বাংলাদেশ ফুটবল

এক পয়েন্টের কোনো সমীকরণ নেই। শেষ চারে যেতে হলে মালদ্বীপের বিপক্ষে পেতে হবে পুরো তিন পয়েন্টই। অলিখিত ফাইনালে আজ তাই মাঝমাঠই ভরসা বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার। 

২০০৩ থেকে ২০২৩—দুই দশকে দুই ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্ম দেখেছে বাংলাদেশের ফুটবল। এক প্রজন্ম এখন দেশের ফুটবলে ইতিহাসের অংশ, আরেক প্রজন্মের ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে অল্পের জন্য আরেকটি ইতিহাস গড়তে না পারার আক্ষেপ নিয়ে।

হাসি সব সময়ই সংক্রামক। অনুশীলনে নামার আগে স্ট্রাইকার সুমন রেজা বেশ মনমরা ছিলেন। ‘বাংলাদেশ দল গোল করতে পারে না’—এই বদনামের বেশির ভাগ ভাগীদার সুমন হলেও মানসিকভাবে বেশ চাপে বসুন্ধরা কিংসের স্ট্রাইকার।

ক্লান্তিতে যখন নুয়ে পড়ে শরীর, মনোযোগটা তখনই বেশি দেওয়া দরকার। তখন ‘কিছুতেই গা ছেড়ে দেয়া যাবে না’—প্রত্যয়ে নতুন উদ্যমে খেলা উচিত। বারবার একই ভুলের ভুক্তভোগী হওয়ার পরও আবার একই ভুল।

ছোট একটা ভুল। তাতেই ভেঙে গেল সব প্রতিরোধ। একটা সময় যখন হচ্ছিল র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯৩ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননের কাছ থেকে মহামূল্যবান একটা পয়েন্ট কেড়ে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর তখনই মাঝমাঠে অমার্জনীয় ভুল করে বসলেন তারিক কাজী রায়হান। সেই ভুলের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ আর তিন পয়েন্ট নিয়ে গেছে লেবানন। 

এক যুগ আগেও দুই দলের র‍্যাঙ্কিংয়ের দূরত্ব ছিল প্রায় ২০ ধাপ। নিজেদের সোনালি অতীত পেছনে ফেলে বাংলাদেশ তখন শুধুই নিচের দিকে যাচ্ছে। লেবাননও যে খুব ভালো অবস্থানে ছিল, সেটাও নয়। এমন একটা সময়ে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও লেবানন। 

২০১১ সালে লেবাননের বিপক্ষে জয়কে ধরা হয় গত দশকে দেশের ফুটবলের সেরা অর্জন। সে ম্যাচে গোল করেছিলেন জাহিদ হাসান এমিলি। এক যুগ পর আবার যখন লেবাননের সামনে বাংলাদেশ, সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের পার্থক্য তুলে ধরেছেন সাবেক এই ফরোয়ার্ড—

গ্রিসের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে উল্লেখ করার মতো কোনো সাফল্য নেই কস্তাস মেনোলাসের। তবে এই নামটা এখনো ভালোই মনে রাখার কথা স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ৮২ মিনিটে হেড থেকে তার গোলটি এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগে রোমার দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের অংশ।  ইউরোপ ছেড়

মাত্র একবারই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশ-২০০৩ সালে। সাফের সেই আসরে জাতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যিনি, সেই রজনী কান্ত বর্মণের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। অস্বচ্ছলতাও ঘিরে ধরেছে তাঁর পরিবারকে। গাজীপুরের পৈতৃক ভিটায়

দেশের মাঠে আমরা যেভাবে শিরোপার জন্য লড়াই করেছিলাম, সেটা অবিশ্বাস্য ছিল। তখন খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালো খেলার প্রতিজ্ঞা ছিল, দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব, ছিল সেই বিশ্বাসও।

কম্বোডিয়ায় প্রাথমিক পরীক্ষায় পাস বাংলাদেশ ফুটবল দল। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার চোখে যা ছিল ‘টেস্ট’ বা পরীক্ষামূলক ম্যাচ। জামালদের এবার আসল পরীক্ষা সাফে। সেই পরীক্ষায় ‘আরেকটু’ ভালো করার লক্ষ্য নিয়ে বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশ ফুটবল দল।

বলের নিয়ন্ত্রণ মোটেও ছিল না বাংলাদেশের। ছিল না মাঝমাঠ বলতে কিছু। ম্যাচের প্রায় পুরোটা ছড়ি ঘোরালো কম্বোডিয়া। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আক্রমণ বলতে গেলে একটি। সেই আক্রমণটাই পাল্টে দিল ম্যাচের ফল। প্রিয় প্রতিপক্ষ কম্বোডিয়াকে হারিয়ে স্নায়ুর পরীক্ষায় জয় বাংলাদেশের। 

সাফ টুর্নামেন্ট খেলতে ভারত যাওয়ার আগে ১৫ জুন কম্বোডিয়ায় একটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। পাঁচ দিনের প্রস্তুতি সেরে ১০ জুন কম্বোডিয়ায় রওনা দেওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা হওয়ার আগেই হোটেল রিজেন্সিতে দলের ম্যানেজার আমের খানের কাছে রিপোর্ট করেছেন ২৯ ফুটবলার। পথে থাকায় ফরোয়ার্ড মো. ইব্রাহিম যোগ দিয়েছেন দেরি করে। ক্যাম্প কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচকে ঘিরে হলেও এই ক্যাম্প দিয়ে শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশ ফুটবল দলের ভুলতে বসা সাফ শিরোপা ছোঁয়ার স্বপ্ন।

ক্লাবটির বয়স ৯৮ বছর! ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সেই আর্জেন্টাইন ক্লাবটির নাম আতলেতিকো ভিলা সান কার্লোস ক্লাব। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় এই ক্লাবে খেলেছেন। সেই ক্লাবে এবার এক মাসের অনুশীলন করার সুযোগ পেলেন যশোরের শামস-উল-হুদা একাডেমির তরুণ ফুটবলার

ফুটবলে মানুষ মনে রাখে গোলটাই। যদি হয় ১ ম্যাচে ৪ গোল, সেটিও আবার আবাহনী-মোহামেডানের মতো ফাইনালে—অনেক বড় ব্যাপার। তবে যাঁরা নিয়মিত ঘরোয়া ফুটবল দেখেন, তাঁদের আসলে সুলেমান দিয়াবাতের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হলেও চমকানোর সুযোগ নেই। কারণ, বড় ম্যাচে বড় কিছু করার সামর্থ্য তাঁর আছে।

গত মার্চে আলফাজ আহমেদ যখন দলের দায়িত্ব নিলেন, মোহামেডান তখন লিগে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে টেবিলের ছয়ে। সেখান থেকে সাদা-কালোদের পয়েন্ট টেবিলের তিনে তুলেছেন তিনি, মোহামেডানকে জিতিয়েছেন ফেডারেশন কাপ। মাত্র তিন মাসে কীভাবে বদলে