নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে বিস্ফোরণ আইনে দায়ের করা মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। আর হত্যা মামলাটির ডেথ রেফারেন্স সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। কবে এসব মামলা শেষ হবে, তা-ও কেউ বলতে পারেন না।
আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। বিডিআরের কয়েক শ সদস্য বিদ্রোহের পর পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালান। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। তাঁদের অনেকের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হন। দুই দিনব্যাপী সেই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়। এই দুই মামলার মধ্যে হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের পর রায় হয়েছে হাইকোর্টেও। এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। বিস্ফোরণ আইনে করা মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন ৮৫০ জন। আর বিস্ফোরক মামলায় আসামি ৮৩৪ জন। হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৫৬ জনকে। খালাস পান ২৭৮ জন।
রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে যাবতীয় নথি পাঠানো হয়। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ খালাস পাওয়া ৬৯ জনের ক্ষেত্রে পৃথক আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন।
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেওয়ায় মামলার শুনানি হয়নি। সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য তাদের একটা সময় দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি তারা না দেয়, তাহলে তাদের আপিলটা ডিশমিশ হয়ে যাবে। আশা করছি এ বছরই আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’
ফৌজদারি আদালতের পাশাপাশি বাহিনীর নিজস্ব আইনেও বিদ্রোহীদের বিচার হয়, যা সামারি ট্রায়াল (সংক্ষিপ্ত বিচার) নামে পরিচিত। তাতে ১০ হাজার ৯৭৩ জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হয়। তাঁদের মধ্যে ৮ হাজার ৭৫৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অন্যরা প্রশাসনিক দণ্ড শেষে আবার চাকরিতে যোগ দেন। এ ছাড়া সারা দেশে বিশেষ আদালত গঠন করে বিচার করা হয়। বিশেষ আদালতে ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন জওয়ানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসটিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিজিবি ও সেনা সদর। বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ শনিবার পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিজিবির সব স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানেরা (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) এবং শহীদদের নিকটাত্মীয়রা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় তাঁদের জন্য দোয়া করা হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি মামলার মধ্যে বিস্ফোরণ আইনে দায়ের করা মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। আর হত্যা মামলাটির ডেথ রেফারেন্স সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। কবে এসব মামলা শেষ হবে, তা-ও কেউ বলতে পারেন না।
আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ—বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। বিডিআরের কয়েক শ সদস্য বিদ্রোহের পর পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালান। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। তাঁদের অনেকের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হন। দুই দিনব্যাপী সেই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়। এই দুই মামলার মধ্যে হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের পর রায় হয়েছে হাইকোর্টেও। এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। বিস্ফোরণ আইনে করা মামলা এখনো নিম্ন আদালতে বিচারাধীন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন ৮৫০ জন। আর বিস্ফোরক মামলায় আসামি ৮৩৪ জন। হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর রায় দেন। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় ২৫৬ জনকে। খালাস পান ২৭৮ জন।
রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে যাবতীয় নথি পাঠানো হয়। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষ খালাস পাওয়া ৬৯ জনের ক্ষেত্রে পৃথক আপিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন।
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামিপক্ষ আপিলের সারসংক্ষেপ জমা না দেওয়ায় মামলার শুনানি হয়নি। সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য তাদের একটা সময় দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি তারা না দেয়, তাহলে তাদের আপিলটা ডিশমিশ হয়ে যাবে। আশা করছি এ বছরই আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’
ফৌজদারি আদালতের পাশাপাশি বাহিনীর নিজস্ব আইনেও বিদ্রোহীদের বিচার হয়, যা সামারি ট্রায়াল (সংক্ষিপ্ত বিচার) নামে পরিচিত। তাতে ১০ হাজার ৯৭৩ জনের বিভিন্ন ধরনের সাজা হয়। তাঁদের মধ্যে ৮ হাজার ৭৫৯ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অন্যরা প্রশাসনিক দণ্ড শেষে আবার চাকরিতে যোগ দেন। এ ছাড়া সারা দেশে বিশেষ আদালত গঠন করে বিচার করা হয়। বিশেষ আদালতে ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন জওয়ানের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসটিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিজিবি ও সেনা সদর। বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ শনিবার পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিজিবির সব স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় আজ সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানেরা (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) এবং শহীদদের নিকটাত্মীয়রা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় তাঁদের জন্য দোয়া করা হবে।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোন পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই এখন থেকে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
৪৪ মিনিট আগেবাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২০ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে সরকার। আজ রোববার (২৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগে৪৮তম বিসিএসের (বিশেষ) প্রথম পর্যায়ের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে। ওই দিন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেআইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকা দেবে সৌদি আরব সরকার। আটটি আইকনিক মসজিদ নির্মাণে সৌদি সরকারের রাজকীয় গ্রান্ট থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল্লাহ জাফর এইচ বিন আবিয়াহ এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে