Ajker Patrika

সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব নারী ক্ষমতায়নের পেছনে ষড়যন্ত্র: মহিলা পরিষদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাব নারী ক্ষমতায়নের পেছনে ষড়যন্ত্র: মহিলা পরিষদ

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বিলুপ্তির প্রস্তাবে তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের অন্যতম নারী অধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, এটি শুধু নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিরুদ্ধে এক চরম পদক্ষেপ নয়, বরং এটি সংবিধান, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি এবং আন্তর্জাতিক নারী অধিকার সনদগুলোরও লঙ্ঘন।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে হয়, গত সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ধারাবাহিক বৈঠকে সংরক্ষিত নারী আসন বাতিলের যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে, তা কমিশনের নিজস্ব মতামত ছাড়া কিছু নয়। এ প্রস্তাবে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ মহিলা পরিষদ বলছে, এটি দেশের নারী আন্দোলনের ৫০ বছরের সংগ্রামের সঙ্গে চরম বিমাতা সুলভ আচরণ।

মহিলা পরিষদ মনে করে, সংরক্ষিত নারী আসন বাতিলের সুপারিশ সংবিধানের মৌলিক চেতনা, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১-এর ৩২.৭ অনুচ্ছেদ, জাতিসংঘের সিডও সনদ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

নারী আছে, তবে নেতৃত্বে নেই

বিবৃতিতে মহিলা পরিষদ উল্লেখ করে, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী হলেও জাতীয় সংসদে তাদের কার্যকর ও সমান প্রতিনিধিত্ব এখনো নিশ্চিত হয়নি। এর অন্যতম প্রধান কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকর পদক্ষেপের অভাব এবং নির্বাচনে নারী প্রার্থীর মনোনয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ না থাকা। নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নির্বাচিত নারী সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা জরুরি। বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত এ বাস্তবতাও তুলে ধরা হয় যে, যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অন্তত ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নারী ক্ষমতায়নের গতি বাড়ায় এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে।

মহিলা পরিষদ বলেছে, একটি বৈষম্যহীন, সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে এখনো অসংখ্য চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। তার ওপর এ ধরনের সুপারিশ নারীর চলমান অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং প্রকারান্তরে নারীবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকেই উৎসাহিত করবে। এই ধরনের সুপারিশ দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। এটি রাজনৈতিকভাবে দূরদর্শিতা তো নয়ই, বরং নারী অধিকারের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন।

মহিলা পরিষদ মনে করে, শুধু সংরক্ষিত নারী আসন থাকলেই হবে না—তা হতে হবে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত। এই প্রেক্ষিতে পরিষদ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করা; মনোনয়ন প্রথা বাতিল করে সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন চালু করা, এই ব্যবস্থা অন্তত পরবর্তী ২ থেকে ৩ মেয়াদের জন্য বহাল রাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বদলির আদেশ ছিঁড়ে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

বিধি লঙ্ঘন করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেন এনসিপি নেতা

বিমানবন্দর থেকেই ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত