জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার প্রতি মারুফা আক্তারের খুব আগ্রহ। বর্গাচাষি বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহ গ্রামের লোকের বাঁকা কথায় পাত্তা না দিয়ে মারুফার স্বপ্নপূরণে সহায়তা করেছেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আইমুল্লাহর। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.০৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আক্তার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি, ঢাকা) মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীর এলাকার দরিদ্র কৃষক আইমুল্লাহর ছোট মেয়ে মারুফা আক্তার। ছোটবেলা থেকে তাঁর ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা। প্রথম দিকে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলতেন। স্থানীয় কাদিখোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন মাদ্রাসায়। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পোড়ারহাট আলিম মাদ্রাসায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ডাক পড়ে বিকেএসপিতে। ২০২১ সালে করোনাকালে খেলা বন্ধ থাকায় বাবার সঙ্গে বর্গা জমিতে মই টানার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন মারুফা। বড় ভাই আল-আমিন জানান, অভাব-অনটনের সংসারে দুবেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য যেখানে সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে ক্রিকেট খেলা বিলাসিতা মনে হয়েছিল মারুফার। তাই করোনার সময় পারিবারিক দুরবস্থায় ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে এগিয়ে আসে বিসিবি। মারুফা ফিরে যান আগের ঠিকানা বিকেএসপিতে। বছর না পেরোতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৮ বছর বয়সে ডাক পান জাতীয় দলে।
মারুফা আক্তার জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন তিনি। বড় ভাই আল-আমিন আর তিনি বাড়ি লাগোয়া রেললাইনের পাশে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করতেন। ২০১৮ সালে বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়ার পর সেখানে দুই মাস ক্যাম্প করেন। ক্যাম্প শেষে ইমতিয়াজ হোসেন পিলুর মাধ্যমে তিনি ২০১৯ সালে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন মারুফা।
মারুফার এসএসসির ফলে খুশি বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘মেয়ে খেলাধুলা করেও যে রেজাল্ট করেছে, এতে আমি অনেক খুশি।’
নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন জানান, ‘বিশ্বের দরবারে ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ মারুফা বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন তাঁর নৈপুণ্যে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা মেয়েটি অল্প সময়ে ক্রিকেট জগতে তোলপাড় করায় আমরা অভিভূত।’
ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার প্রতি মারুফা আক্তারের খুব আগ্রহ। বর্গাচাষি বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহ গ্রামের লোকের বাঁকা কথায় পাত্তা না দিয়ে মারুফার স্বপ্নপূরণে সহায়তা করেছেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আইমুল্লাহর। এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.০৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আক্তার। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি, ঢাকা) মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি।
নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীর এলাকার দরিদ্র কৃষক আইমুল্লাহর ছোট মেয়ে মারুফা আক্তার। ছোটবেলা থেকে তাঁর ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা। প্রথম দিকে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলতেন। স্থানীয় কাদিখোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন মাদ্রাসায়। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পোড়ারহাট আলিম মাদ্রাসায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ডাক পড়ে বিকেএসপিতে। ২০২১ সালে করোনাকালে খেলা বন্ধ থাকায় বাবার সঙ্গে বর্গা জমিতে মই টানার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন মারুফা। বড় ভাই আল-আমিন জানান, অভাব-অনটনের সংসারে দুবেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য যেখানে সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে ক্রিকেট খেলা বিলাসিতা মনে হয়েছিল মারুফার। তাই করোনার সময় পারিবারিক দুরবস্থায় ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে এগিয়ে আসে বিসিবি। মারুফা ফিরে যান আগের ঠিকানা বিকেএসপিতে। বছর না পেরোতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৮ বছর বয়সে ডাক পান জাতীয় দলে।
মারুফা আক্তার জানান, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন তিনি। বড় ভাই আল-আমিন আর তিনি বাড়ি লাগোয়া রেললাইনের পাশে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করতেন। ২০১৮ সালে বিকেএসপিতে সুযোগ পাওয়ার পর সেখানে দুই মাস ক্যাম্প করেন। ক্যাম্প শেষে ইমতিয়াজ হোসেন পিলুর মাধ্যমে তিনি ২০১৯ সালে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন মারুফা।
মারুফার এসএসসির ফলে খুশি বাবা মোহাম্মদ আইমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘মেয়ে খেলাধুলা করেও যে রেজাল্ট করেছে, এতে আমি অনেক খুশি।’
নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন জানান, ‘বিশ্বের দরবারে ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ মারুফা বাংলাদেশকে তুলে ধরছেন তাঁর নৈপুণ্যে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা মেয়েটি অল্প সময়ে ক্রিকেট জগতে তোলপাড় করায় আমরা অভিভূত।’
পঞ্চাশের পর নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া বেশির ভাগ নারীর সাধারণ প্রবণতা। খুব কম সংখ্যার নারী নিজেদের বিকশিত রাখতে পছন্দ করেন। তবে বয়সের কারণে গুটিয়ে না গিয়ে নিজেদের বিকশিত করার এই প্রবণতা এখন কিছুটা বেড়েছে বলা চলে। বিষয়টিকে বলা হচ্ছে ‘মিডলাইফ গ্লো আপ’। বাংলায় একে বলা যায় ‘মাঝবয়সের নয়া দীপ্তি’।
৩ দিন আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ, মতপ্রকাশ, ব্যবসা, এমনকি সচেতনতা তৈরির কাজেও এখন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির আলোর নিচে গাঢ় হয়ে উঠেছে এক নতুন অন্ধকার, যাকে বলা হয় সাইবার হয়রানি।
৫ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর চারদিক আগুন ও ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সে সময় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেন শিক্ষিকা মাসুকা বেগম।
৫ দিন আগেকালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে কুটিরশিল্পের অন্যতম বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। একসময় বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সংসারের কাজের অন্যতম মাধ্যম হলেও আজ তা প্লাস্টিক জিনিসপত্রের ভিড়ে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবু এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে, আর পূর্বপুরুষের পেশা টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন মাদারীপুরের রাজৈর
৫ দিন আগে