২০২৩ বিশ্বকাপ

চেন্নাইতে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধুঁকছিল ভারত। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাও আউট হয়েছেন শূন্য রানে। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আজ ভারতকে আফগানিস্তান দিয়েছিল ২৭৩ রানের লক্ষ্য। রোহিতও হয়েছেন ভয়ঙ্কর। ভারতীয় অধিনায়কের রেকর্ডময় ইনিংসে আফগানদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চেন্নাইতে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন রোহিত শর্মা। চেন্নাইয়ের সেই ম্যাচের ঝাল ঝাড়তে আজ যেন দিল্লিতে আফগানিস্তানকেই বেছে নিলেন রোহিত। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভারতীয় অধিনায়ক করেছেন একের পর এক রেকর্ড। শচীন টেন্ডুলকার, ক্রিস গেইলের মতো তারকা ব্যাটারদেরও ছাড়িয়ে গেছেন রোহিত।

২০২৩ বিশ্বকাপে চলছে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ও দ্রুততম সেঞ্চুরি-বিশ্বকাপ ইতিহাসে দুটো রেকর্ডই গড়া হয়েছে নতুন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানও আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ২৭২ রান করেছে আফগানিস্তান। যা ওয়ানডেতে ভারতের বিপ

ভারত, আফগানিস্তান-দুটো দলই আজ বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে ভিন্ন পরিস্থিতিতে। স্বাগতিক ভারত জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে নামলেও আফগানিস্তান খেলছে বিশাল হারের দুঃসহ স্মৃতিকে সঙ্গী করে। যেখানে দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতীয় বোলারদের দারুণ মোকাবিলা করছে আফগানিস্তান। বিপজ্জনক হওয়া জুটি ভেঙে ভারতকে কিছুটা

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ গতকাল খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুটো ম্যাচেরই ভেন্যু ছিল ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিসিএ) স্টেডিয়াম। তাতে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ধর্মশালা পর্ব।

১০ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখটা শুধু পাকিস্তান কেন, পুরো ক্রিকেট বিশ্বও চাইবে মনে রাখতে। মাঠের ক্রিকেটে পাকিস্তান ক্রিকেট দল তা স্মরণীয় করে রেখেছেই। ম্যাচ শেষের মুহূর্তটা ছিল স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। 

এবারের বিশ্বকাপে দুই দলের চিত্র দুই রকম। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা ভারতের বিপরীতে হেরেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের কাছে হারার পর আজ জয়ে ফিরতে ভারতের বিপক্ষে নামছে আফগানরা।

বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছে নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে কিউইরা। এমন দুর্দান্ত ছন্দের কারণে তাদের স্বস্তিতেই থাকার কথা। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে উল্টোটা। পরের ম্যাচ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত তারা। 

বিনোদন জগতের কুশীলবরাই শুধু অভিনয় করেন না। তাঁদের বাইরেও অনেককে অভিনয় করতে দেখা যায়। অনেক সময় তো দেখা যায় বোকা বাক্সের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চেয়েও অনেকে ভালো অভিনয় করতে পারেন। যেমনটা গতকাল করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। 

আফগানিস্তানকে হারানোর পরের দিন পুরো দল ছিল বিশ্রামে। বিশ্রামের দিনে পাঁচ ক্রিকেটার তবু স্টেডিয়ামের জিমে এসেছিলেন। লিটন দাস এই দলে ছিলেন না। সারা দিন হোটেল শুয়ে-বসে থাকার পর সেদিন বিকেলে কজন সতীর্থকে নিয়ে ধর্মশালার কেব্‌ল কার বা স্কাইওয়ের অভিজ্ঞতা নিতে এসেছিলেন তিনি।

ম্যাচের ফাঁকে ফাঁকে আইসিসি ‘ম্যাজিক মোমেন্ট’ নামের ছোট্ট একটা পর্ব দেখাচ্ছে টেলিভিশনে। গতকাল সেই ম্যাজিক মোমেন্টে দেখা গেল ২০১৫ বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর টানা দুটি সেঞ্চুরির দৃশ্য। এর মধ্যে একটি সেঞ্চুরি অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে।

জয়ের রেশ নিয়ে ধর্মশালায় দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছে বাংলাদেশ। একই মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতলেও ইংল্যান্ডের কাছে গতকাল ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধান হেরেছ। 

কাঁধের ওপর বিশাল রানের চাপ। এর মধ্যে ৩৭ রানে নেই ২ উইকেট। এমন এক কঠিন সমীকরণ সহজ করে জিতল পাকিস্তান। রানের হিমালয় টপকে গড়ল নতুন কীর্তি। 

অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট! বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের দেখে এই প্রবাদ মনে পড়তে বাধ্য। এবার বিশ্বকাপ অভিযানে ‘টিম ডিরেক্টর’ হিসেবে আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। টুর্নামেন্টের আগ মুহূর্তে কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন শ্রীধরন শ্রীরাম। আর প্রধান কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তো আছেনই।

ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছেন সাকিব আল হাসানরা।

৩৬৫ রানের বড় লক্ষ্য। তাড়া করতে হলে অসাধারণ কিছুই করতে হতো বাংলাদেশের ব্যাটারদের। ডেভিড মালানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির সৌজন্যে সাকিব আল হাসানদের সামনে রানের পাহাড় ছুড়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই রানপাহাড় পাড়ি দিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার আর মালান হতে পারলেন না। উল্টো ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে শুরু

সর্বশেষ ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। এরপর শুধু হতাশাই সাক্ষী হয়েছে ১৩০ কোটি মানুষের দেশটির। দীর্ঘ এক যুগের খরা কাটানোর এবার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছে ভারত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ায় অন্যদের থেকে নিশ্চিতভাবে চ্যাম্পিয়নের দৌড়েও এগিয়ে তারা।