আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘাত ও শক্তির প্রদর্শনী কয়েকটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই অঞ্চলের বাইরের সমর কর্মকর্তাদের কাছে সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় ছিল পাকিস্তানের উন্নত চীনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার। দেশটি এরিয়াল ফাইট বা আকাশপথের যুদ্ধে পশ্চিমা-নির্মিত যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করেছে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান দিয়েছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের চীনা জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের জয় হয়েছে। গত ৭ মে তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপতিত করেছে বলেও দাবি করেছে। এর মধ্যে ছিল ৩টি ফরাসি রাফাল ও ২টি পুরোনো রুশ যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর মতে, মোট ১১৪টি বিমানের এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই আকাশযুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিসীমার বাইরে (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ বা বিভিআর) সংঘটিত হয়েছে।
ভারত পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। দেশটি শুধু বলেছে, তাদের সব পাইলট সুরক্ষিত। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তানের কিছু ‘উচ্চ প্রযুক্তির’ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের একটি বিমানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কিছু স্বাধীন সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি রাফাল ছিল।
পাকিস্তানের চীনা অস্ত্র ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বেইজিং বহু দশক ধরে ইসলামাবাদকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং বর্তমানে চীন পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। তবে চীনের আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো এর আগে কখনো সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়নি। সেগুলোকে সাধারণত পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের চেয়ে দুর্বল মনে করা হতো। যদি পাকিস্তানের দাবি সত্য হয়, তবে এটিই হবে রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম যুদ্ধকালীন ধ্বংস।
চীনের সরকার এই বিষয়ে সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কথা জানিয়েছে। তবে গত ১২ মে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রকাশনা ‘চায়না স্পেস নিউজ’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, পাকিস্তান এক নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতিতে প্রথমে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুর বিমানকে চিহ্নিত করে ‘লক’ করে। এরপর যুদ্ধবিমানগুলো দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অবশ্য, এই প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে, হামলার ক্ষেত্রে চীনা সরঞ্জাম (ক্ষেপণাস্ত্র) ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে চীনের তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং উড়ন্ত রাডার বিমান রয়েছে। ভারত অবশ্য দাবি করেছে যে, তারা পাকিস্তানের এই সরঞ্জামগুলো জ্যাম করে দিয়েছিল।
পাকিস্তানের এই দাবি ভারতের জন্য গুরুতর তাৎপর্য বহন করে। ভারত গত দশকে ৬২টি রাফাল কিনে বিমানবাহিনীকে আধুনিক করেছে এবং আরও রাফাল কেনার কথা ভাবছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে ১৫০টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করেছে, যার বেশির ভাগই চীনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত। ২০২২ সাল থেকে পাকিস্তান ২০টি জে-১০সি যুদ্ধবিমানও কিনেছে।
এই পরিস্থিতি আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্যও উদ্বেগের কারণ। চীন জেএফ-১৭ ব্যবহার না করলেও জে-১০সি ব্যবহার করে, এমনকি তাইওয়ানের আশপাশেও। ফলে স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্ভাব্য যুদ্ধে এই বিমানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। যদিও চীন এখন পর্যন্ত শুধু পাকিস্তানের কাছেই জে-১০সি বিক্রি করেছে, এই ঘটনার পর অন্য দেশও এগুলো কিনতে আগ্রহী হতে পারে। জে-১০সি প্রস্তুতকারক সংস্থার শেয়ারের দাম এরই মধ্যে অনেকটাই বেড়েছে।
তবে পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত হলেও এটি রাফাল বা অন্যান্য পশ্চিমা বিমানের ওপর চীনা জে-১০ সি’র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে না। কারণ, পশ্চিমা বিমানগুলো সাধারণত আরও বিভিন্ন ধরনের মিশনে অংশ নিতে সক্ষম। তা সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে সামরিক কর্মকর্তারা এই ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য তৎপর হয়েছেন। অনেক দেশ নিজেদের যুদ্ধ পরিকল্পনাও নতুন করে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চার দিনের সামরিক সংঘাত ও শক্তির প্রদর্শনী কয়েকটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই অঞ্চলের বাইরের সমর কর্মকর্তাদের কাছে সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় ছিল পাকিস্তানের উন্নত চীনা যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার। দেশটি এরিয়াল ফাইট বা আকাশপথের যুদ্ধে পশ্চিমা-নির্মিত যুদ্ধবিমানের মোকাবিলা করেছে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান দিয়েছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের চীনা জে-১০সি যুদ্ধবিমান এবং পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের জয় হয়েছে। গত ৭ মে তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপতিত করেছে বলেও দাবি করেছে। এর মধ্যে ছিল ৩টি ফরাসি রাফাল ও ২টি পুরোনো রুশ যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর মতে, মোট ১১৪টি বিমানের এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই আকাশযুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিসীমার বাইরে (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ বা বিভিআর) সংঘটিত হয়েছে।
ভারত পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি। দেশটি শুধু বলেছে, তাদের সব পাইলট সুরক্ষিত। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তানের কিছু ‘উচ্চ প্রযুক্তির’ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের একটি বিমানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে কিছু স্বাধীন সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একটি রাফাল ছিল।
পাকিস্তানের চীনা অস্ত্র ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বেইজিং বহু দশক ধরে ইসলামাবাদকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এবং বর্তমানে চীন পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। তবে চীনের আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলো এর আগে কখনো সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয়নি। সেগুলোকে সাধারণত পশ্চিমা যুদ্ধবিমানের চেয়ে দুর্বল মনে করা হতো। যদি পাকিস্তানের দাবি সত্য হয়, তবে এটিই হবে রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম যুদ্ধকালীন ধ্বংস।
চীনের সরকার এই বিষয়ে সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কথা জানিয়েছে। তবে গত ১২ মে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা প্রকাশনা ‘চায়না স্পেস নিউজ’ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, পাকিস্তান এক নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতিতে প্রথমে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শত্রুর বিমানকে চিহ্নিত করে ‘লক’ করে। এরপর যুদ্ধবিমানগুলো দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অবশ্য, এই প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে, হামলার ক্ষেত্রে চীনা সরঞ্জাম (ক্ষেপণাস্ত্র) ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে চীনের তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং উড়ন্ত রাডার বিমান রয়েছে। ভারত অবশ্য দাবি করেছে যে, তারা পাকিস্তানের এই সরঞ্জামগুলো জ্যাম করে দিয়েছিল।
পাকিস্তানের এই দাবি ভারতের জন্য গুরুতর তাৎপর্য বহন করে। ভারত গত দশকে ৬২টি রাফাল কিনে বিমানবাহিনীকে আধুনিক করেছে এবং আরও রাফাল কেনার কথা ভাবছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে ১৫০টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান বহরে যুক্ত করেছে, যার বেশির ভাগই চীনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত। ২০২২ সাল থেকে পাকিস্তান ২০টি জে-১০সি যুদ্ধবিমানও কিনেছে।
এই পরিস্থিতি আমেরিকা ও তার মিত্রদের জন্যও উদ্বেগের কারণ। চীন জেএফ-১৭ ব্যবহার না করলেও জে-১০সি ব্যবহার করে, এমনকি তাইওয়ানের আশপাশেও। ফলে স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চীনের সম্ভাব্য যুদ্ধে এই বিমানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। যদিও চীন এখন পর্যন্ত শুধু পাকিস্তানের কাছেই জে-১০সি বিক্রি করেছে, এই ঘটনার পর অন্য দেশও এগুলো কিনতে আগ্রহী হতে পারে। জে-১০সি প্রস্তুতকারক সংস্থার শেয়ারের দাম এরই মধ্যে অনেকটাই বেড়েছে।
তবে পাকিস্তানের দাবি নিশ্চিত হলেও এটি রাফাল বা অন্যান্য পশ্চিমা বিমানের ওপর চীনা জে-১০ সি’র শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে না। কারণ, পশ্চিমা বিমানগুলো সাধারণত আরও বিভিন্ন ধরনের মিশনে অংশ নিতে সক্ষম। তা সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে সামরিক কর্মকর্তারা এই ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য তৎপর হয়েছেন। অনেক দেশ নিজেদের যুদ্ধ পরিকল্পনাও নতুন করে সাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতে আজকাল দিন শুরু হয় দুই ধরনের সংবাদ দিয়ে: একদিকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায়—পাকিস্তানবিরোধী বিতর্ক, হিন্দুদের গৌরবগাথা আর নতুন ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা; অন্যদিকে অন্ধকার এক বাস্তবতা—প্রতিদিন কোথাও না কোথাও কোনো মুসলমান নিগৃহীত হচ্ছে, পিটিয়ে মারা হচ্ছে, মিথ্যা মামলায় বন্দী করা হচ্ছে, অথবা দেশদ্রোহী..
২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি যেন উল্টোপাল্টা এক দাবার ছক, যেখানে পুরোনো মিত্ররা দূরে সরে যাচ্ছে, আর আগে যাদের ‘শত্রু’ ভাবা হতো, তারাই এখন হোয়াইট হাউসে জায়গা পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান একেবারে আদর্শ উদাহরণ তৈরি করেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়া এখন সার্বভৌম ঋণ তথা সরকারের ঋণ ও রাজস্ব ঘাটতির ভারসাম্য রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে। স্থায়ী বাজেট ঘাটতির কারণে এ অঞ্চলের ঋণ বিশ্বের অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় দ্রুত বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালে সরকারগুলোর গড় ঋণের পরিমাণ পৌঁছেছে মোট জিডিপির ৭৭ শতাংশে।
১ দিন আগেগাজায় বিধ্বংসী যুদ্ধের দুই বছর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু শান্তির এই মুহূর্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং নতুন ছয়টি বড় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জের সূচনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
৩ দিন আগে