক পদক্ষেপ ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, তবে তাঁরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া ইসরায়েলের ভেতরের লক্ষ্যবস্তুতেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততাকে প্রাথমিক হামলায় অংশগ্রহণ হিসেবে ধরা নাও হতে পারে। ইরান যুক্তি দিতে পারে যে, ট্রাম্পের ইসরায়েলকে এই হামলা চালানো থেকে থামানোর ক্ষমতা ছিল, কিন্তু তিনি তা করেননি। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ইরানের প্রতিশোধ ঠেকাতে সাহায্য করবে, যা তেহরান কর্তৃক ইসরায়েলের যুদ্ধের কার্যত সমর্থন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
তবে ইরান এই উপসংহারকে বাস্তবে রূপ দিলে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়েই তা করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ট্রাম্প ও ইসরায়েলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করা। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালালে অন্তত স্বল্প মেয়াদে এর বিপরীত ফল হবে।
গাজা ও ইসরায়েলি জিম্মিদের ভবিষ্যৎ কী
এবং সবশেষে একটি চূড়ান্ত ও সম্পূরক প্রশ্ন—এসব ঘটনাপ্রবাহ গাজার পরিস্থিতিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে। গাজায় ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে ৫৩ ইসরায়েলি জিম্মি এখনো বন্দী। যাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের ওপর হামলার পর কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তা দ্রুত গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করে দাবি করেছেন যে, এতে হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সহজ হবে, কারণ ইরানের হুমকি ইসরায়েলের ওপর থেকে সরে গেলে হামাস নিজেদের বিচ্ছিন্ন মনে করবে।
কিন্তু এর বিপরীতটিও ঘটতে পারে—মার্কিন-ইসরায়েলি প্রতারণা মনে হওয়ায় হামাস ট্রাম্প ও তাঁর বিশেষ দূত স্টিভেন উইটকফের ওপর যেটুকু বিশ্বাস ছিল, সেটুকুই হারাতে পারে। যদি এমনটি হয়, তবে গাজার অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হবে এবং জিম্মিরা অবিরাম দুর্ভোগ পোহাতে থাকবেন।
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করার ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার ভোর থেকে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য ইরানের খামেনিদের শাসনের অবসান ঘটানো। একই কথা বলেছেন, ইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের সর্বশেষ শাসক রেজা শাহ পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি।
২৫ মিনিট আগেইরানে হামলা শুরুর সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, দেশটির যে পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে, তা হুমকির। এ জন্য হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ, তবে এটা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য হলো, ইরানের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন। এই হামলার আড়ালে তিনি হয়তো প্রত্যাশা করছেন, এই নজিরবিহীন
৯ ঘণ্টা আগেতৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত। দিন যত যাচ্ছে, এই সংঘাতে দুই পক্ষেরই প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। ইরানে অন্তত ৮০ জন ও ইসরায়েলে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামানোর উদ্দেশ্যে এটি একটি ‘প্রতিরোধমূলক হামলা’।
১২ ঘণ্টা আগেইরানে পতিত পাহলভি রাজবংশের দাবি করা যুবরাজ রেজা পাহলভি দেশটিতে বর্তমান রেজিমের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের আভাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক এই যুবরাজ এই পরিকল্পনার আভাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর ইরানিরা বর্তমান ইসলামিক
১৪ ঘণ্টা আগে