ফারজানা রহমান
আমি ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে মানসিক নির্যাতনের মধ্যে বড় হয়েছি। মা-বাবার সম্পর্ক সব সময় খারাপ ছিল—মারামারি, ঝগড়া, মানসিক অশান্তি চোখের সামনে দেখেছি। মায়ের সহায়তা পাইনি। ছোটবেলা থেকে অপমান সয়ে এসেছি। মা অনেক সময় অন্যদের সামনে খাটো করত। কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল মানুষ হয়ে ওঠা। বাবার টাকা যেন কম খরচ হয়, তাই স্কুলে হেঁটে যেতাম, দিস্তার খাতায় লিখতাম, টিফিনে পাঁচ টাকার বেশি খরচ করতাম না। ভালো কলেজে পড়ব, এই ছিল আশা। পরিবার পাশের কলেজে পড়তে বলল, প্রাইভেটে দেয়নি এমনকি আমার সিদ্ধান্তও মানেনি।
এই একাকিত্ব আর যন্ত্রণায় একসময় একজনকে ভালোবেসে ফেলি। সে আমার অনুভব বুঝত, কষ্টকে সম্মান করত, বিনিময়ে কিছু চাইত না। আমরা পালিয়ে বিয়ে করি; কিন্তু পরিবার সেটা মানেনি। আমাকে ফিরিয়ে এনে আটকে রাখে, মানসিক নির্যাতন করে, মিথ্যা কথা বলে এমনকি কালো জাদু পর্যন্ত করে। ছেলেটা আমাকে কষ্ট দেয়নি; বরং আমার সীমাবদ্ধতার প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে। এখন পরিবার আমাকে ডিভোর্সে বাধ্য করতে চায় এবং আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবার বিয়ের প্ল্যান করছে।
আমি এখনো অনার্সে পড়ি, ভালো রেজাল্ট করছি। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। তাই বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটা রুম বা মেসে থাকতে চাচ্ছি। জানি না কীভাবে কী করব! ফাতেমা তুজ জোহরা, নীলফামারী
আপনি এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পরাজিত হননি, বারবার চেষ্টা করেছেন, সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন, এটা আপনার চরিত্রের ইতিবাচক দিক। যারা শৈশবে খুব মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, অবহেলা ও অযত্নে বড় হয়, সাধারণত তাদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
তবে এটাও প্রমাণিত, শৈশবে প্রতিকূল পরিবেশে বড় হওয়া শিশুরা যদি তাদের জীবনের কোনো পর্যায়ে সহমর্মী ও স্নেহময় মানুষের সংস্পর্শে আসে; তবে তার জীবনে মানসিক সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।
এ ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর মাধ্যমে শৈশবের শূন্যতা ইতিবাচকভাবে পূরণ হয়েছে। আপনি সত্যিই একজন অসাধারণ হার না মানা নারী। অবশ্যই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। একটু খোঁজ করলে যেকোনো শহরে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল পাবেন। সেখানে উঠে প্রশিক্ষণ বা চাকরির চেষ্টা করতে পারেন। আরেকটি কথা, যেহেতু স্বামীর সঙ্গে আপনার বন্ধন সুন্দর ও পরীক্ষিত, তাই পারিবারিক চাপে সম্পর্কটি নষ্ট করা ঠিক হবে না।
আপনি মানসিকভাবে খুব দৃঢ়। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যান। আপনার জয় সুনিশ্চিত।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
আমি ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে মানসিক নির্যাতনের মধ্যে বড় হয়েছি। মা-বাবার সম্পর্ক সব সময় খারাপ ছিল—মারামারি, ঝগড়া, মানসিক অশান্তি চোখের সামনে দেখেছি। মায়ের সহায়তা পাইনি। ছোটবেলা থেকে অপমান সয়ে এসেছি। মা অনেক সময় অন্যদের সামনে খাটো করত। কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল মানুষ হয়ে ওঠা। বাবার টাকা যেন কম খরচ হয়, তাই স্কুলে হেঁটে যেতাম, দিস্তার খাতায় লিখতাম, টিফিনে পাঁচ টাকার বেশি খরচ করতাম না। ভালো কলেজে পড়ব, এই ছিল আশা। পরিবার পাশের কলেজে পড়তে বলল, প্রাইভেটে দেয়নি এমনকি আমার সিদ্ধান্তও মানেনি।
এই একাকিত্ব আর যন্ত্রণায় একসময় একজনকে ভালোবেসে ফেলি। সে আমার অনুভব বুঝত, কষ্টকে সম্মান করত, বিনিময়ে কিছু চাইত না। আমরা পালিয়ে বিয়ে করি; কিন্তু পরিবার সেটা মানেনি। আমাকে ফিরিয়ে এনে আটকে রাখে, মানসিক নির্যাতন করে, মিথ্যা কথা বলে এমনকি কালো জাদু পর্যন্ত করে। ছেলেটা আমাকে কষ্ট দেয়নি; বরং আমার সীমাবদ্ধতার প্রতি তার শ্রদ্ধা রয়েছে। এখন পরিবার আমাকে ডিভোর্সে বাধ্য করতে চায় এবং আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবার বিয়ের প্ল্যান করছে।
আমি এখনো অনার্সে পড়ি, ভালো রেজাল্ট করছি। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। তাই বাসা থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটা রুম বা মেসে থাকতে চাচ্ছি। জানি না কীভাবে কী করব! ফাতেমা তুজ জোহরা, নীলফামারী
আপনি এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পরাজিত হননি, বারবার চেষ্টা করেছেন, সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন, এটা আপনার চরিত্রের ইতিবাচক দিক। যারা শৈশবে খুব মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, অবহেলা ও অযত্নে বড় হয়, সাধারণত তাদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
তবে এটাও প্রমাণিত, শৈশবে প্রতিকূল পরিবেশে বড় হওয়া শিশুরা যদি তাদের জীবনের কোনো পর্যায়ে সহমর্মী ও স্নেহময় মানুষের সংস্পর্শে আসে; তবে তার জীবনে মানসিক সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।
এ ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর মাধ্যমে শৈশবের শূন্যতা ইতিবাচকভাবে পূরণ হয়েছে। আপনি সত্যিই একজন অসাধারণ হার না মানা নারী। অবশ্যই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। একটু খোঁজ করলে যেকোনো শহরে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল পাবেন। সেখানে উঠে প্রশিক্ষণ বা চাকরির চেষ্টা করতে পারেন। আরেকটি কথা, যেহেতু স্বামীর সঙ্গে আপনার বন্ধন সুন্দর ও পরীক্ষিত, তাই পারিবারিক চাপে সম্পর্কটি নষ্ট করা ঠিক হবে না।
আপনি মানসিকভাবে খুব দৃঢ়। লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যান। আপনার জয় সুনিশ্চিত।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
আত্মহত্যা মানে শুধু একজন মানুষের মৃত্যু নয়; সেটি সমাজের একেকটি ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বব্যাপী নারীর মৃত্যুহার পুরুষের তুলনায় কম হলেও আত্মহত্যার ঝুঁকি ও কারণগুলো জটিল এবং বহুস্তরীয়। পারিবারিক নির্যাতন, সামাজিক চাপ, অর্থনৈতিক অক্ষমতা, সাংস্কৃতিক নিয়ম, মানসিক রোগ—সব মিলিয়ে নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার..
৬ ঘণ্টা আগেমাজুলি, আসাম। এখন এর পরিচিতি বিশ্বের বৃহত্তম নদীদ্বীপ হিসেবে। তবে সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই দ্বীপ এখন ভয়ংকর এক বাস্তবতার মুখোমুখি। বন্যা, ভাঙন আর ভূমিক্ষয়ের দুঃখ যেন এখানে প্রত্যেক মানুষকে গ্রাস করছে। সেই বাস্তবতার মাঝে নতুন আশার আলো নিয়ে এগিয়ে এসেছেন ২৫ বছরের এক তরুণী—মুনমুনি পায়েং...
৭ ঘণ্টা আগে৩১ আগস্ট ২০২৫। আফগানিস্তানের কুনার ও নানগারহার প্রদেশে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প সবকিছু তছনছ করে দেয়। সরকারি তথ্যমতে, সে দেশে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। এ ছাড়া ধ্বংস হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ঘরবাড়ি। ভূমিকম্পে অনেক পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়েছে...
৮ ঘণ্টা আগেআমার বয়স ৪০ বছর। আমি গানের শিক্ষক। বাসায় গান শেখাই। বিয়ে হয়েছে ২০১৮ সালে। এরপর বুঝতে পারি, স্বামী নেশাগ্রস্ত। আমার দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ইদানীং স্বামী কথায় কথায় আমার ওপর নির্যাতন করছে। সেটা আবার আমার ছেলের সামনেই। এই সংসারে আর থাকতে চাই না। কিন্তু এ বিষয়ে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতও করতে...
৯ ঘণ্টা আগে