আশরাফুল আলম আপন বদরগঞ্জ (রংপুর)
তেরো বছর বয়সে বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি থেকে লেখাপড়া বন্ধের দাবি। কথা ছিল, রেবা রায় হারিয়ে যাবেন আর দশজন মেয়ের মতো। কিন্তু রেবা ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। জীবন সাজিয়েছেন নিজের মতো করে।
ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী। স্বামীর সংসার সামলিয়ে লেখাপড়া চালিয়েছেন তিনি। নিজ প্রচেষ্টায় সফলও হয়েছেন। এখন তিনি চাকরি করছেন বদরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর এক ছেলে ও যমজ মেয়েদের এমবিবিএস পাস করিয়ে চিকিৎসক বানিয়েছেন। তাঁর ছেলের বউ এবং দুই জামাতাও চিকিৎসক। রেবার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ পৌর শহরের থানাপাড়ায়।
রেবার বাবা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা গৃহিণী।
১০ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। এই বিশাল পরিবার চলাতে কষ্ট হয় বাবার। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় রেবার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পারিবারিকভাবে। কিন্তু সে বয়সে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি ছিলেন না। অনেকটাই পরিবারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণিতে পা রাখেন বেরা।
১৯৭৯ সাল। রেবার বয়স ১৩ বছর। একদিন নবম শ্রেণিতে ক্লাস করা অবস্থায় তাঁর ছোট বোন স্কুলে গিয়ে জরুরি কারণে ডেকে আনেন বাড়িতে। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো বাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেবা তড়িঘড়ি করে বাড়িতে এসে দেখেন অনেক লোক ভিড় করছেন, সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি। তাঁর ঠাকুরমা (দাদি) জানান, রেবার জন্য ভালো বর পাওয়া গেছে। তাঁর বিয়ে!
ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন রেবা। সে সময় তাঁর স্বামী ধনঞ্জয় রায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বিয়ের আগে কথা ছিল, স্বামীর পরিবার রেবার লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেবে। কিন্তু তাঁরা কথা রাখেননি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় লেখাপড়া বন্ধের নির্দেশনা আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। এরপর চিন্তিত হয়ে পড়েন রেবা। লেখাপড়ার খরচ দেন না স্বামীর পরিবার। অনেকটাই বন্ধের পথে তাঁর লেখাপড়া।
একদিন রেবা সিদ্ধান্ত নেন প্রয়োজনে সংসার ছাড়বেন, তবু লেখাপড়া ছাড়বেন না। পরে তিনি টিউশনি করা টাকায় এসএসসি পাস করেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এমবিবিএস পাস করে চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ডিপ্লোমা পাস করে ১৯৮৮ সালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নেন। এরপর ১৯৯৫ সালে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চাকরি হলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
সংসারজীবনে একজন সফল মা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বামীর সংসার সামলিয়েছেন। চাকরিজীবনেও তিনি সাফল্য পেয়েছেন। পেয়েছেন জেলা ও উপজেলা থেকে অনেক পুরস্কার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের এবং রংপুর বিভাগের সহসভাপতি। রেবা রায় বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল এমবিবিএস পাস করে চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকট এবং অল্পে বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে
সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’
অল্প বয়সে বিয়ের পরও একজন সফল মা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেবা রায় বলেন, ‘নিজের ইচ্ছা, সততা ও স্বচ্ছতা থাকলে সবই সম্ভব। কারণ নিজের জীবন নিজেকে গোছাতে হবে। কারও ওপর নির্ভর না করে নিজের লক্ষ্য কী, তা নিয়ে এগোতে হবে। আমি অনেকটা যুদ্ধ করে আজ এ জায়গায় এসেছি।’
তেরো বছর বয়সে বিয়ে। শ্বশুরবাড়ি থেকে লেখাপড়া বন্ধের দাবি। কথা ছিল, রেবা রায় হারিয়ে যাবেন আর দশজন মেয়ের মতো। কিন্তু রেবা ঠিক ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। জীবন সাজিয়েছেন নিজের মতো করে।
ছিলেন মেধাবী শিক্ষার্থী। স্বামীর সংসার সামলিয়ে লেখাপড়া চালিয়েছেন তিনি। নিজ প্রচেষ্টায় সফলও হয়েছেন। এখন তিনি চাকরি করছেন বদরগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর এক ছেলে ও যমজ মেয়েদের এমবিবিএস পাস করিয়ে চিকিৎসক বানিয়েছেন। তাঁর ছেলের বউ এবং দুই জামাতাও চিকিৎসক। রেবার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ পৌর শহরের থানাপাড়ায়।
রেবার বাবা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা গৃহিণী।
১০ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। এই বিশাল পরিবার চলাতে কষ্ট হয় বাবার। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় রেবার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পারিবারিকভাবে। কিন্তু সে বয়সে তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি ছিলেন না। অনেকটাই পরিবারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণিতে পা রাখেন বেরা।
১৯৭৯ সাল। রেবার বয়স ১৩ বছর। একদিন নবম শ্রেণিতে ক্লাস করা অবস্থায় তাঁর ছোট বোন স্কুলে গিয়ে জরুরি কারণে ডেকে আনেন বাড়িতে। তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো বাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেবা তড়িঘড়ি করে বাড়িতে এসে দেখেন অনেক লোক ভিড় করছেন, সাজানো হয়েছে পুরো বাড়ি। তাঁর ঠাকুরমা (দাদি) জানান, রেবার জন্য ভালো বর পাওয়া গেছে। তাঁর বিয়ে!
ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন রেবা। সে সময় তাঁর স্বামী ধনঞ্জয় রায় অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বিয়ের আগে কথা ছিল, স্বামীর পরিবার রেবার লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেবে। কিন্তু তাঁরা কথা রাখেননি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় লেখাপড়া বন্ধের নির্দেশনা আসে শ্বশুরবাড়ি থেকে। এরপর চিন্তিত হয়ে পড়েন রেবা। লেখাপড়ার খরচ দেন না স্বামীর পরিবার। অনেকটাই বন্ধের পথে তাঁর লেখাপড়া।
একদিন রেবা সিদ্ধান্ত নেন প্রয়োজনে সংসার ছাড়বেন, তবু লেখাপড়া ছাড়বেন না। পরে তিনি টিউশনি করা টাকায় এসএসসি পাস করেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এমবিবিএস পাস করে চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ডিপ্লোমা পাস করে ১৯৮৮ সালে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নেন। এরপর ১৯৯৫ সালে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চাকরি হলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
সংসারজীবনে একজন সফল মা হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বামীর সংসার সামলিয়েছেন। চাকরিজীবনেও তিনি সাফল্য পেয়েছেন। পেয়েছেন জেলা ও উপজেলা থেকে অনেক পুরস্কার। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের এবং রংপুর বিভাগের সহসভাপতি। রেবা রায় বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল এমবিবিএস পাস করে চিকিৎসক হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সংকট এবং অল্পে বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে
সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।’
অল্প বয়সে বিয়ের পরও একজন সফল মা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রেবা রায় বলেন, ‘নিজের ইচ্ছা, সততা ও স্বচ্ছতা থাকলে সবই সম্ভব। কারণ নিজের জীবন নিজেকে গোছাতে হবে। কারও ওপর নির্ভর না করে নিজের লক্ষ্য কী, তা নিয়ে এগোতে হবে। আমি অনেকটা যুদ্ধ করে আজ এ জায়গায় এসেছি।’
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
২ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৩ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৩ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩ দিন আগে