রুশ সৈন্য ও মিত্র যোদ্ধারা গত শনিবার লিসিশানস্ক দখলে নেয়। বিশ্লেষকেরা লুহানস্কের যুদ্ধকে ইউরোপের যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বলছেন। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন থেকে একাংশের বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া লুহানস্ক সম্পূর্ণভাবে রাশিয়া এবং তার মিত্র বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে।
রুশ সৈন্যদের এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত ভ্লাদিমির পুতিন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন রুশ সৈন্যদের এই অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তাদের এখন বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। এখন অন্য ইউনিটগুলো লড়াই চালিয়ে যাবে।’
সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার এই অগ্রগতি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক–বদল। কেবল কৌশলগত গুরুত্বের জন্যই নয় বরং এই যুদ্ধে যেসব শহর ধ্বংস হয়েছে, দুই পক্ষেরই সক্ষমতার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কারণেও এই যুদ্ধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লন্ডনভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের গবেষক নীল মেলভিন লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার চিত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই জয় বিশাল মূল্য চুকিয়ে রাশিয়ার পাওয়া একটি কৌশলগত বিজয়।’
নীল মেলভিন আরও বলেন, ‘এই জয়ের জন্য ৬০ দিন সময় লেগেছে যা খুবই ধীর অগ্রগতি নির্দেশ করে। আমি মনে করি, রাশিয়া এ ক্ষেত্রে হয়তো নিজেদের বিজয়ী বলে ঘোষণা করতে পারে কিন্তু মূল যুদ্ধ এখনো আসেনি।’ তবে মস্কোর আশা, এই জয় রাশিয়ার সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে আরও বেশি মনোবল জোগাবে। দোনেৎস্ক জয়ে আরও বেশি উৎসাহী করবে।
লুহানস্কের ইউক্রেনীয় গভর্নর সেরহি গাইদাইও স্বীকার করছেন, এই জয় রাশিয়াকে সমগ্র দনবাসের নিয়ন্ত্রণ দখলে আরও অনেকখানি এগিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ‘এই জয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ কার্যকরভাবে রাশিয়ার হাতে চলে গেছে।’ তবে ইউক্রেন লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও হতাশ নয় জানিয়ে গাইদাই বলেছেন, ‘কেবল লিসিশানস্ক জয় করাই নয়, আমাদের পুরো যুদ্ধটাই জিততে হবে। আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও আমরা এখনো হেরে যাইনি।’
তবে রাশিয়া এই জয়কে বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করলেও ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা সেরহি গাইদাইয়ের সুরেই কথা বলছে। তাঁরাও বলছেন, রাশিয়া লুহানস্কের যুদ্ধ জিতলেও আগামী দিনে আরও কঠিন পরিস্থিতি পাড়ি দিতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় আরও বহুদূর।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক রব লি বলছেন, ‘এই জয়ের ফলে পুতিন হয়তো দাবি করতে পারেন তিনি একটা কিছু অর্জন করেছেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, ইউক্রেন খুব দ্রুত হার মানবে।’
তবে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপপ্রধান ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ইউক্রেন যুদ্ধে রক্তপাতের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেন ‘মাথা খারাপ’ পশ্চিমা নেতাদের—যাদের চোখে অন্যের রক্তপাত ধরা পড়ে না—কথায় উৎসাহিত হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নেতারা ‘কোকেনের নেশায় বুঁদ’ হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন!
তবে যুদ্ধ কোন দিকে, কোন পথে যাবে, কীভাবে নিষ্পত্তি হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দনবাসেই আরও দীর্ঘ লড়াই অপেক্ষা করছে। নীল মেলভিন বলছেন, আগামী দিনের লড়াই পূর্বাঞ্চলে নয়— যেখানে রাশিয়া এখন আক্রমণ চালাচ্ছে। মূল যুদ্ধ হবে দক্ষিণে যা এরই মধ্যে রাশিয়া জয় করে এসেছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় সেনারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার জন্য পাল্টা লড়াই শুরু করেছে। এরই মধ্যে খেরসনের আশপাশে কিছুটা অগ্রসর হয়েছে। যুদ্ধটা আরও তীব্র হতে পারে কারণ, ইউক্রেন নিশ্চয়ই তার হারানো ভূখণ্ড উদ্ধার করতে চাইবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও একই আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন অবশ্যই তার হারানো ভূমি ফিরিয়ে নেবে।
তবে রাশিয়ার দখলে থাক, বা ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখল করুক—এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে। লুহানস্ক জয়ে যেমন রাশিয়ার সময় লেগেছে, পুনরুদ্ধার করতে গেলে ইউক্রেনেরও সময় লাগবে এবং তা মোটেও সহজ হবে না। অপরদিকে, রাশিয়া দোনেৎস্ক দখলে অগ্রসর হলে সেখানেও শক্ত বাধা পেতে হবে। ফলে, রাশিয়ার জন্য লুহানস্ক ধরে রাখা ও ইউক্রেনের জন্য ফিরে পাওয়া দুটোর বিনিময়েই প্রচুর মূল্য চুকাতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য দোনেৎস্কের ক্ষেত্রেও।
রুশ সৈন্য ও মিত্র যোদ্ধারা গত শনিবার লিসিশানস্ক দখলে নেয়। বিশ্লেষকেরা লুহানস্কের যুদ্ধকে ইউরোপের যুদ্ধের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ বলছেন। এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেন থেকে একাংশের বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া লুহানস্ক সম্পূর্ণভাবে রাশিয়া এবং তার মিত্র বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে।
রুশ সৈন্যদের এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত ভ্লাদিমির পুতিন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সঙ্গে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বৈঠকে পুতিন রুশ সৈন্যদের এই অর্জনে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুতিন বলেছেন, ‘যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তাদের এখন বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত। এখন অন্য ইউনিটগুলো লড়াই চালিয়ে যাবে।’
সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার এই অগ্রগতি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক–বদল। কেবল কৌশলগত গুরুত্বের জন্যই নয় বরং এই যুদ্ধে যেসব শহর ধ্বংস হয়েছে, দুই পক্ষেরই সক্ষমতার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার কারণেও এই যুদ্ধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লন্ডনভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের গবেষক নীল মেলভিন লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার চিত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই জয় বিশাল মূল্য চুকিয়ে রাশিয়ার পাওয়া একটি কৌশলগত বিজয়।’
নীল মেলভিন আরও বলেন, ‘এই জয়ের জন্য ৬০ দিন সময় লেগেছে যা খুবই ধীর অগ্রগতি নির্দেশ করে। আমি মনে করি, রাশিয়া এ ক্ষেত্রে হয়তো নিজেদের বিজয়ী বলে ঘোষণা করতে পারে কিন্তু মূল যুদ্ধ এখনো আসেনি।’ তবে মস্কোর আশা, এই জয় রাশিয়ার সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে আরও বেশি মনোবল জোগাবে। দোনেৎস্ক জয়ে আরও বেশি উৎসাহী করবে।
লুহানস্কের ইউক্রেনীয় গভর্নর সেরহি গাইদাইও স্বীকার করছেন, এই জয় রাশিয়াকে সমগ্র দনবাসের নিয়ন্ত্রণ দখলে আরও অনেকখানি এগিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ‘এই জয়ের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ কার্যকরভাবে রাশিয়ার হাতে চলে গেছে।’ তবে ইউক্রেন লুহানস্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েও হতাশ নয় জানিয়ে গাইদাই বলেছেন, ‘কেবল লিসিশানস্ক জয় করাই নয়, আমাদের পুরো যুদ্ধটাই জিততে হবে। আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও আমরা এখনো হেরে যাইনি।’
তবে রাশিয়া এই জয়কে বড় অর্জন হিসেবে বিবেচনা করলেও ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা সেরহি গাইদাইয়ের সুরেই কথা বলছে। তাঁরাও বলছেন, রাশিয়া লুহানস্কের যুদ্ধ জিতলেও আগামী দিনে আরও কঠিন পরিস্থিতি পাড়ি দিতে হবে। চূড়ান্ত বিজয় আরও বহুদূর।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক রব লি বলছেন, ‘এই জয়ের ফলে পুতিন হয়তো দাবি করতে পারেন তিনি একটা কিছু অর্জন করেছেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, ইউক্রেন খুব দ্রুত হার মানবে।’
তবে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপপ্রধান ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ইউক্রেন যুদ্ধে রক্তপাতের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেন ‘মাথা খারাপ’ পশ্চিমা নেতাদের—যাদের চোখে অন্যের রক্তপাত ধরা পড়ে না—কথায় উৎসাহিত হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নেতারা ‘কোকেনের নেশায় বুঁদ’ হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন!
তবে যুদ্ধ কোন দিকে, কোন পথে যাবে, কীভাবে নিষ্পত্তি হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দনবাসেই আরও দীর্ঘ লড়াই অপেক্ষা করছে। নীল মেলভিন বলছেন, আগামী দিনের লড়াই পূর্বাঞ্চলে নয়— যেখানে রাশিয়া এখন আক্রমণ চালাচ্ছে। মূল যুদ্ধ হবে দক্ষিণে যা এরই মধ্যে রাশিয়া জয় করে এসেছে এবং সেখানে ইউক্রেনীয় সেনারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার জন্য পাল্টা লড়াই শুরু করেছে। এরই মধ্যে খেরসনের আশপাশে কিছুটা অগ্রসর হয়েছে। যুদ্ধটা আরও তীব্র হতে পারে কারণ, ইউক্রেন নিশ্চয়ই তার হারানো ভূখণ্ড উদ্ধার করতে চাইবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও একই আশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন অবশ্যই তার হারানো ভূমি ফিরিয়ে নেবে।
তবে রাশিয়ার দখলে থাক, বা ইউক্রেন নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখল করুক—এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে। লুহানস্ক জয়ে যেমন রাশিয়ার সময় লেগেছে, পুনরুদ্ধার করতে গেলে ইউক্রেনেরও সময় লাগবে এবং তা মোটেও সহজ হবে না। অপরদিকে, রাশিয়া দোনেৎস্ক দখলে অগ্রসর হলে সেখানেও শক্ত বাধা পেতে হবে। ফলে, রাশিয়ার জন্য লুহানস্ক ধরে রাখা ও ইউক্রেনের জন্য ফিরে পাওয়া দুটোর বিনিময়েই প্রচুর মূল্য চুকাতে হবে। একই কথা প্রযোজ্য দোনেৎস্কের ক্ষেত্রেও।
রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের স্টানিৎসিয়া শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ট্রান্সফরমার গত ২৬ এপ্রিল উড়িয়ে দিয়েছে একদল গোপন প্রতিরোধকারী। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল মেলিতোপোলে রেল অবকাঠামোয় আগুন লাগানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগেভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা তাঁদের আগেভাগে জানানো হয়নি। এতে ভারত প্রথমে যুদ্ধবিরতির বিষয়টিকে ‘পাকিস্তানের অনুরোধে হওয়া’ বলে উপস্থাপন করতে পারছে না। যাহোক, যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার পর ট্রাম্প ১১ মে কাশ্মীর ইস্যুতেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভারত কাশ্মীর ইস্যুতে বহুদিন
১৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন একটি ‘স্বপ্ন’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি চান রিয়াদ যেন তাদের ‘সুবিধাজনক সময়ে’ এটি করে। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে।
১ দিন আগেভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার ছিল ২০২৪ সালে। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। মোদির সরকার বর্তমানে শুল্ক এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। দিল্লিকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব গ্রহণ করতে দিল্লি নারাজ হবে।
২ দিন আগে