বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর ১৫ বছরের ব্যবধানে পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেই শেখ হাসিনা
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। ফলে আগামীকাল বুধবার সকালেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম আপিল বিভাগ থেকে খালাস পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেছেন, ‘আমি প্রহসনের সাক্ষী হলাম।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় আগামীকাল মঙ্গলবার। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক অভিযোগ।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকার জানিয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল, যার বিচার আন্তর
গত বছরের জুলাই-আগস্টে গাস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনলেও, চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এটি আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুযায়ী জেনোসাইড নয় বরং ‘ম্যাস কিলিং’।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আজ সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িতরা যে সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন, সেটি প্রতিষ্ঠা করতে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামী নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। শুনানিতে আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ছিল সাজানো এবং বিচারের নামে অবিচার করে জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি
আদেশের বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশুলিয়ার ঘটনায় কারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে–সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। যার কারণে তদন্ত শেষপর্যায়ে থাকলেও সময় নিয়েছি।’
জুলাই-আগস্টে রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য এক মাস সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক আইন মানলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকেই ফাঁসি দেওয়া যেত না বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আজ মঙ্গলবার আজহারের আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্যের পর সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।