আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ
ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নারীরা। অল্প পুঁজি ও শ্রমে লাভজনক ভেড়া পালন দিন দিন বাড়ছে। অনেকের অভাবের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর আদিবাসীপাড়ার তেমনই একজন স্বাবলম্বী নারী পার্বতী রানী বিশ্বাস (৬১)। অসুস্থ স্বামীসহ অভাবের সংসারে ৬ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ ছিল খুবই কষ্টের। এই অবস্থায় পার্বতী শুরু করেন ভেড়া পালন। প্রথম একটি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে শুরু। ছয় বছরে এখন তাঁর ভেড়ার সংখ্যা ২৬। প্রতিবছর ভেড়া বিক্রি করে তাঁর আয় লাখ টাকার ওপরে।
উপজেলার চর কুশুন্ডা গ্রামের পারভিন আক্তার শখের বশে ছয় বছর আগে একটি ভেড়া পালন শুরু করেন। সেই ভেড়া থেকে এখন তিনি ২৬টি ভেড়ার মালিক। স্বামী কৃষিকাজ করেন। ভেড়ার বাচ্চা ও বড় ভেড়া বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন তিনি। শ্রীধরনগর গ্রামের মমতা মণ্ডল জানান, একটি ছোট ভেড়ার দাম ৩ হাজার এবং বড় ভেড়া ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা। কম পুঁজি নিয়ে ভেড়া পালন শুরু করেন মমতা। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার ভেড়া পালন করে সচ্ছলতা এনেছে। প্রান্তিক নারীদের ভেড়া পালনে উদ্বুদ্ধকরণ, খাবার, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে সহায়তা দিয়ে আসছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দুর্গাবাড়ি গ্রামের আরতি সরকার; শ্রীধরনগর গ্রামের অঞ্জলি বিশ্বাস; বড়টিয়া গ্রামের আমেলা বেগম, সফুরা বেগম; নালি গ্রামের শুকুরজান, আছিয়া; জাবরা চরের সাজেদা বেগম; ত্বরা গ্রামের আম্বিয়া, আকাশি বেগম; মাইলাঘী গ্রামের ঝরনা, স্কুলশিক্ষার্থী ফিরোজা আক্তার; আশাপুর গ্রামের হাফিজা বেগম, সামেলা; কাশেমপুর গ্রামের ওজিফা ও রাশেদা বেগম ভেড়া পালনে দেখেছেন সাফল্যের মুখ। ভেড়া পালন করেই চলছে তাঁদের সংসার। বারসিকের বানিয়াজুরী আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুবীর সরকার বলেন, এখানকার নারীরা পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ভেড়া পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রান্তিক নারীদের ভেড়া পালনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া ছাড়াও তাঁদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ঘিওর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩২ হাজারের বেশি ভেড়া পালন করা হয়। এসব ভেড়ার মাংস ও চামড়া থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পার্বতী পাল জানান, ভেড়া পালনের মাধ্যমে দরিদ্র কৃষক, বেকার যুবক-যুবতী ও প্রান্তিক গৃহবধূরা জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি জাতিকে পুষ্টি সরবরাহ করছেন। অন্য গবাদিপশুর চেয়ে ভেড়ার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, বাচ্চার মৃত্যুহার কম। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে ভেড়া পালনে খামারিদের চিকিৎসা, নিয়মিত উঠান বৈঠক, ওষুধ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান পার্বতী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চল ঘিওর ভেড়া পালনের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়। উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ভেড়া পালন বাড়লে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি কমে যাবে।
ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের নারীরা। অল্প পুঁজি ও শ্রমে লাভজনক ভেড়া পালন দিন দিন বাড়ছে। অনেকের অভাবের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর আদিবাসীপাড়ার তেমনই একজন স্বাবলম্বী নারী পার্বতী রানী বিশ্বাস (৬১)। অসুস্থ স্বামীসহ অভাবের সংসারে ৬ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ ছিল খুবই কষ্টের। এই অবস্থায় পার্বতী শুরু করেন ভেড়া পালন। প্রথম একটি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে শুরু। ছয় বছরে এখন তাঁর ভেড়ার সংখ্যা ২৬। প্রতিবছর ভেড়া বিক্রি করে তাঁর আয় লাখ টাকার ওপরে।
উপজেলার চর কুশুন্ডা গ্রামের পারভিন আক্তার শখের বশে ছয় বছর আগে একটি ভেড়া পালন শুরু করেন। সেই ভেড়া থেকে এখন তিনি ২৬টি ভেড়ার মালিক। স্বামী কৃষিকাজ করেন। ভেড়ার বাচ্চা ও বড় ভেড়া বিক্রি করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন তিনি। শ্রীধরনগর গ্রামের মমতা মণ্ডল জানান, একটি ছোট ভেড়ার দাম ৩ হাজার এবং বড় ভেড়া ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা। কম পুঁজি নিয়ে ভেড়া পালন শুরু করেন মমতা। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবার ভেড়া পালন করে সচ্ছলতা এনেছে। প্রান্তিক নারীদের ভেড়া পালনে উদ্বুদ্ধকরণ, খাবার, চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে সহায়তা দিয়ে আসছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বারসিক।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার দুর্গাবাড়ি গ্রামের আরতি সরকার; শ্রীধরনগর গ্রামের অঞ্জলি বিশ্বাস; বড়টিয়া গ্রামের আমেলা বেগম, সফুরা বেগম; নালি গ্রামের শুকুরজান, আছিয়া; জাবরা চরের সাজেদা বেগম; ত্বরা গ্রামের আম্বিয়া, আকাশি বেগম; মাইলাঘী গ্রামের ঝরনা, স্কুলশিক্ষার্থী ফিরোজা আক্তার; আশাপুর গ্রামের হাফিজা বেগম, সামেলা; কাশেমপুর গ্রামের ওজিফা ও রাশেদা বেগম ভেড়া পালনে দেখেছেন সাফল্যের মুখ। ভেড়া পালন করেই চলছে তাঁদের সংসার। বারসিকের বানিয়াজুরী আঞ্চলিক কর্মকর্তা সুবীর সরকার বলেন, এখানকার নারীরা পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য ভেড়া পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রান্তিক নারীদের ভেড়া পালনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া ছাড়াও তাঁদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ঘিওর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৩২ হাজারের বেশি ভেড়া পালন করা হয়। এসব ভেড়ার মাংস ও চামড়া থেকে বছরে আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পার্বতী পাল জানান, ভেড়া পালনের মাধ্যমে দরিদ্র কৃষক, বেকার যুবক-যুবতী ও প্রান্তিক গৃহবধূরা জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি জাতিকে পুষ্টি সরবরাহ করছেন। অন্য গবাদিপশুর চেয়ে ভেড়ার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, বাচ্চার মৃত্যুহার কম। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে ভেড়া পালনে খামারিদের চিকিৎসা, নিয়মিত উঠান বৈঠক, ওষুধ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান পার্বতী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চল ঘিওর ভেড়া পালনের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়। উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রান্তিক কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ভেড়া পালন বাড়লে দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি কমে যাবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। নতুন বাজেটে ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
৪ দিন আগেবাড়ি তাঁর খুলনায়। সুন্দরবন, নদীনালা, গাছপালা মিলিয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর জনপদ। সুন্দরবন মানে শুধু বাঘ, মৌয়াল আর মাছ নয়; সেখানে আছে বনবিবির বিশ্বাস, আছে স্থানীয় উপকরণে তৈরি স্থানীয় শিল্প। সবাই সেগুলোর তেমন কদর না করলেও কেউ কেউ তো কদর করেনই। তেমনই একজন ফৌজিয়া ডেইজী।
৪ দিন আগেপলিথিন ও প্লাস্টিক একই জিনিস নয়। তবে পলিথিন মূলত একধরনের প্লাস্টিক। বিশ্বজুড়ে সেই প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে চলছে আন্দোলন। আগামীকাল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। হ্যাশট্যাগ বিট প্লাস্টিক পলিউশন স্লোগান দিয়ে এবার প্লাস্টিকদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে।
৪ দিন আগেআমার স্বামী দেশের বাইরে গেছে পড়াশোনার জন্য। আমাদের দুই বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। রান্নাবান্না, শ্বশুর-শাশুড়ি ও নিজের যত্ন, সন্তানের যত্ন নেওয়া আমার কাজ। বাকি কাজের জন্য লোক আছে। কিন্তু সন্তান সামাল দিতেই আমি নাজেহাল। সন্তানের অতিরিক্ত কান্না সহ্য করতে না পেরে মারধর করি।
৪ দিন আগে