নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মনে রেখো বোনেরা, ফ্যাসিবাদ চায় তোমাদের শুধু দাসী ও সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বানাতে। সেই নারীযোদ্ধাদের কথা ভুলে যেয়ো না, যারা ফ্যাসিবাদীদের হাতে প্রাণ দিয়েছে এবং কারাবরণ করেছে।’ যে সময়ে ক্লারা জেটকিন জোর গলায় এই বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছিলেন, সে সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিল নারীরা। ছিল না তাদের শিক্ষার অধিকারও। এমনকি তখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি নারীর ভোটাধিকার। এ রকম প্রতিকূল পরিবেশে জার্মানিতে বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ১৯৩৮ সালে এই সাহসী বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ জানানোয় জার্মান ফ্যাসিস্ট বাহিনীর হাতে সে সময় গ্রেপ্তারও হন তিনি।
ক্লারা জেটকিন, শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ে নারী নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্তের নাম। তাঁর নেতৃত্বেই সংগঠিত হয় প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৯১১ সালে ৮ মার্চকে নারী দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেন তিনি।
শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ে নারী নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ক্লারা জন্মেছিলেন ১৮৫৭ সালের ৫ জুলাই, জার্মানির সাক্সনি গ্রামে। এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাঁর বেড়ে ওঠা। তাঁর বাবা গটফ্রেড আইজেনার ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও দক্ষ বেহালাবাদক। মা জোসেকিন ভেইটালে আইজেনার ছিলেন সুশিক্ষিত প্রগতিশীল নারী।
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্য দিয়েও সমাজের ভেতর যে একটা সংস্কৃতিগত প্রগতিশীল রূপান্তর আনা যেতে পারে, সে ব্যাপারে ক্লারা জেটকিন বেশ সচেতন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৮৯১ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘ইকুয়ালিটি’ নামে নারীদের একটি পত্রিকা। এর মাধ্যমেই ক্লারা নারীদের মধ্যে সংগ্রামী চেতনা জাগানোর পাশাপাশি ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
সহজে সবার সঙ্গে মিশতে পারা এবং যেকোনো বিষয়কে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারা ক্লারা জেটকিন জীবনের চড়াই-উতরাই পেছনে ফেলে সমতার আদর্শে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। বিপ্লবী হওয়ার কারণে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক অভাব-অভিযোগ, রোগ-ব্যাধি, বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কিন্তু থামিয়ে দেননি নারীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। ১৯৩৩ সালের ২০ জুন মস্কোতে মৃত্যুবরণ করেন ক্লারা। নারীমুক্তি আন্দোলনের এই পথিকৃৎকে সম্মান জানিয়ে ১৯৩৮ সালের ৮ মার্চ ‘অর্ডার অব লেনিন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
‘মনে রেখো বোনেরা, ফ্যাসিবাদ চায় তোমাদের শুধু দাসী ও সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বানাতে। সেই নারীযোদ্ধাদের কথা ভুলে যেয়ো না, যারা ফ্যাসিবাদীদের হাতে প্রাণ দিয়েছে এবং কারাবরণ করেছে।’ যে সময়ে ক্লারা জেটকিন জোর গলায় এই বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছিলেন, সে সময় সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে ছিল নারীরা। ছিল না তাদের শিক্ষার অধিকারও। এমনকি তখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি নারীর ভোটাধিকার। এ রকম প্রতিকূল পরিবেশে জার্মানিতে বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ১৯৩৮ সালে এই সাহসী বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ জানানোয় জার্মান ফ্যাসিস্ট বাহিনীর হাতে সে সময় গ্রেপ্তারও হন তিনি।
ক্লারা জেটকিন, শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ে নারী নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্তের নাম। তাঁর নেতৃত্বেই সংগঠিত হয় প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৯১১ সালে ৮ মার্চকে নারী দিবস ঘোষণার প্রস্তাব করেন তিনি।
শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ে নারী নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ক্লারা জন্মেছিলেন ১৮৫৭ সালের ৫ জুলাই, জার্মানির সাক্সনি গ্রামে। এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে তাঁর বেড়ে ওঠা। তাঁর বাবা গটফ্রেড আইজেনার ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও দক্ষ বেহালাবাদক। মা জোসেকিন ভেইটালে আইজেনার ছিলেন সুশিক্ষিত প্রগতিশীল নারী।
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মধ্য দিয়েও সমাজের ভেতর যে একটা সংস্কৃতিগত প্রগতিশীল রূপান্তর আনা যেতে পারে, সে ব্যাপারে ক্লারা জেটকিন বেশ সচেতন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৮৯১ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘ইকুয়ালিটি’ নামে নারীদের একটি পত্রিকা। এর মাধ্যমেই ক্লারা নারীদের মধ্যে সংগ্রামী চেতনা জাগানোর পাশাপাশি ন্যায্য অধিকারের জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
সহজে সবার সঙ্গে মিশতে পারা এবং যেকোনো বিষয়কে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারা ক্লারা জেটকিন জীবনের চড়াই-উতরাই পেছনে ফেলে সমতার আদর্শে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। বিপ্লবী হওয়ার কারণে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক অভাব-অভিযোগ, রোগ-ব্যাধি, বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। কিন্তু থামিয়ে দেননি নারীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। ১৯৩৩ সালের ২০ জুন মস্কোতে মৃত্যুবরণ করেন ক্লারা। নারীমুক্তি আন্দোলনের এই পথিকৃৎকে সম্মান জানিয়ে ১৯৩৮ সালের ৮ মার্চ ‘অর্ডার অব লেনিন’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
১০ ঘণ্টা আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
১০ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
১০ ঘণ্টা আগে