আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমি একজন মুসলিম নারী। পারিবারিকভাবে দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বিয়ের প্রথম বছর আমাদের সংসার হাসিখুশিতে ভরপুর ছিল। বছর দেড়েক আগে থেকে শুরু হয় সমস্যা। প্রায় রাতেই সে নেশা করে বাড়ি ফেরে।
সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালন করা দূরে থাক, ঠিকমতো খোঁজখবরও রাখে না। কোথায় যায়, কী করে জানতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করে। মাঝে মাঝে শারীরিকভাবে অত্যাচারও করে। আমি তাকে ডিভোর্স দিতে চাই। আমার জানার বিষয় ছিল, ডিভোর্স হওয়ার সময় যদি দেনমোহর শোধ করতে না পারে, তাহলে আইনগতভাবে কী শাস্তি আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, খুলনা
দেনমোহর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর শ্রদ্ধার নিদর্শন। মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১-এর ১০ ধারা মোতাবেক রেজিস্ট্রি করা কাবিনে যে দেনমোহর উল্লেখ থাকে, এর অপরিশোধিত অংশ বা কাবিনে দেনমোহরের ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকলেও স্ত্রী চাওয়ামাত্র অপরিশোধিত সম্পূর্ণ দেনমোহর তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করতে স্বামী বাধ্য থাকবেন। স্ত্রী স্বামীর কাছে নির্ধারিত দেনমোহর চেয়ে না পেলে আইনগতভাবে সেই স্ত্রী নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে পারেন। যেমন—
■ স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।
■ দাম্পত্য মিলনে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন।
■ এমনকি দূরে বসবাস করতে পারেন।
তা ছাড়া ওই দেনমোহর আপনি তালাক দেওয়ার আগে বা পরে যেকোনো সময় চাইতে পারেন। বৈবাহিক চুক্তি দেওয়ানি প্রকৃতির হওয়ায় দেনমোহর শোধের অপারগতার জন্য আইনগত কোনো শাস্তির বিধান নেই। তা ছাড়া দেনমোহর পরিশোধের অপারগতার জন্য আইনি প্রতিকার হিসেবে তালাক কার্যকর হওয়ার তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে দেনমোহরের, ভরণপোষণের মামলা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্বামী ডিক্রি করা টাকা দেনমোহর হিসেবে পরিশোধ না করতে পারলে জারিকারী আদালত তাকে দেওয়ানি আদালতে আটক রাখতে পারেন দেনমোহর পরিশোধ না করা পর্যন্ত।
আপনি যদি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে পারিবারিক সহিংসতা আইন, ২০১০-এর অধীনে এবং সরকারের আইনগত সুবিধা বিনা মূল্যে লিগ্যাল এইড, জজকোর্ট শাখা থেকে
পেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি একজন চাকরিজীবী নারী। আমাদের মা প্যারালাইজড। ২০২০ সালের শেষের দিকে বাবা মারা গেছেন। বাবার নামে কিছু জমিজমা ছিল। আমরা দুই ভাই-বোন। বাবা মারা যাওয়ার আগের বছর আমার নিজের ভাইয়ের নামে আমাদের বাড়ি লিখে দেন। আমার ভাই তখন নাবালক ছিল। আমাদের এক সৎভাই আছে। তার বয়স ২৮। এখন সৎভাই বাবার ওপর রাগ করে আমাদের বাড়িকে কেন্দ্র করে মামলা করতে চাচ্ছে। সৎভাই সব জমিজমা একাই দখল করতে চাচ্ছে। আমি এখন কী করব?
লামিয়া তাবাসসুম, বরিশাল
উওর: আপনার বাবা জীবদ্দশায় তাঁর সম্পত্তি যদি আপনার নাবালক ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে হস্তান্তর করেন এবং/অথবা একজন অভিভাবক নিযুক্ত থাকেন আপনার নাবালক ভাইয়ের জমি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য, তবে আপনি বা আপনার সৎভাইয়ের সে জমির প্রতি কোনো অধিকার বর্তায় না। আপনার নাবালক ভাই যদি ইতিমধ্যে সাবালক হয়ে থাকেন এবং সে জমির দখলকার হয়ে থাকেন, তবে আপনার সৎভাই মোকদ্দমা করলেও কোনো প্রতিকার পাবেন না। সে জমি ছাড়া আপনার মৃত পিতার বাকি সব সম্পত্তি ফারায়েজ অনুযায়ী বণ্টন হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার, সুপ্রিম কোর্ট
প্রশ্ন: আমি একজন মুসলিম নারী। পারিবারিকভাবে দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বিয়ের প্রথম বছর আমাদের সংসার হাসিখুশিতে ভরপুর ছিল। বছর দেড়েক আগে থেকে শুরু হয় সমস্যা। প্রায় রাতেই সে নেশা করে বাড়ি ফেরে।
সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালন করা দূরে থাক, ঠিকমতো খোঁজখবরও রাখে না। কোথায় যায়, কী করে জানতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করে। মাঝে মাঝে শারীরিকভাবে অত্যাচারও করে। আমি তাকে ডিভোর্স দিতে চাই। আমার জানার বিষয় ছিল, ডিভোর্স হওয়ার সময় যদি দেনমোহর শোধ করতে না পারে, তাহলে আইনগতভাবে কী শাস্তি আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, খুলনা
দেনমোহর স্ত্রীর প্রতি স্বামীর শ্রদ্ধার নিদর্শন। মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১-এর ১০ ধারা মোতাবেক রেজিস্ট্রি করা কাবিনে যে দেনমোহর উল্লেখ থাকে, এর অপরিশোধিত অংশ বা কাবিনে দেনমোহরের ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকলেও স্ত্রী চাওয়ামাত্র অপরিশোধিত সম্পূর্ণ দেনমোহর তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করতে স্বামী বাধ্য থাকবেন। স্ত্রী স্বামীর কাছে নির্ধারিত দেনমোহর চেয়ে না পেলে আইনগতভাবে সেই স্ত্রী নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে পারেন। যেমন—
■ স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।
■ দাম্পত্য মিলনে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন।
■ এমনকি দূরে বসবাস করতে পারেন।
তা ছাড়া ওই দেনমোহর আপনি তালাক দেওয়ার আগে বা পরে যেকোনো সময় চাইতে পারেন। বৈবাহিক চুক্তি দেওয়ানি প্রকৃতির হওয়ায় দেনমোহর শোধের অপারগতার জন্য আইনগত কোনো শাস্তির বিধান নেই। তা ছাড়া দেনমোহর পরিশোধের অপারগতার জন্য আইনি প্রতিকার হিসেবে তালাক কার্যকর হওয়ার তিন বছরের মধ্যে পারিবারিক আদালতে দেনমোহরের, ভরণপোষণের মামলা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্বামী ডিক্রি করা টাকা দেনমোহর হিসেবে পরিশোধ না করতে পারলে জারিকারী আদালত তাকে দেওয়ানি আদালতে আটক রাখতে পারেন দেনমোহর পরিশোধ না করা পর্যন্ত।
আপনি যদি পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে পারিবারিক সহিংসতা আইন, ২০১০-এর অধীনে এবং সরকারের আইনগত সুবিধা বিনা মূল্যে লিগ্যাল এইড, জজকোর্ট শাখা থেকে
পেতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি একজন চাকরিজীবী নারী। আমাদের মা প্যারালাইজড। ২০২০ সালের শেষের দিকে বাবা মারা গেছেন। বাবার নামে কিছু জমিজমা ছিল। আমরা দুই ভাই-বোন। বাবা মারা যাওয়ার আগের বছর আমার নিজের ভাইয়ের নামে আমাদের বাড়ি লিখে দেন। আমার ভাই তখন নাবালক ছিল। আমাদের এক সৎভাই আছে। তার বয়স ২৮। এখন সৎভাই বাবার ওপর রাগ করে আমাদের বাড়িকে কেন্দ্র করে মামলা করতে চাচ্ছে। সৎভাই সব জমিজমা একাই দখল করতে চাচ্ছে। আমি এখন কী করব?
লামিয়া তাবাসসুম, বরিশাল
উওর: আপনার বাবা জীবদ্দশায় তাঁর সম্পত্তি যদি আপনার নাবালক ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে হস্তান্তর করেন এবং/অথবা একজন অভিভাবক নিযুক্ত থাকেন আপনার নাবালক ভাইয়ের জমি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য, তবে আপনি বা আপনার সৎভাইয়ের সে জমির প্রতি কোনো অধিকার বর্তায় না। আপনার নাবালক ভাই যদি ইতিমধ্যে সাবালক হয়ে থাকেন এবং সে জমির দখলকার হয়ে থাকেন, তবে আপনার সৎভাই মোকদ্দমা করলেও কোনো প্রতিকার পাবেন না। সে জমি ছাড়া আপনার মৃত পিতার বাকি সব সম্পত্তি ফারায়েজ অনুযায়ী বণ্টন হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার, সুপ্রিম কোর্ট
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
৩ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৪ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৪ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৪ দিন আগে