অরণ্য সৌরভ
২০২০ সালের জুন মাস। করোনা মহামারিতে ঘরবন্দী জীবন সবার। সে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে উদ্যোক্তা বনে গেলেও তাঁর শুরুটা ঠিক সে কারণে নয়। কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় কাছের লোকজনের কটু কথা শুনতে হয় তাঁকে। নিকটাত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে আশপাশের মানুষের আচরণে বেদনায় ভারাক্রান্ত হতে থাকেন আফসানা মিমি। একুশ শতকে এসে নিজের সঙ্গে হয়ে যাওয়া এমন ঘটনা মেনে নিতে পারেননি তিনি।
ফলে মাত্র ২ মাস ১৫ দিনের শিশু কোলে নিয়ে জেদ ও প্রত্যাখ্যানের জুতসই উত্তর দেওয়ার জন্য সন্তানের নামে শুরু করেন নিজের প্রতিষ্ঠান ‘আরা’। এ কাজে তাঁকে পুঁজি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁর মা। বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে আফসানা মিমি বড়। জন্ম বরিশালে হলেও মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকে ঢাকার বাসিন্দা। সে সুবাদে ঢাকা থেকেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শেষ করে এখন স্নাতকোত্তরে পড়ছেন তিনি।
‘আরা’ মূলত শিশুদের পোশাক তৈরি করে থাকে। নবজাতক থেকে শুরু করে ১০ বছর বয়সী শিশুদের সব ধরনের কাস্টমাইজড পোশাক পাওয়া যায় এখানে। কাপড় কেনা, বাছাই করা থেকে শুরু করে পোশাকগুলো নিজেই ডিজাইন এবং তৈরি করেন আফসানা মিমি। এই পরিশ্রমের ফলে উদ্যোগের চার মাসে লাখ টাকা বিক্রি করতে সক্ষম হয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ‘এখন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে বিক্রি করতে পারি।’ জানান আফসানা মিমি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার পর মায়ের উদ্যোগে সেলাই শেখেন আফসানা। ভালো ফলের জন্য তাঁর মা একটি সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছিলেন তাঁকে। তখন থেকে নিজেদের, বাড়ির ছোটদের, পুতুলের জন্য টুকটাক জামা বানাতেন, পেতেন প্রশংসা। এই কাজ যে জীবনে কাজে লেগে যাবে, সেটা কখনো ভাবেননি আফসানা মিমি। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানের জন্য জামা তৈরি করে সেগুলো ফেসবুকে আপলোড করতাম। অনেক আপুই জিজ্ঞেস করত, ড্রেসগুলো বেশ সুন্দর, বাবুর ড্রেস কোথা থেকে নিয়েছি?’ সে থেকে শিশুদের পোশাক নিয়ে কাজ করার আইডিয়া মাথায় আসে তাঁর। শুরু করেন মায়ের উপহার দেওয়া সেলাই মেশিন দিয়ে।
উদ্যোগ নিয়ে স্বপ্নের কথা জানান আফসানা মিমি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন নিজের একটা শোরুম ও কারখানা করা, যেখানে অবহেলিত কিন্তু
আত্মসম্মানসম্পন্ন নারীদের উপার্জনক্ষম হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারব। যেন কোনো নারীকে নিজের এবং তাঁর সন্তানের ভরণপোষণের আশায় মুখ বুজে কোনো বৈষম্যের শিকার হতে
না হয়।’
২০২০ সালের জুন মাস। করোনা মহামারিতে ঘরবন্দী জীবন সবার। সে সময়টাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে উদ্যোক্তা বনে গেলেও তাঁর শুরুটা ঠিক সে কারণে নয়। কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় কাছের লোকজনের কটু কথা শুনতে হয় তাঁকে। নিকটাত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে আশপাশের মানুষের আচরণে বেদনায় ভারাক্রান্ত হতে থাকেন আফসানা মিমি। একুশ শতকে এসে নিজের সঙ্গে হয়ে যাওয়া এমন ঘটনা মেনে নিতে পারেননি তিনি।
ফলে মাত্র ২ মাস ১৫ দিনের শিশু কোলে নিয়ে জেদ ও প্রত্যাখ্যানের জুতসই উত্তর দেওয়ার জন্য সন্তানের নামে শুরু করেন নিজের প্রতিষ্ঠান ‘আরা’। এ কাজে তাঁকে পুঁজি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাঁর মা। বেসরকারি চাকরিজীবী বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে আফসানা মিমি বড়। জন্ম বরিশালে হলেও মাত্র আড়াই বছর বয়স থেকে ঢাকার বাসিন্দা। সে সুবাদে ঢাকা থেকেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শেষ করে এখন স্নাতকোত্তরে পড়ছেন তিনি।
‘আরা’ মূলত শিশুদের পোশাক তৈরি করে থাকে। নবজাতক থেকে শুরু করে ১০ বছর বয়সী শিশুদের সব ধরনের কাস্টমাইজড পোশাক পাওয়া যায় এখানে। কাপড় কেনা, বাছাই করা থেকে শুরু করে পোশাকগুলো নিজেই ডিজাইন এবং তৈরি করেন আফসানা মিমি। এই পরিশ্রমের ফলে উদ্যোগের চার মাসে লাখ টাকা বিক্রি করতে সক্ষম হয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ‘এখন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি মাসে বিক্রি করতে পারি।’ জানান আফসানা মিমি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার পর মায়ের উদ্যোগে সেলাই শেখেন আফসানা। ভালো ফলের জন্য তাঁর মা একটি সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছিলেন তাঁকে। তখন থেকে নিজেদের, বাড়ির ছোটদের, পুতুলের জন্য টুকটাক জামা বানাতেন, পেতেন প্রশংসা। এই কাজ যে জীবনে কাজে লেগে যাবে, সেটা কখনো ভাবেননি আফসানা মিমি। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানের জন্য জামা তৈরি করে সেগুলো ফেসবুকে আপলোড করতাম। অনেক আপুই জিজ্ঞেস করত, ড্রেসগুলো বেশ সুন্দর, বাবুর ড্রেস কোথা থেকে নিয়েছি?’ সে থেকে শিশুদের পোশাক নিয়ে কাজ করার আইডিয়া মাথায় আসে তাঁর। শুরু করেন মায়ের উপহার দেওয়া সেলাই মেশিন দিয়ে।
উদ্যোগ নিয়ে স্বপ্নের কথা জানান আফসানা মিমি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন নিজের একটা শোরুম ও কারখানা করা, যেখানে অবহেলিত কিন্তু
আত্মসম্মানসম্পন্ন নারীদের উপার্জনক্ষম হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারব। যেন কোনো নারীকে নিজের এবং তাঁর সন্তানের ভরণপোষণের আশায় মুখ বুজে কোনো বৈষম্যের শিকার হতে
না হয়।’
প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য সহজলভ্য ও নিরাপদ স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবনে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মিলনায়তনে আয়োজিত ‘প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য স্যানিটারি পণ্য উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা
২ দিন আগেনারীর সংজ্ঞা জৈবিক লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। ট্রান্সজেন্ডারদের লৈঙ্গিকভিত্তিক সুরক্ষার আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়েছেন, লিঙ্গ একটি দ্বৈত ধারণা—নারী অথবা পুরুষ। তবে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা বিদ্যমান আইনে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পান।
৩ দিন আগেমধ্যবিত্ত এক পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষের গন্তব্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাওয়া। তারপর নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু কখনো কখনো কিছু মানুষ এই বৃত্ত ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। সে এক বিশাল লড়াই। তেমনই লড়াই করে চলেছেন এক তরুণ উদ্যোক্তা ইফ্ফাত আলম জেসিকা। নিজের তো বটেই, কর্মসংস্থান করেছেন আরও প্রায় ৩২ জন নারীর।
৪ দিন আগেআমি কোর্টের মাধ্যমে স্বামীকে তালাক দিই। সে জন্য তিনটি নোটিশ পাঠাই তাকে। কিন্তু সে প্রবাসে থাকে বলে স্বাক্ষর নেই। এখন অনেক জায়গা থেকে শুনছি, এই তালাক নাকি হয়নি। আমার বিয়ের বয়স চার বছর। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই আমার স্বামী প্রবাসে চলে যায়। প্রথম এক বছর আমার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৪ দিন আগে