সম্পাদকীয়
জীবনটা কেমন কেটেছিল মির্জা গালিবের, তা নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। ডুবে থাকতেন মদে, সেরা মদটা জোগাড় করা চাই। আর লিখতেন মন খুলে। তাঁর লেখালেখির কারণেই তিনি এখনো বেঁচে আছেন মানুষের মনে। এবং তাঁর জীবনযাপন পদ্ধতির জন্যও।
বড় ফারসি কবি বলে স্বীকৃতি মেলেনি গালিবের। উর্দু কবিতা ভালো লাগত না তাঁর। কিন্তু সেই উর্দু কবিতাই একসময় হয়ে উঠল তাঁর দিনরাত্রির কাব্য।
মোগল শাসনের অবসানের পর ১৮৫৭ সালের বিষাদময় ঘটনাবলি দেখেছেন গালিব। তখন তাঁর চোখের সামনে নিরাশার অন্ধকার। আবার বসন্তে নতুন প্রাণের বিজয়বার্তাও তাঁর দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। একজন ভারতবর্ষীয় মানবের চোখে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে আধুনিক কাল। যা কিছু মহান বলে ভেবেছেন, তার সবকিছুই ভেঙে পড়ছে। তাই মির্জা গালিবের কাছে পাতাঝরা হেমন্ত আর ফুল ফোটা বসন্তের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। হেমন্ত আর বসন্তের ঋতু পরিবর্তনে তাঁর জীবনের কোনো পরিবর্তন হয় না। নিজের সম্পর্কে লিখছেন, ‘সেই আমি, সেই খাঁচা আর ডানা পালক হারাবার মাতম।’
একদিন একটি অভিধানের ভুল ধরিয়ে দিয়ে লেখালেখি করলেন। তাতে ভাষার জগতে উঠল আলোড়ন। যা লিখলেন তা নিয়ে আলোচনা নয়, মূলত গালিবকে গালাগালি করা শুরু হলো। বেনামি চিঠিতে ভরে গেল ডাকপিয়নের ঝুলি। সেই সব এসে হাজির হতে লাগল গালিবের কাছে। প্রেরকের নামহীন এক চিঠি দেখে গালিব তা তার শাগরেদকে দিলেন। বললেন, ‘পড়ে দেখো তো!’
চিঠিতে গালিগালাজ। শাগরেদ চুপ। গালিব নিজে পড়ে হেসে বললেন, ‘গাধাটা গালও দিতে জানে না। বুড়ো লোককে মা ধরে গাল দিতে নেই। এদের গাল দিতে হয় মেয়েকে নিয়ে। জোয়ান লোককে গাল দিতে হয় বউকে নিয়ে। এদের বউয়ের জন্য মনে ভালোবাসা থাকে। আর বাচ্চাকে গাল দিতে হয় তার মায়ের নাম ধরে। কারণ, এর চেয়ে আপন তার আর কেউ নেই। এ যে আমার মতো বাহাত্তর বছরের বুড়োকে মা ধরে গাল দিচ্ছে!’
সূত্র: জাভেদ হুসেন, মির্জা গালিবের সঙ্গে আরও কয়েকজন, পৃষ্ঠা ১৫-৩৯
জীবনটা কেমন কেটেছিল মির্জা গালিবের, তা নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। ডুবে থাকতেন মদে, সেরা মদটা জোগাড় করা চাই। আর লিখতেন মন খুলে। তাঁর লেখালেখির কারণেই তিনি এখনো বেঁচে আছেন মানুষের মনে। এবং তাঁর জীবনযাপন পদ্ধতির জন্যও।
বড় ফারসি কবি বলে স্বীকৃতি মেলেনি গালিবের। উর্দু কবিতা ভালো লাগত না তাঁর। কিন্তু সেই উর্দু কবিতাই একসময় হয়ে উঠল তাঁর দিনরাত্রির কাব্য।
মোগল শাসনের অবসানের পর ১৮৫৭ সালের বিষাদময় ঘটনাবলি দেখেছেন গালিব। তখন তাঁর চোখের সামনে নিরাশার অন্ধকার। আবার বসন্তে নতুন প্রাণের বিজয়বার্তাও তাঁর দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। একজন ভারতবর্ষীয় মানবের চোখে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে আধুনিক কাল। যা কিছু মহান বলে ভেবেছেন, তার সবকিছুই ভেঙে পড়ছে। তাই মির্জা গালিবের কাছে পাতাঝরা হেমন্ত আর ফুল ফোটা বসন্তের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। হেমন্ত আর বসন্তের ঋতু পরিবর্তনে তাঁর জীবনের কোনো পরিবর্তন হয় না। নিজের সম্পর্কে লিখছেন, ‘সেই আমি, সেই খাঁচা আর ডানা পালক হারাবার মাতম।’
একদিন একটি অভিধানের ভুল ধরিয়ে দিয়ে লেখালেখি করলেন। তাতে ভাষার জগতে উঠল আলোড়ন। যা লিখলেন তা নিয়ে আলোচনা নয়, মূলত গালিবকে গালাগালি করা শুরু হলো। বেনামি চিঠিতে ভরে গেল ডাকপিয়নের ঝুলি। সেই সব এসে হাজির হতে লাগল গালিবের কাছে। প্রেরকের নামহীন এক চিঠি দেখে গালিব তা তার শাগরেদকে দিলেন। বললেন, ‘পড়ে দেখো তো!’
চিঠিতে গালিগালাজ। শাগরেদ চুপ। গালিব নিজে পড়ে হেসে বললেন, ‘গাধাটা গালও দিতে জানে না। বুড়ো লোককে মা ধরে গাল দিতে নেই। এদের গাল দিতে হয় মেয়েকে নিয়ে। জোয়ান লোককে গাল দিতে হয় বউকে নিয়ে। এদের বউয়ের জন্য মনে ভালোবাসা থাকে। আর বাচ্চাকে গাল দিতে হয় তার মায়ের নাম ধরে। কারণ, এর চেয়ে আপন তার আর কেউ নেই। এ যে আমার মতো বাহাত্তর বছরের বুড়োকে মা ধরে গাল দিচ্ছে!’
সূত্র: জাভেদ হুসেন, মির্জা গালিবের সঙ্গে আরও কয়েকজন, পৃষ্ঠা ১৫-৩৯
ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ ও নির্মম সংঘাত ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রতিটি দিন ভয়, মৃত্যু এবং সাহসিকতার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। ঠিক এই কঠিন বাস্তবতার মাঝে ভিয়তনামের যুদ্ধের ছবি তুলতে লাগল কিশোর ফটোসাংবাদিক লু মান হং ওরফে জিমি।
৭ ঘণ্টা আগেবন্ধুত্ব শুধু পারস্পরিক ভালোবাসা নয়, বরং এটি নির্ভরতা ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্তসম্পর্কের এক জটিল বিন্যাস। নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ও বন্ধুত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সুজান ডেগস-হোয়াইট বলেন, বন্ধুত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো পারস্পরিক নির্ভরতা ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা।
১ দিন আগে১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
১০ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১৩ দিন আগে