নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই-আগস্টে সারা দেশে আন্দোলনকারীদের হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। বাকি দুজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ সোমবার দুপুরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদন তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে। এখন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে উসকানি ও সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তাঁর বহু কল রেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে।
তবে সেগুলো এখনই জানাতে চাননি চিফ প্রসিকিউটর।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, প্রতিবেদনে এসেছে, প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছিল, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, পোস্ট মর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনার বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীদের যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চেয়েছিল, তখন তাঁদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি, যাতে করে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয় সে রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এর আগে ৯ মে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর দাখিল করবে।’
ওই দিন এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অর্থাৎ “ফরমাল চার্জ” দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশা আল্লাহ।’
জুলাই-আগস্টে সারা দেশে আন্দোলনকারীদের হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। বাকি দুজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ সোমবার দুপুরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিবেদন তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে। এখন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের বিষয়ে উসকানি ও সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তাঁর বহু কল রেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট তিনটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে।
তবে সেগুলো এখনই জানাতে চাননি চিফ প্রসিকিউটর।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, প্রতিবেদনে এসেছে, প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছিল, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, পোস্ট মর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
শেখ হাসিনার বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে শেখ হাসিনা নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীদের যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চেয়েছিল, তখন তাঁদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি, যাতে করে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয় সে রকম নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এর আগে ৯ মে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর দাখিল করবে।’
ওই দিন এক ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ অর্থাৎ “ফরমাল চার্জ” দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশা আল্লাহ।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় সারা দেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। তারা হত্যা ও ডাকাতি করেছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগণের সকল অধিকার খর্ব করেছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তারা ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।
১২ মিনিট আগেআজ সোমবার আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের কাছে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। যেগুলো রয়েছে, সেগুলো জমা দিতে হবে। তবে তাদের কাছে রাইফেল থাকবে বলে জানান তিনি।
২৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন
১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অনেক সাংবাদিক রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের চামচামি করে ৩-৪ শ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকার পূর্বাচলে প্লট ক্রয় করে অনেকে দেশ ছেড়েছেন।’ আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বিতীয়তলায় সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’—অনুষ্ঠানে তিনি
১ ঘণ্টা আগে