ইশতিয়াক হাসান
ছোট্ট একটি দ্বীপ। সেখানে কেবল একটি বাড়িরই জায়গা হয়। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন দ্বীপ সত্যি আছে। এর দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুলুকে।
‘জাস্ট এনাফ রুম আইল্যান্ড’ নামের খুদে এই দ্বীপের আকার একটি টেনিস কোর্ট থেকে সামান্য বড়। অনেকেই একে বিবেচনা করেন মানুষের বাস আছে এমন সবচেয়ে ক্ষুদ্র দ্বীপ হিসেবে।
৩ হাজার ৩০০ বর্গফুটের (এক একরের ১৩ ভাগের ১ ভাগ) খুদে দ্বীপটিতে কেবল একটি বাড়ি, একটি গাছ, কিছু ঝোপঝাড় আর গোটা দুয়েক বেঞ্চ বা চেয়ার আছে। হাব আইল্যান্ড নামেও পরিচিত এটি।
বিখ্যাত থাউজেন্ড আইল্যান্ডসের একটি অংশ এই দ্বীপ। অবশ্য নামে থাউজ্যান্ডস আইল্যান্ডস হলে কী হবে, লেক অন্টারিও থেকে উৎপত্তি হওয়া সেন্ট লরেন্স নদীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট ১ হাজার ৮৬৪টি দ্বীপের সমষ্টি এটি। কোনো কোনো দ্বীপ এতটাই ছোট যে, সেখানে কেবল একটি গাছ রোপণ করতে পেরেছেন দ্বীপের মালিক।
একসময় জনবসতি আছে এমন সবচেয়ে খুদে দ্বীপ হিসেবে পরিচিত ছিল বিশপ রক। ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ সিলির অন্তর্গত নিঃসঙ্গ এক বাতিঘরের অবস্থান সেখানে। তবে ১৯৮২ সাল থেকে বাতিঘরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত হয়। এখন জনবসতি আছে এমন সবচেয়ে ছোট দ্বীপ হিসেবে জাস্ট এনাফ রুম আইল্যান্ডের নামটিই চলে আসে সবার আগে।
যখন কোনো ভূখণ্ড বেশি ছোট হয়ে যায়, তখন কখনো কখনো তাদের দ্বীপ হিসেবে বিবেচনাতেই আনা কঠিন। তাই কিছু জায়গায় কোন ভূখণ্ডগুলোকে দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে, তার নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড রয়েছে।
জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ড যে এলাকায় অবস্থিত, সেখানে একটি দ্বীপ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য, জমিটি অবশ্যই এক বর্গফুটের চেয়ে বড় হতে হবে। এ ছাড়া জায়গাটি সারা বছর পানির স্তরের ওপরে থাকতে হবে এবং এতে কমপক্ষে একটি গাছ থাকতে হবে। জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ড এই মানদণ্ডগুলো পূরণ করে, কিন্তু এটি যতটা না দ্বীপ, তার চেয়ে বেশি একটি বাড়ি বা ঘর।
এবার বরং দ্বীপটির মালিক কারা, সে সম্পর্কে দু-চার কথা বলে নেওয়া যাক। ১৯৫০-এর দশকে সাইজল্যান্ড নামের একটি পরিবার হাব আইল্যান্ড কিনে নেয়। ছোট্ট দ্বীপে একটি বাড়ি বানায় তারা। একপাশে বেঞ্চ আর চেয়ার পাতা হয়। দ্বীপে একটি গাছও লাগানো হয়। দ্বীপটির নতুন নাম দিল পরিবারটি—‘জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ড’। এমন একটি দ্বীপের জন্য এই নাম যে যুক্তিযুক্ত, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
তবে ব্যস্ত নগর থেকে দূরে প্রকৃতির মধ্যে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ছুটির দিনগুলো কাটানোর যে পরিকল্পনা সাইজল্যান্ড পরিবার করেছিল, সেটা খুব একটা কাজে আসেনি। তাদের ‘দ্বীপের আকারের কটেজ’ বা ‘কটেজ আকারের দ্বীপ’ দ্রুতই সেন্ট লরেন্স নদীতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। অর্থাৎ শান্ত পরিবেশে থাকাটা আর হলো না তাদের।
সাইজল্যান্ড পরিবার জায়গাটি কেনার পর পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক দশক। তবে পর্যটকদের কাছে ছোট্ট এক দ্বীপ আর এর প্রায় গোটা আয়তনজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িটির আকর্ষণ কমেনি বিন্দুমাত্র।
অবশ্য জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ডসহ থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডসের অনেক দ্বীপেই পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। অবশ্য দ্বীপে উঠতে না পারলে কী হবে, নৌকায় চেপে কাছ থেকে দেখতে তো আর কেউ বাধা দিতে পারে না তাদের।
ব্যতিক্রমও আছে। এমনই একটি জায়গা এখানকার অক্সিডেন্ট আইল্যান্ডের ‘আইল্যান্ড বোট হাউস’। ১৯০০ সাল থেকে একই পরিবারের মালিকানাধীন আছে এটি। দুই কামরার হোটেলটিতে নদীর দিকে মুখ করা একটি প্রশস্ত ডেকও রয়েছে।
কাজেই পাঠক যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে গেলে সেন্ট লরেন্স নদী ও বিখ্যাত থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। বিশেষ করে এক বাড়িময় একটি দ্বীপ দেখাটা নিশ্চয় অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হবে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি রাত কাটাতে চাইলে তো ‘আইল্যান্ড বোট হাউস’ আছেই।
সূত্র: দ্য সান, কনডে নাস্ট ট্রাভেলার, এটলাস অবসকিউরা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
ছোট্ট একটি দ্বীপ। সেখানে কেবল একটি বাড়িরই জায়গা হয়। কেমন অবিশ্বাস্য শোনালেও এমন দ্বীপ সত্যি আছে। এর দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুলুকে।
‘জাস্ট এনাফ রুম আইল্যান্ড’ নামের খুদে এই দ্বীপের আকার একটি টেনিস কোর্ট থেকে সামান্য বড়। অনেকেই একে বিবেচনা করেন মানুষের বাস আছে এমন সবচেয়ে ক্ষুদ্র দ্বীপ হিসেবে।
৩ হাজার ৩০০ বর্গফুটের (এক একরের ১৩ ভাগের ১ ভাগ) খুদে দ্বীপটিতে কেবল একটি বাড়ি, একটি গাছ, কিছু ঝোপঝাড় আর গোটা দুয়েক বেঞ্চ বা চেয়ার আছে। হাব আইল্যান্ড নামেও পরিচিত এটি।
বিখ্যাত থাউজেন্ড আইল্যান্ডসের একটি অংশ এই দ্বীপ। অবশ্য নামে থাউজ্যান্ডস আইল্যান্ডস হলে কী হবে, লেক অন্টারিও থেকে উৎপত্তি হওয়া সেন্ট লরেন্স নদীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট ১ হাজার ৮৬৪টি দ্বীপের সমষ্টি এটি। কোনো কোনো দ্বীপ এতটাই ছোট যে, সেখানে কেবল একটি গাছ রোপণ করতে পেরেছেন দ্বীপের মালিক।
একসময় জনবসতি আছে এমন সবচেয়ে খুদে দ্বীপ হিসেবে পরিচিত ছিল বিশপ রক। ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ সিলির অন্তর্গত নিঃসঙ্গ এক বাতিঘরের অবস্থান সেখানে। তবে ১৯৮২ সাল থেকে বাতিঘরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত হয়। এখন জনবসতি আছে এমন সবচেয়ে ছোট দ্বীপ হিসেবে জাস্ট এনাফ রুম আইল্যান্ডের নামটিই চলে আসে সবার আগে।
যখন কোনো ভূখণ্ড বেশি ছোট হয়ে যায়, তখন কখনো কখনো তাদের দ্বীপ হিসেবে বিবেচনাতেই আনা কঠিন। তাই কিছু জায়গায় কোন ভূখণ্ডগুলোকে দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে, তার নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড রয়েছে।
জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ড যে এলাকায় অবস্থিত, সেখানে একটি দ্বীপ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার জন্য, জমিটি অবশ্যই এক বর্গফুটের চেয়ে বড় হতে হবে। এ ছাড়া জায়গাটি সারা বছর পানির স্তরের ওপরে থাকতে হবে এবং এতে কমপক্ষে একটি গাছ থাকতে হবে। জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ড এই মানদণ্ডগুলো পূরণ করে, কিন্তু এটি যতটা না দ্বীপ, তার চেয়ে বেশি একটি বাড়ি বা ঘর।
এবার বরং দ্বীপটির মালিক কারা, সে সম্পর্কে দু-চার কথা বলে নেওয়া যাক। ১৯৫০-এর দশকে সাইজল্যান্ড নামের একটি পরিবার হাব আইল্যান্ড কিনে নেয়। ছোট্ট দ্বীপে একটি বাড়ি বানায় তারা। একপাশে বেঞ্চ আর চেয়ার পাতা হয়। দ্বীপে একটি গাছও লাগানো হয়। দ্বীপটির নতুন নাম দিল পরিবারটি—‘জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ড’। এমন একটি দ্বীপের জন্য এই নাম যে যুক্তিযুক্ত, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।
তবে ব্যস্ত নগর থেকে দূরে প্রকৃতির মধ্যে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ছুটির দিনগুলো কাটানোর যে পরিকল্পনা সাইজল্যান্ড পরিবার করেছিল, সেটা খুব একটা কাজে আসেনি। তাদের ‘দ্বীপের আকারের কটেজ’ বা ‘কটেজ আকারের দ্বীপ’ দ্রুতই সেন্ট লরেন্স নদীতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠল। অর্থাৎ শান্ত পরিবেশে থাকাটা আর হলো না তাদের।
সাইজল্যান্ড পরিবার জায়গাটি কেনার পর পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক দশক। তবে পর্যটকদের কাছে ছোট্ট এক দ্বীপ আর এর প্রায় গোটা আয়তনজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িটির আকর্ষণ কমেনি বিন্দুমাত্র।
অবশ্য জাস্ট রুম এনাফ আইল্যান্ডসহ থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডসের অনেক দ্বীপেই পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। অবশ্য দ্বীপে উঠতে না পারলে কী হবে, নৌকায় চেপে কাছ থেকে দেখতে তো আর কেউ বাধা দিতে পারে না তাদের।
ব্যতিক্রমও আছে। এমনই একটি জায়গা এখানকার অক্সিডেন্ট আইল্যান্ডের ‘আইল্যান্ড বোট হাউস’। ১৯০০ সাল থেকে একই পরিবারের মালিকানাধীন আছে এটি। দুই কামরার হোটেলটিতে নদীর দিকে মুখ করা একটি প্রশস্ত ডেকও রয়েছে।
কাজেই পাঠক যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে গেলে সেন্ট লরেন্স নদী ও বিখ্যাত থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না আশা করি। বিশেষ করে এক বাড়িময় একটি দ্বীপ দেখাটা নিশ্চয় অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হবে। মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি রাত কাটাতে চাইলে তো ‘আইল্যান্ড বোট হাউস’ আছেই।
সূত্র: দ্য সান, কনডে নাস্ট ট্রাভেলার, এটলাস অবসকিউরা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
জার্মানির একজন অ্যারোস্পেস প্রকৌশলী টানা ১২০ দিন পানির নিচে কাটিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। পানামার উপকূলে একটি ডুবো ক্যাপসুলের ভেতরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ মিটার নিচে ছিলেন তিনি। এই সময় কৃত্রিমভাবে চাপ কমানোর কোনো কৌশলও ব্যবহার করেননি তিনি।
৭ দিন আগেঅস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি গ্রিনহাউস। বাইরে দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষ। এই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছেন মূলত এমন একটি বিরল ও বিপন্ন উদ্ভিদের ফুলের ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। এই গন্ধ অনেকটাই পচা মাংসের মতো বা ঘামে স্যাঁতসেঁতে মোজা কিংবা পচা আবর্জনার মতোও মনে হয়...
৭ দিন আগেওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
১৭ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
২২ দিন আগে