Ajker Patrika

ভারতের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ডই ভেঙে দিল আফগানরা 

আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১৪: ৪৮
ভারতের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ডই ভেঙে দিল আফগানরা 

২০২৩ বিশ্বকাপে চলছে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ও দ্রুততম সেঞ্চুরি-বিশ্বকাপ ইতিহাসে দুটো রেকর্ডই গড়া হয়েছে নতুন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানও আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ২৭২ রান করেছে আফগানিস্তান। যা ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে আফগানদের সর্বোচ্চ স্কোর। 

টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন। তবে প্রথম ১০ ওভারের আগেই ভেঙে যায় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে জসপ্রীত বুমরাহকে খোঁচা দিতে যান ইব্রাহিম জাদরান। আউটসাইড এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ২৮ বলে ৪ চারে ২২ রান করেন ইব্রাহিম। যেখানে উদ্বোধনী জুটিটি ছিল ৪০ বলে ৩২ রানের।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন রহমত শাহ। দ্বিতীয় উইকেটেও রহমত শাহর সঙ্গে  জুটি বড় করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গুরবাজ। একের পর এক বাউন্ডারিও মারছিলেন গুরবাজ। তবে আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩তম  ওভারের চতুর্থ বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে পুল করেন গুরবাজ। ডিপ ফাইন লেগে দাড়িয়ে থাকা শার্দুল ঠাকুর নিশ্চিত ছক্কা হওয়া বল প্রথমে ফিরিয়েছেন। এরপর দারুণ ক্যাচ ধরেছেন শার্দুল। ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে গুরবাজ-রহমতের জুটি ছিল ৩৭ বলে ৩১ রানের।

গুরবাজ আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে গেছেন রহমতও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে রহমতকে এলবিডব্লু করেন শার্দুল। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি রহমত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগস্ট্যাম্পে লাগায় তা ছিল আম্পায়ার্স কল। ১৩.১ ওভারে আফগানদের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান। এরপরই উইকেটে এসে হাল ধরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অধিনায়ক শাহিদীকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন ওমরজাই। ভারতীয় বোলারদের বেশ সাবলীলভাবেই খেলতে থাকেন আফগান এই দুই ব্যাটার। যেখানে এবারের বিশ্বকাপের ১০০তম ছক্কা এসেছে ওমরজাইয়ের ব্যাটে। ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে সোজা ছক্কা মারেন ওমরজাই। শাহিদী, ওমরজাই-দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওমরজাইকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পান্ডিয়া।  ওমরজাই ৬৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬২ রান। চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই-শাহিদীর জুটি ছিল ১২৫ বলে ১২১ রানের

ওমরজাইয়ের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন  মোহাম্মদ নবী। নবীকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান শাহিদী। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তো বটেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসে আফগানদের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে পারতেন শাহিদী। তবে আফগান অধিনায়ক তা করতে পারেননি। ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে কুলদীপকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন শাহিদী। আফগান অধিনায়ক রিভিউ নিলেও তা নষ্ট হয়ে যায়। ৮৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮০ রান। পঞ্চম উইকেটে নবীর সঙ্গে  ৫০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন শাহিদী। আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ৪২.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৫ রান। শাহিদীর বিদায়ের পর দ্রুত আরও দুই উইকেট নিয়ে আফগানদের হালকা ধাক্কা দিয়েছেন বুমরা। ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। একই ওভারের শেষ বলে নবীকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন বুমরা। ২৭ বলে ১৯ রান করেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ৫ উইকেটে ২২৫ রান থেকে ৪৫ ওভার শেষে স্কোর হয় ৭ উইকেটে ২৩৫ রান।

শাহিদী থেকে নবী-দ্রুত ৩ উইকেট হারানোয় আফগানিস্তানের ব্যাটারদের মনে হয়তো গত ম্যাচের ধসের শঙ্কা জেগেছিল। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪৪ রানে তারা হারায় শেষ ৮ উইকেট। তবে রশিদ খান এসে ধস সামাল দিয়েছেন। ১২ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রশিদ। আফগান এই অলরাউন্ডারের উইকেটও নিয়েছেন বুমরা। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে উড়িয়ে মারেন রশিদ। ডিপ পয়েন্ট থেকে দৌড়ে এসে প্রথমবার মিস করলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্যাচ ধরেন কুলদীপ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রান করে আফগানিস্তান। আফগান অধিনায়কের ৮০ রানই তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান।  ভারতের  বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। ২ উইকেট নিয়েছেন পান্ডিয়া। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ও কুলদীপ।

 

 

 

 

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অ্যাশেজ হার ঠেকাতে ইংল্যান্ড একাদশে আছেন কারা

ক্রীড়া ডেস্ক    
একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো
একটি পরিবর্তন এনেছে সফরকারীরা। ছবি: ক্রিকইনফো

২০১০-১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। খরা কাটাতে চলমান সিরিজের আগে প্রস্তুতির কোনো কমতি ছিল না সফরকারী দলের। এরপরও স্বস্তিতে নেই বেন স্টোকসের দল। প্রথম ২ ম্যাচ হেরে আরও একবার অ্যাশেজ হারের শঙ্কায় তারা। সিরিজে টিকে থাকতে চাইলে তৃতীয় টেস্টে হার ঠেকাতেই হবে ইংল্যান্ডকে।

অ্যাডিলেড ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। সে ম্যাচকে সামনে রেখে একাদশ দিয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনের গ্যাবায় অনুষ্ঠিত গোলাপি বলের টেস্ট একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে অতিথিরা। বাদ পড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। একাদশে নেওয়া হয়েছে জশ টাংকে। ২৭ বছর বয়সী পেসার আস্থার প্রতিদান দিতে না পারায় একাদশে পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট।

প্রথম ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে মাত্র ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যাটকিনসন। পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। সে ম্যাচের ২ ইনিংসে ২১ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি অ্যাটকিনসন। ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসের ১ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার ২ উইকেট। এই টেস্টেও সফরকারীরা হেরেছে ৮ উইকেটে।

অ্যাটকিনসনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পাওয়া টাং এখন পর্যন্ত ৬ টেস্টে নিয়েছেন ৩১ উইকেট। সবশেষ গত জুলাই-আগস্টে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ওভালে টেস্ট খেলেছেন তিনি। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ২ টেস্টে সুযোগ হয়নি তাঁর। অ্যাটকিনসনের অধারাবাহিকতায় ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তিনি।

অ্যাডিলেড টেস্টের জন্য ইংল্যান্ডের একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, অলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), উইল জ্যাকস, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার এবং জশ টাং।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পান্ডিয়ার অনন্য ডাবল, ফর্মে ফেরার বার্তা দিলেন সূর্য

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৯
হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো
হার্দিক পান্ডিয়া। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। দলের সহজ জয়ের দিনে অনন্য এক কীতি গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। এদিন নিজের ফর্ম নিয়ে সূর্যকুমারের কণ্ঠে শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর।

টি–টোয়েন্টিতে আরও আগেই ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন পান্ডিয়া। ৯৯ উইকেট নিয়ে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। এদিন ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন। তাঁর করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার গ্লাভস বন্দী হন স্টাবস। তাতেই প্রথম পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অন্তত এক হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবলের কীর্তি গড়লেন পান্ডিয়া।

সব মিলিয়ে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ উইকেট এবং ১ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করলেন এই ভারতীয় তারকা। এর আগে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ নবি, সিকান্দার রাজা ও বিরানদীপ সিং। এরা সবাই স্পিনিং অলরাউন্ডার। এদিক থেকে ব্যতিক্রম কেবল পান্ডিয়া।

এদিন আরও একটি কীর্তি গড়েছেন পান্ডিয়া। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সমান ১০০ উইকেট এবং ছক্কা ও ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। এই ক্লাবের আগের তিনজন হলেন নবি, রাজা ও বিরানদীপ।

লম্বা সময় ধরে ছন্দে নেই সূর্য। সবশেষ ২২ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২৫১ রান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে করেন মাত্র ১২ রান। এরপরও নিজের ফর্ম নিয়ে শঙ্কিত নন ভারতীয় দলপতি। সেরা ছন্দে ফেরার বার্তা দিয়ে রাখলেন তিনি। সূর্য বলেন, ‘আমি নেটে দারুণ সময় পার করছি। আমার ব্যাটে রান ফিরবে। এটা ঠিক যে এখন রান পাচ্ছি না। রানে না থাকলেও ফর্মে আছি। আমি শিগগিরই ফর্মে ফিরব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘একদম শোয়াই ফেলব’ শান্তর হুঙ্কারের জবাব দিলেন মিরাজও

ক্রীড়া ডেস্ক    
শান্ত ও মিরাজ। ফাইল ছবি
শান্ত ও মিরাজ। ফাইল ছবি

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আগামীকাল একটি প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আয়োজন করবে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। ‘বাংলাদেশ অল স্টার্স ম্যাচ’ নামক ম্যাচটিতে অংশ নেবে ‘অদম্য’ এবং ‘অপরাজেয়’ দল। ২ দলের নেতৃত্বে থাকছেন যথাক্রমে মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

ম্যাচের আগে আজ সকালে মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন দুই দলের অধিনায়ক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় বাকি দশটা ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনের মতো পেশাদার আচরণ নয়, বরং রসিকতায় মেতে উঠেছিলেন শান্ত ও মিরাজ। হাসি, ঠাট্টায় পুরোটা সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন দুজন।

শান্ত বলেন, ‘আমরা খুবই উত্তেজিত। এরকম ম্যাচ খেলার সুযোগ আগে হয়নি। কোনো ছাড়াছাড়ি হবে না, শোয়াই ফেলব একদম। প্রস্তুতি মাঠে দেখতে পাবেন না। সব প্রস্তুতি মুখে মুখে হচ্ছে। মাঠে শোয়াই ফেলতে পারি, না হলে শুয়েও যাইতে পারি। যেকোনো কিছুই হতে পারে।’

আম্পায়ারিং নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি শান্ত, ‘উত্তাপ তো থাকবেই। তবে বেশি দেখানো যাবে না। শুনলাম ভালো আম্পায়ার থাকবে। তবে বেশি উত্তাপ আবার দেখানো যাবে না। পরে ডিমেরিট পয়েন্ট খেয়ে যাব। একটু ভয়েই আছি। শুনলাম আমাদের দলের পাঁচজন খেলতে পারবে না। এখন সন্দেহ হচ্ছে যে ফোন-টোন করে হুমকি খেয়েছে নাকি তারা।’

শান্তর পর মিরাজের কথাতেও ছিল রসিকতা। ম্যাচ জিতেই প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের হুঙ্কারের জবাব দিতে চান তিনি, ‘সেটা (অপরাজেয় দলের কয়েকজনের খেলা নিয়ে শঙ্কা) তো ওদের ব্যর্থতা। ওরা হয়তো খেলোয়াড়েদের ঠিকমতো গাইড করতে পারেনি (হাসি)। প্রতিপক্ষ দল হুমকি দেয় এরপর আমরাও যদি দেই... একটা পক্ষকে তো সেভ করতে হবে। তাই আমরা মাঠে চেষ্টা করব ম্যাচটা জিতে যেন ওদের কথার জবাব দিতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অভিষেকে খরুচে তাসকিন, স্বরূপে ফিরলেন মোস্তাফিজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
জিতেছে তাসকিনের দল। হেরেছে মোস্তাফিজরা। ফাইল ছবি
জিতেছে তাসকিনের দল। হেরেছে মোস্তাফিজরা। ফাইল ছবি

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি–টোয়েন্টি) অভিষেক হলো তাসকিন আহমেদের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অভিষেকে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ঢাকা এক্সপ্রেস। বল হাতে খরুচে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে এক ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের পর স্বরূপে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

তাসকিনের অভিষেক ম্যাচে এমআই এমিরেটসকে ৬ রানে হারিয়েছে তাঁর দল শারজা ওয়ারিয়র্স। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে জনসন চার্লসের ফিফটিতে ১৭৪ রান তোলে তারা। ৫৩ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। এছাড়া টম কোলার ক্যাডমোর ৩০ ও সিকান্দার রাজা করেন ২৯ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৬৮ রানে থামে এমিরেটস।

৪ ওভারে ৩৯ রান দেন তাসকিন। ছিলেন উইকেটশূন্য। শারজার হয়ে এদিন তাসকিন সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন না। ৪ ওভারে বল করে ৪১ রান দেন শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানা। সমান ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৫ রান দেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। শারজার হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন রাজা। ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন এই জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি।

টানা ২ জয়ের পর হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তারা। ২ বল হাতে রেখে দুবাইয়ের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভাইপার্স। নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। ভাইপার্সের বিপক্ষে ৩০ রানের বিনিময়ে নেন ১ উইকেট। এদিন প্রথম ২ ওভারে ২১ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। কিন্তু ডেথ ওভারে ছিলেন দুর্দান্ত। শেষ স্পেলে তারঁ খরচ মাত্র ৯ রান। এরপরও জিততে পারেনি দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত