আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে ডুবে থাকা শহর মোগাদিসু। ধীরে ধীরে অবস্থার বদল হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই শহরের দৃষ্টিরেখায় এখন ক্রেন, স্ক্যাফোল্ডিং আর আধুনিক ভবন। নির্মাণকাজের এক নীরব বিপ্লব চলছে সেখানে। আর এই নির্মাণকর্মীদের একাংশ তরুণ নারী প্রকৌশলী। এই প্রকৌশলীদের বয়সের গড় ২৪ বছর। এই বয়সে অনেকে তদারক করছেন ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স নির্মাণ। সেফটি হেলমেট পরে তাঁরা নির্মাণসামগ্রীর ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন শ্রমিক দলকে।
দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ এবং অস্থিরতার পর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সোমালিয়া। বুলেটবিদ্ধ ভবন আর পরিত্যক্ত জমির শহর মোগাদিসু এখন নতুন হোটেল, অফিস ভবন, আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ও শপিং মলের শহর হয়ে উঠছে। এই নির্মাণ-উন্নয়নের পেছনে রয়েছে প্রবাসী সোমালিদের বিনিয়োগ, বেসরকারি খাতের বিস্তার এবং সরকারি পুনর্গঠনের নানা উদ্যোগ। আর সোমালিয়ার রাজধানী নতুন করে গড়ে তোলার এই নির্মাণযাত্রার অগ্রভাগে রয়েছেন নারীরা।
মোগাদিসুর হোদান জেলার তালেহ এলাকায় একটি ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের নির্মাণ তদারক করছেন ফাতি মোহামেদ আবদি ও সাদিয়া আহমেদ ওমরের মতো তরুণী প্রকৌশলীরা। ফাতি মোহামেদ আবদি বলেন, ‘শুরুর দিকে সবাই সন্দেহ করেছিল, নারী প্রকৌশলীরা কি মাটিতে কাজ সামলাতে পারবেন?’ কিন্তু নিজের দক্ষতা দিয়ে সব সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে তাঁদের তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
মোগাদিসুতে কাজ করা প্রকৌশলীদের ৫ শতাংশ নারী। এই তরুণ প্রকৌশলীরা মেন্টরশিপের অভাবে ভুগছেন। সোমালিয়া ইঞ্জিনিয়ার সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আবদি হেইলে মনে করেন, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর চাহিদার কারণে নারীদের এই খাতে স্থান সৃষ্টি হচ্ছে। সমিতি সক্রিয়ভাবে নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করছে। কারণ, তাঁদের দক্ষতা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী শক্তি আনে। গত পাঁচ বছরে মোগাদিসুতে ৬ হাজারের বেশি ভবন নির্মিত হয়েছে, যা শহরের চেহারায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে।
সোমালিয়ার সমাজে নারীদের এই কর্মোদ্দীপনার গুরুত্ব অনেক। এখনো দেশটিতে লৈঙ্গিক বৈষম্য, নিরাপত্তা সমস্যা ও শিক্ষার সীমাবদ্ধতা নারীদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে
বড় বাধা। সেই পরিস্থিতি এখন বদলাচ্ছে। সোমালি উইমেনস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষায় নারীদের ভর্তি
৪০ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ ব্যবস্থাপনা এবং নগর-পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা বেশি। বিভিন্ন এনজিও এবং অনুদানভিত্তিক প্রকল্প নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ এবং মেন্টরশিপ চালু করেছে। যেমন মোগাদিসু ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি নারীদের জন্য একটি বিশেষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছে।
সোমালিয়ার এই বিপুল পরিবর্তনের আরেক বড় চালিকাশক্তি হলো প্রবাসী সোমালি নারীরা। যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসছেন এবং স্থাপত্য, ডিজাইন ও প্রকৌশল শাখায় কাজ করছেন। তাঁদের বিনিয়োগ ও উদ্যোগ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করছে। একদিকে নিশ্চিতভাবে মোগাদিসুর দিগন্তরেখায় পরিবর্তন আসছে। অন্যদিকে সেখানেই বদলে যাচ্ছে নারী ও পুরুষের কাজের মানসিকতা।
সূত্র: বিবিসি, এক্স টিআর আফ্রিকা
যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপে ডুবে থাকা শহর মোগাদিসু। ধীরে ধীরে অবস্থার বদল হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই শহরের দৃষ্টিরেখায় এখন ক্রেন, স্ক্যাফোল্ডিং আর আধুনিক ভবন। নির্মাণকাজের এক নীরব বিপ্লব চলছে সেখানে। আর এই নির্মাণকর্মীদের একাংশ তরুণ নারী প্রকৌশলী। এই প্রকৌশলীদের বয়সের গড় ২৪ বছর। এই বয়সে অনেকে তদারক করছেন ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স নির্মাণ। সেফটি হেলমেট পরে তাঁরা নির্মাণসামগ্রীর ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন শ্রমিক দলকে।
দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ এবং অস্থিরতার পর ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সোমালিয়া। বুলেটবিদ্ধ ভবন আর পরিত্যক্ত জমির শহর মোগাদিসু এখন নতুন হোটেল, অফিস ভবন, আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ও শপিং মলের শহর হয়ে উঠছে। এই নির্মাণ-উন্নয়নের পেছনে রয়েছে প্রবাসী সোমালিদের বিনিয়োগ, বেসরকারি খাতের বিস্তার এবং সরকারি পুনর্গঠনের নানা উদ্যোগ। আর সোমালিয়ার রাজধানী নতুন করে গড়ে তোলার এই নির্মাণযাত্রার অগ্রভাগে রয়েছেন নারীরা।
মোগাদিসুর হোদান জেলার তালেহ এলাকায় একটি ১০ তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের নির্মাণ তদারক করছেন ফাতি মোহামেদ আবদি ও সাদিয়া আহমেদ ওমরের মতো তরুণী প্রকৌশলীরা। ফাতি মোহামেদ আবদি বলেন, ‘শুরুর দিকে সবাই সন্দেহ করেছিল, নারী প্রকৌশলীরা কি মাটিতে কাজ সামলাতে পারবেন?’ কিন্তু নিজের দক্ষতা দিয়ে সব সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে তাঁদের তত্ত্বাবধানে এখন পর্যন্ত ৩০টির বেশি মিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
মোগাদিসুতে কাজ করা প্রকৌশলীদের ৫ শতাংশ নারী। এই তরুণ প্রকৌশলীরা মেন্টরশিপের অভাবে ভুগছেন। সোমালিয়া ইঞ্জিনিয়ার সমিতির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আবদি হেইলে মনে করেন, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর চাহিদার কারণে নারীদের এই খাতে স্থান সৃষ্টি হচ্ছে। সমিতি সক্রিয়ভাবে নারীদের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করছে। কারণ, তাঁদের দক্ষতা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্ভাবনী শক্তি আনে। গত পাঁচ বছরে মোগাদিসুতে ৬ হাজারের বেশি ভবন নির্মিত হয়েছে, যা শহরের চেহারায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে।
সোমালিয়ার সমাজে নারীদের এই কর্মোদ্দীপনার গুরুত্ব অনেক। এখনো দেশটিতে লৈঙ্গিক বৈষম্য, নিরাপত্তা সমস্যা ও শিক্ষার সীমাবদ্ধতা নারীদের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে
বড় বাধা। সেই পরিস্থিতি এখন বদলাচ্ছে। সোমালি উইমেনস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন বছরে কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষায় নারীদের ভর্তি
৪০ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ ব্যবস্থাপনা এবং নগর-পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা বেশি। বিভিন্ন এনজিও এবং অনুদানভিত্তিক প্রকল্প নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ এবং মেন্টরশিপ চালু করেছে। যেমন মোগাদিসু ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি নারীদের জন্য একটি বিশেষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছে।
সোমালিয়ার এই বিপুল পরিবর্তনের আরেক বড় চালিকাশক্তি হলো প্রবাসী সোমালি নারীরা। যাঁরা বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে আসছেন এবং স্থাপত্য, ডিজাইন ও প্রকৌশল শাখায় কাজ করছেন। তাঁদের বিনিয়োগ ও উদ্যোগ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করছে। একদিকে নিশ্চিতভাবে মোগাদিসুর দিগন্তরেখায় পরিবর্তন আসছে। অন্যদিকে সেখানেই বদলে যাচ্ছে নারী ও পুরুষের কাজের মানসিকতা।
সূত্র: বিবিসি, এক্স টিআর আফ্রিকা
নারী কোটা কমিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা নারীর কর্মসংস্থানকে দুর্বল ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতাকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছে নারীপক্ষ। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।
১ দিন আগেনারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি গত ৩ আগস্ট নিজেই রক্তমাখা ছুরিসহ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। ১৩ আগস্ট পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় চার সন্তানের মা এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেই ঘটনার প্রতিবেদনে দেখা যায়...
২ দিন আগেবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে যখন উদ্যোক্তা হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং কাজ বেছে নিলেন, আশপাশের মানুষ তখন রীতিমতো হইচই শুরু করে দিল। এ রকম সুযোগ কেউ কি হাতছাড়া করে? কিন্তু তিনি তখন স্বাধীনভাবে কিছু করার স্বপ্নে বিভোর। তিনি এখন কেবল সফল উদ্যোক্তাই নন, উদ্যোক্তা সৃষ্টির কারিগরও...
২ দিন আগেনারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩ সেপ্টেম্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন—‘সিডও দিবস’। ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘে গৃহীত হয় কনভেনশন অন দ্য এলিমিনেশন অব অল ফরমস অব ডিসক্রিমিনেশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন (সিডও)। সেটি আজ নারীর অধিকার রক্ষায় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আইনি দলিলগুলোর একটি। এটি শুধু একটি নীতিমালা নয়, বরং বৈষম্য...
২ দিন আগে