সম্পাদকীয়
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নতুন বিশ-এর ২ নম্বর ব্লকে নুরুদ্দিন নামে এক ডাকাতির আসামীকে আনা হয়েছিল। ফরিদপুরের গোয়ালন্দ মহকুমায় তার বাড়ি। রাতে যখন সে গান গাইত, তখন খুব ভালো লাগত শেখ মুজিবের। বঙ্গবন্ধু তার সুন্দর কণ্ঠস্বরের তারিফ করতেন। তিনি মনে করতেন, ডাকাতি মামলায় কয়েদী হওয়া এই নুরু যদি সঙ্গীত সাধনা করত, তাহলে নামকরা গায়ক হতে পারত।
জেলখানায় নুরুর জীবনটা ছিল ভয়ঙ্কর। মূলত ভালো আচরণ করলে জেলখানায় ১২ মাসে বছর ধরা হয় না। ধরা হয় ৯ মাস বা সাড়ে ৯ মাসে। তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি পেয়ে যায় কয়েদী। কিন্তু নুরু এমন এক জীবনযাপন করত যে, ওর সাজার মেয়াদ একেবারেই কমত না। রীতি অমান্য করায় মারও খেয়েছে অনেক।
নুরু ২২ বছর বয়সে জেলে এসেছে। ৭-৮ বছর সাজা খাটা হয়ে গেছে। শরীর ভেঙে পড়েছে তার। বঙ্গবন্ধু ওর কাছে গিয়ে বলেন, ‘নুরু, কেন জীবন নষ্ট করলে, বলতে পার? বাবা-মার মুখে চুনকালি দিলে, বংশের ইজ্জত নষ্ট করলে, কারাগারে কষ্ট করলে, কী লাভ হলো? তোমাকে জেলের সবাই খারাপ বলে।’
নুরু বিষণ্ন মনে বলে, ‘স্যার, আমার কথা না-ই শুনলেন। চেষ্টা করব আপনার কথা রাখতে।’
ছেলেটার প্রতি মায়া হলো বঙ্গবন্ধুর। বললেন, ‘তোমার জেল থেকে বের হওয়ার আগে যদি আমি বের হই, তাহলে আমার সঙ্গে দেখা কোরো। তোমার বাবা আর ভাইকে আমি চিঠি দেব। ওই কুপথে আর পা বাড়িও না।’
নুরু বলল, ‘আপনার কাছে আমাকে নিয়ে নিন।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমার আপত্তি নেই। তুমি গান গাও নুরু।’
নুরু গান ধরল। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘বাংলার মাটির সঙ্গে যার সম্পর্ক আছে, সেই গান গাও।’
নুরু গাইতে থাকে। অনেকক্ষণ ধরে বঙ্গবন্ধু সে গান শুনতে থাকেন।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নতুন বিশ-এর ২ নম্বর ব্লকে নুরুদ্দিন নামে এক ডাকাতির আসামীকে আনা হয়েছিল। ফরিদপুরের গোয়ালন্দ মহকুমায় তার বাড়ি। রাতে যখন সে গান গাইত, তখন খুব ভালো লাগত শেখ মুজিবের। বঙ্গবন্ধু তার সুন্দর কণ্ঠস্বরের তারিফ করতেন। তিনি মনে করতেন, ডাকাতি মামলায় কয়েদী হওয়া এই নুরু যদি সঙ্গীত সাধনা করত, তাহলে নামকরা গায়ক হতে পারত।
জেলখানায় নুরুর জীবনটা ছিল ভয়ঙ্কর। মূলত ভালো আচরণ করলে জেলখানায় ১২ মাসে বছর ধরা হয় না। ধরা হয় ৯ মাস বা সাড়ে ৯ মাসে। তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুক্তি পেয়ে যায় কয়েদী। কিন্তু নুরু এমন এক জীবনযাপন করত যে, ওর সাজার মেয়াদ একেবারেই কমত না। রীতি অমান্য করায় মারও খেয়েছে অনেক।
নুরু ২২ বছর বয়সে জেলে এসেছে। ৭-৮ বছর সাজা খাটা হয়ে গেছে। শরীর ভেঙে পড়েছে তার। বঙ্গবন্ধু ওর কাছে গিয়ে বলেন, ‘নুরু, কেন জীবন নষ্ট করলে, বলতে পার? বাবা-মার মুখে চুনকালি দিলে, বংশের ইজ্জত নষ্ট করলে, কারাগারে কষ্ট করলে, কী লাভ হলো? তোমাকে জেলের সবাই খারাপ বলে।’
নুরু বিষণ্ন মনে বলে, ‘স্যার, আমার কথা না-ই শুনলেন। চেষ্টা করব আপনার কথা রাখতে।’
ছেলেটার প্রতি মায়া হলো বঙ্গবন্ধুর। বললেন, ‘তোমার জেল থেকে বের হওয়ার আগে যদি আমি বের হই, তাহলে আমার সঙ্গে দেখা কোরো। তোমার বাবা আর ভাইকে আমি চিঠি দেব। ওই কুপথে আর পা বাড়িও না।’
নুরু বলল, ‘আপনার কাছে আমাকে নিয়ে নিন।’
বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমার আপত্তি নেই। তুমি গান গাও নুরু।’
নুরু গান ধরল। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘বাংলার মাটির সঙ্গে যার সম্পর্ক আছে, সেই গান গাও।’
নুরু গাইতে থাকে। অনেকক্ষণ ধরে বঙ্গবন্ধু সে গান শুনতে থাকেন।
সূত্র: শেখ মুজিবুর রহমান, কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা ১২৯-১৩০
ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ ও নির্মম সংঘাত ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রতিটি দিন ভয়, মৃত্যু এবং সাহসিকতার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। ঠিক এই কঠিন বাস্তবতার মাঝে ভিয়তনামের যুদ্ধের ছবি তুলতে লাগল কিশোর ফটোসাংবাদিক লু মান হং ওরফে জিমি।
১১ ঘণ্টা আগেবন্ধুত্ব শুধু পারস্পরিক ভালোবাসা নয়, বরং এটি নির্ভরতা ও স্বতঃস্ফূর্ত আন্তসম্পর্কের এক জটিল বিন্যাস। নর্দান ইলিনয় ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ও বন্ধুত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. সুজান ডেগস-হোয়াইট বলেন, বন্ধুত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো পারস্পরিক নির্ভরতা ও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা।
১ দিন আগে১৬৪৯ সালে যশোরের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত হন বাংলার সুবেদার শাহ সুজার শ্যালকপুত্র মীর্জা সাফসি খান। কপোতাক্ষ নদের তীরে যে মীর্জানগর গ্রাম, সেটি কিন্তু তাঁরই নামানুসারে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে ফৌজদার হন নুরল্লা খাঁ। তিনি এই গ্রামে বুড়িভদ্রা নদীর তীরে সুবিস্তৃত পরিখা খনন করে আট-দশ ফুট উঁচু...
১০ দিন আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোরকই গ্রামে রয়েছে প্রাচীন এক মন্দির। গোরক্ষনাথ মন্দির বা গোরকই মন্দির নামেই এটি পরিচিত। মন্দির প্রাঙ্গণে তিনটি শিবমন্দির, একটি কালীমন্দির ও একটি নাথমন্দির ও নাথ আশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে বড় বড় কালো পাথর দিয়ে নির্মিত রহস্যময় এক কূপ। কথিত আছে, গুপ্ত যুগ থেকে সেন...
১৩ দিন আগে