আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা শহর থেকে সীমান্তবর্তী এ গ্রামগুলোর বেশির ভাগ ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে। পাটগ্রামের ৮ ইউনিয়নের প্রতিটির সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আনুমানিক ৫০ হাজার পরিবারের বাস। এসব পরিবারের বেশির ভাগই কৃষক এবং পরিবারের নারীদের প্রায় সবাই গৃহিণী।
শিক্ষা
পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্তবর্তী এলাকায় কথা হয়েছিল গৃহিণী রোজিনা বেগমের সঙ্গে। ৪০ বছর বয়সের রোজিনা জানান, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গ্রাম থেকে গড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ এবং কলেজ ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেশির ভাগ পরিবার ‘দূরের পথ’ বলে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠায় না। এ কারণে সীমান্ত এলাকাগুলোতে সার্বিক শিক্ষার হার কম আর নারীশিক্ষার হার প্রায় তলানিতে।
২০১১ সালের জেলা শুমারি অনুসারে পাটগ্রাম উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৪৬ শতাংশ। তবে এর মধ্যে নারীদের হার কত, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো চিত্র নেই।
বাল্যবিবাহ ও স্বাস্থ্যচিত্র
২০১৬ সালের বিশ্বব্যাংকের এসডিজি প্রতিবেদন বলছে, পাটগ্রামে অতি কম ওজনের শিশুর হার ৮.৬। এ তথ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের দারিদ্র্যের চিত্র। ফলে বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক পরিবর্তনের যে আলাদা গুরুত্ব আছে, এখানকার কিশোরীদের সে বিষয়ে সচেতনতা নেই বললে চলে।নিরাপত্তার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে এখনো এসব এলাকার পরিবারগুলোতে ছেলেদের কদর বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার বেশি এই এলাকায়। মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ছেলেদের তুলনায় বেশি বলে বয়স যা-ই হোক, বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করা হয় কৈশোর উত্তরণের আগে।
সীমান্তে সংসার
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কিশামত নিজ্জমা গ্রামের গৃহবধূ লিপি বেগম। ৪০ বছর বয়সের লিপি বলেন, ‘শরীর অসুস্থ হলেও কোনো উপায় থাকে না, সংসারের কাজ করতেই হয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা মেলে না। অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হলেও কিছু করার থাকে না।’
এত ‘না’-এর মধ্যে সংসারের হাল ধরে গৃহের বধূ হয়ে ওঠে সীমান্তের কিশোরীরা। বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি—এই যেন তাদের জীবনের পাঠ। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মানিয়ে চলতে না পারা, দারিদ্র্য এবং শারীরিক পরিশ্রমে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেক নারী। এরই মধ্যে কম বয়সে সন্তান ধারণ করেন। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। খেতে কাজ শেষে গৃহস্থালি, সন্তান সামলানো, গবাদিপশুর দেখভালসহ সংসারের প্রায় সব কাজে নারীদের অংশগ্রহণের মাত্রা বেশি। এর মধ্যে পান থেকে চুন খসলেই কারও কারও জীবনে নেমে আসে নির্যাতন।
‘অধিকার’ ও ‘ক্ষমতায়ন’ শব্দ দুটি যেন সীমান্তের নারীদের জীবনের সঙ্গে বেমানান। স্বামী ও ছেলের নামে করা সম্পত্তির দলিল এবং নারীদের নামে করা দলিলের আনুপাতিক হার আশঙ্কাজনক বৈষম্যে ভরা। সে কথা জানালেন কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম শমশেরপুরের গৃহিণী মোসলেমা বেগম। তিনি বলেন, ‘ন্যায্য অধিকার নারীরা কোথায় পায়? সব জায়গায় আমরা অবহেলিত। স্বামী-সন্তানের নামে সম্পত্তি বা জমি বেশি লেখা হয়। আর যা কাগজপত্রে থাকে, সেগুলো ভোগ করার ক্ষমতা বা সুযোগ থাকে না।’
প্রযুক্তির ব্যবহারেও পিছিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামের নারীরা। পরিবারের প্রধান স্বামী বা ছেলের হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। তাতে যুক্ত ইন্টারনেট। বেশির ভাগ নারীর হাতে মোবাইল ফোন নেই। কারও কারও হাতে আছে বেসিক ফোন।সীমান্তে ঝুঁকি
সীমান্ত সব সময় নারী-পুরুষ সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে নারীরা খেতে কাজ করেন। গরুসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি ছোড়ে। অনেক সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে ঢুকে পড়ে। পুরুষেরা দ্রুত সরে পড়লেও নারীদের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ভিতরবাড়ি এলাকার গৃহবধূ গলেজা বেগম জানান, সীমান্তে পরিবার নিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁদের। চোরাচালান রোধে বিএসএফ বাড়ির আঙিনায় চলে আসে কখনো কখনো। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। সীমান্তের জমিতে কাজ করার সময় তারা লাঠি ও বন্দুক দেখিয়ে কথা বলে।
সীমান্তে জীবনের বাস্তবতা আর সরকারি বক্তব্যের ধরন ভিন্ন। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছিমা পারভিন বলেন, ‘মেয়ে ও নারীদের যেকোনো প্রতিকূলতা ও সমস্যা জানতে পারলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। প্রকৃতপক্ষে নারীরা বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার মুখোমুখি হন। সীমান্ত এলাকার পরিবারগুলোতে একটু বেশি। নারী বা মেয়েদের অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো কিছু বাধা হতে পারবে না।’
আঙ্গরপোতা, বঙ্গেরবাড়ি, নাজির গুমানি, ঝালঙ্গী কিংবা কিশামত নিজ্জমা—এমন অসংখ্য গ্রাম আছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। এ উপজেলার প্রায় দেড় শ কিলোমিটার সীমানা ভারতের সঙ্গে। দহগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশ ছাড়া এই বিস্তীর্ণ এলাকার একাংশের পুরোটাতে আছে ভারতীয় কাঁটাতার।
পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা শহর থেকে সীমান্তবর্তী এ গ্রামগুলোর বেশির ভাগ ৫ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে। পাটগ্রামের ৮ ইউনিয়নের প্রতিটির সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় আনুমানিক ৫০ হাজার পরিবারের বাস। এসব পরিবারের বেশির ভাগই কৃষক এবং পরিবারের নারীদের প্রায় সবাই গৃহিণী।
শিক্ষা
পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গী পকেট সীমান্তবর্তী এলাকায় কথা হয়েছিল গৃহিণী রোজিনা বেগমের সঙ্গে। ৪০ বছর বয়সের রোজিনা জানান, এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গ্রাম থেকে গড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ এবং কলেজ ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেশির ভাগ পরিবার ‘দূরের পথ’ বলে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠায় না। এ কারণে সীমান্ত এলাকাগুলোতে সার্বিক শিক্ষার হার কম আর নারীশিক্ষার হার প্রায় তলানিতে।
২০১১ সালের জেলা শুমারি অনুসারে পাটগ্রাম উপজেলায় সাক্ষরতার হার ৪৬ শতাংশ। তবে এর মধ্যে নারীদের হার কত, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো চিত্র নেই।
বাল্যবিবাহ ও স্বাস্থ্যচিত্র
২০১৬ সালের বিশ্বব্যাংকের এসডিজি প্রতিবেদন বলছে, পাটগ্রামে অতি কম ওজনের শিশুর হার ৮.৬। এ তথ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে পাটগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের দারিদ্র্যের চিত্র। ফলে বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক পরিবর্তনের যে আলাদা গুরুত্ব আছে, এখানকার কিশোরীদের সে বিষয়ে সচেতনতা নেই বললে চলে।নিরাপত্তার অভাব ও দারিদ্র্যের কারণে এখনো এসব এলাকার পরিবারগুলোতে ছেলেদের কদর বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার বেশি এই এলাকায়। মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ছেলেদের তুলনায় বেশি বলে বয়স যা-ই হোক, বিয়ে দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করা হয় কৈশোর উত্তরণের আগে।
সীমান্তে সংসার
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কিশামত নিজ্জমা গ্রামের গৃহবধূ লিপি বেগম। ৪০ বছর বয়সের লিপি বলেন, ‘শরীর অসুস্থ হলেও কোনো উপায় থাকে না, সংসারের কাজ করতেই হয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা মেলে না। অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হলেও কিছু করার থাকে না।’
এত ‘না’-এর মধ্যে সংসারের হাল ধরে গৃহের বধূ হয়ে ওঠে সীমান্তের কিশোরীরা। বাবার বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি—এই যেন তাদের জীবনের পাঠ। আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মানিয়ে চলতে না পারা, দারিদ্র্য এবং শারীরিক পরিশ্রমে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেক নারী। এরই মধ্যে কম বয়সে সন্তান ধারণ করেন। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। খেতে কাজ শেষে গৃহস্থালি, সন্তান সামলানো, গবাদিপশুর দেখভালসহ সংসারের প্রায় সব কাজে নারীদের অংশগ্রহণের মাত্রা বেশি। এর মধ্যে পান থেকে চুন খসলেই কারও কারও জীবনে নেমে আসে নির্যাতন।
‘অধিকার’ ও ‘ক্ষমতায়ন’ শব্দ দুটি যেন সীমান্তের নারীদের জীবনের সঙ্গে বেমানান। স্বামী ও ছেলের নামে করা সম্পত্তির দলিল এবং নারীদের নামে করা দলিলের আনুপাতিক হার আশঙ্কাজনক বৈষম্যে ভরা। সে কথা জানালেন কুচলীবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম শমশেরপুরের গৃহিণী মোসলেমা বেগম। তিনি বলেন, ‘ন্যায্য অধিকার নারীরা কোথায় পায়? সব জায়গায় আমরা অবহেলিত। স্বামী-সন্তানের নামে সম্পত্তি বা জমি বেশি লেখা হয়। আর যা কাগজপত্রে থাকে, সেগুলো ভোগ করার ক্ষমতা বা সুযোগ থাকে না।’
প্রযুক্তির ব্যবহারেও পিছিয়ে সীমান্তবর্তী গ্রামের নারীরা। পরিবারের প্রধান স্বামী বা ছেলের হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। তাতে যুক্ত ইন্টারনেট। বেশির ভাগ নারীর হাতে মোবাইল ফোন নেই। কারও কারও হাতে আছে বেসিক ফোন।সীমান্তে ঝুঁকি
সীমান্ত সব সময় নারী-পুরুষ সবার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এসব এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে নারীরা খেতে কাজ করেন। গরুসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাচার রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি ছোড়ে। অনেক সময় তারা সীমান্ত অতিক্রম করে গ্রামে ঢুকে পড়ে। পুরুষেরা দ্রুত সরে পড়লেও নারীদের পক্ষে তা সম্ভব হয় না।
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ভিতরবাড়ি এলাকার গৃহবধূ গলেজা বেগম জানান, সীমান্তে পরিবার নিয়ে, বিশেষ করে মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁদের। চোরাচালান রোধে বিএসএফ বাড়ির আঙিনায় চলে আসে কখনো কখনো। অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। সীমান্তের জমিতে কাজ করার সময় তারা লাঠি ও বন্দুক দেখিয়ে কথা বলে।
সীমান্তে জীবনের বাস্তবতা আর সরকারি বক্তব্যের ধরন ভিন্ন। এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছিমা পারভিন বলেন, ‘মেয়ে ও নারীদের যেকোনো প্রতিকূলতা ও সমস্যা জানতে পারলে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। প্রকৃতপক্ষে নারীরা বিভিন্ন জায়গায় সমস্যার মুখোমুখি হন। সীমান্ত এলাকার পরিবারগুলোতে একটু বেশি। নারী বা মেয়েদের অদম্য ইচ্ছা থাকলে কোনো কিছু বাধা হতে পারবে না।’
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
২ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৩ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৩ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩ দিন আগে