পিলখানা ট্র্যাজেডি

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ছাত্র ছিলাম; কাজ করছিলাম দৈনিক আমাদের সময়ে সহসম্পাদক হিসেবে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার একটু আগে বা পরে হবে। সেদিন সকালের ক্লাসটি আগেই শেষ হয়েছিল নাকি হয়নি—এখন ঠিক মনে করতে পারছি না।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত হয়েছিল এক নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আজ তার ১৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে। অথচ বিদ্রোহের পেছনের কারণ আজও অজানাই রয়ে গেছে। তৎকালীন বিডিআরের বিপথগামী সদস্যরা দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে পিলখানায় নারকীয় ত

কে একজন অফিসের নম্বরে ফোন করে বলেছেন, পিলখানায় খুব গন্ডগোল হচ্ছে। সেটা শুনে টেলিফোন অপারেটর সুফলা আমাকে ফোন দিলেন

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে বিস্ফোরণ আইনে দায়ের করা মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। আর হত্যা মামলাটির ডেথ রেফারেন্স সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে

নৃশংস পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে তৎকালীন বিডিআর সদস্যরা বিদ্রোহ করে। সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা হয়েছে ঢাকায় বিডিআর সদর দপ্তরে। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫২ তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেল তিনটা থেকে ঢাকার পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। এটি আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা বের করতে হবে—বিএনপির এই দাবির সঙ্গে একমত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আমরাও...

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যক্তি আন্তর্জাতিক মহল এবং দেশের বিশেষ একটি দল জড়িত রয়েছে। যেসব সেনাসদস্যের হত্যা করা হয়েছে তাঁরা অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বর্ডারে দায়িত্ব পালন করেছে

অদৃশ্য ও বড় একটি শক্তির চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ওই সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত হয়েছিল। ক্ষমতাসীন সরকার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পিলখানার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, এটার রায় যথার্থভাবে কার্যকর করা হবে। আপনারা বিচারের জন্য যেভাবে ধৈর্য ধারণ করে আসছেন, এভাবে ধৈর্য ধারণ করবেন, আপনারা এ ঘটনার বিচার দেখতে পারবেন।’

বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ঘটনার প্রকৃত যে সত্য, তা আজও উদ্ঘাটন হয়নি বলেও তাঁর দাবি। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আজ শুক্রবার সকালে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা সদস্যদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

১৩ বছর আগে এ দিনে সংঘটিত হয়েছিল দেশের ইতিহাসে অন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী সৈনিকদের সহিংস আক্রমণে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। তখন থেকেই এই ঘটনা বিডিআর বিদ্রোহ বা পিলখানা ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত