সম্পাদকীয়
‘অমানুষ’ সিনেমাটি সফল হয়েছিল। শক্তি সামন্ত ছিলেন ছবির পরিচালক। তিনি উত্তম, শর্মিলা ঠাকুর ও উৎপল দত্তকে নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছিলেন।
শক্তি সামন্ত অনেক আগেই উত্তমকুমারকে জানিয়েছিলেন যে তিনি বড় ধরনের একটি বাংলা সিনেমা তৈরি করতে চান। শক্তিপদ রাজগুরুর ‘নয়া বসত’ নামে একটি জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি। অভিনয়ের জন্য উত্তমকে যেতে হয়েছিল সুন্দরবন অঞ্চলে। ছবির বেশির ভাগ অংশের শুটিং এখানেই করবেন বলে শক্তি সামন্ত গোটা একটা গ্রামই তৈরি করে ফেলেছিলেন। বাংলা ও হিন্দি—এ দুই ভাষায় ছবিটি তৈরি হয়েছিল। সে সময় দুই ভাষাতেই ছবিটি দারুণ আলোড়ন তুলেছিল। কিশোর কুমারের গাওয়া ‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর’ এবং ‘বিপিন বাবুর কারণ সুধা’ গান দুটি বাজত পাড়া-মহল্লার মাইকে।
শক্তি সামন্তেরই আরেকটি হিন্দি ছবি ছিল ‘আজনবী’ নামে। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাজেশ খান্না আর জিনাত আমান। দুটি ছবি নিয়েই একটা বিশাল আয়োজন হয়েছিল তখনকার বোম্বের জুহু বিচে। সেটা ১৯৭৫ সালের কথা। উত্তমকুমার গেছেন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। চোখের সামনে সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ। নানা রঙের আলোকমালায় চারদিক আলোকিত। পুরো বোম্বের চলচ্চিত্রপাড়া যেন উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে। দিলীপ কুমার, অশোক কুমার, সায়রা বানু, অমিতাভ বচ্চন, প্রেম চোপড়া, জিনাত আমান, রাজেশ খান্না, ডিম্পল, বিনোদ খান্না—কে নেই সেখানে?
সেই অনুষ্ঠানে দিলীপ কুমার যখন বক্তৃতা করলেন, তখন বোঝা গেল একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে কতটা বড় করে দেখতে পারেন। তিনি বললেন, ‘উত্তম ইজ উত্তম। উত্তমের মতো মহান শিল্পীকে আজ এই মঞ্চে সর্বসমক্ষে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি খুশি। আমি ওর প্রায় সব বাংলা ছবি দেখেছি—ইট ইজ সিম্পলি ওয়ান্ডারফুল। সচমুচ উত্তম সাহাব লা-জওয়াব কালাকার হ্যায়।’
সূত্র: উত্তমকুমার, আমার আমি, পৃষ্ঠা ১৩৪
‘অমানুষ’ সিনেমাটি সফল হয়েছিল। শক্তি সামন্ত ছিলেন ছবির পরিচালক। তিনি উত্তম, শর্মিলা ঠাকুর ও উৎপল দত্তকে নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছিলেন।
শক্তি সামন্ত অনেক আগেই উত্তমকুমারকে জানিয়েছিলেন যে তিনি বড় ধরনের একটি বাংলা সিনেমা তৈরি করতে চান। শক্তিপদ রাজগুরুর ‘নয়া বসত’ নামে একটি জনপ্রিয় উপন্যাস অবলম্বনেই তৈরি হয়েছিল সিনেমাটি। অভিনয়ের জন্য উত্তমকে যেতে হয়েছিল সুন্দরবন অঞ্চলে। ছবির বেশির ভাগ অংশের শুটিং এখানেই করবেন বলে শক্তি সামন্ত গোটা একটা গ্রামই তৈরি করে ফেলেছিলেন। বাংলা ও হিন্দি—এ দুই ভাষায় ছবিটি তৈরি হয়েছিল। সে সময় দুই ভাষাতেই ছবিটি দারুণ আলোড়ন তুলেছিল। কিশোর কুমারের গাওয়া ‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর’ এবং ‘বিপিন বাবুর কারণ সুধা’ গান দুটি বাজত পাড়া-মহল্লার মাইকে।
শক্তি সামন্তেরই আরেকটি হিন্দি ছবি ছিল ‘আজনবী’ নামে। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাজেশ খান্না আর জিনাত আমান। দুটি ছবি নিয়েই একটা বিশাল আয়োজন হয়েছিল তখনকার বোম্বের জুহু বিচে। সেটা ১৯৭৫ সালের কথা। উত্তমকুমার গেছেন সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। চোখের সামনে সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ। নানা রঙের আলোকমালায় চারদিক আলোকিত। পুরো বোম্বের চলচ্চিত্রপাড়া যেন উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে। দিলীপ কুমার, অশোক কুমার, সায়রা বানু, অমিতাভ বচ্চন, প্রেম চোপড়া, জিনাত আমান, রাজেশ খান্না, ডিম্পল, বিনোদ খান্না—কে নেই সেখানে?
সেই অনুষ্ঠানে দিলীপ কুমার যখন বক্তৃতা করলেন, তখন বোঝা গেল একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে কতটা বড় করে দেখতে পারেন। তিনি বললেন, ‘উত্তম ইজ উত্তম। উত্তমের মতো মহান শিল্পীকে আজ এই মঞ্চে সর্বসমক্ষে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি খুশি। আমি ওর প্রায় সব বাংলা ছবি দেখেছি—ইট ইজ সিম্পলি ওয়ান্ডারফুল। সচমুচ উত্তম সাহাব লা-জওয়াব কালাকার হ্যায়।’
সূত্র: উত্তমকুমার, আমার আমি, পৃষ্ঠা ১৩৪
আপনি কি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এই খবর পড়ছেন? সাবধান! ঘাসে পা দেবেন না কিন্তু! আজ ঘাসে পা না দেওয়ার দিন। জানা নেই? তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী এই ‘ঘাসে পা না দেওয়া দিবস’। কীভাবেই–বা এর উৎপত্তি।
১ দিন আগেবাংলার সুবেদার মীর জুমলা তাঁর আসাম অভিযানের সময় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের (তৎকালীন খিজিরপুর) সংযোগকারী সড়কের পাগলা এলাকায় শীতলক্ষ্যা-বুড়িগঙ্গা নদীর সংযোগস্থলে নির্মাণ করেন পাগলা সেতু।
৪ দিন আগেগান করে থাকি সেটা তো অন্যায় হতে পারে না! তো সেই দিক থেকে আমি অন্তত ক্ষমা চাইতে পারি। কারণ এটা আমি পেশা করেছি। এটা আলটিমেটলি পেশা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি কিন্তু গান শিখিনি নাম করার জন্য, যে আমার কবে সুখ্যাতি কে করবে, আমি কবে জনপ্রিয় হব তার জন্য গান শিখিনি। আমার বাবা-মা কোনো দিন আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে...
৫ দিন আগেমুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই অস্থায়ী সরকার গঠিত হয় একাত্তরের ১০ এপ্রিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে বৈদ্যনাথতলার এক আমবাগানে মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ১৭ এপ্রিল।
৬ দিন আগে