যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় চলছে ব্যাপক লুটপাট ও চুরি। অভাবের তাড়নায় খাবার জোগাড় করতে মরিয়া ফিলিস্তিনিরা। আর এর সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী চক্রগুলো। ভেঙে পড়েছে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি। সাহায্যকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সশস্ত্র লোকজন হামলা চালাচ্ছে মানবিক সহায়তার গুদামগুলোতে।
গত শনিবার গাজার স্বরাষ্ট্র ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি অপরাধী গোষ্ঠী ও দখলদারদের সহযোগী দল তৎপর হয়েছে, যারা নাগরিকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে আক্রমণ করছে।
উপত্যকার বিভিন্ন স্থান থেকে হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কুদ্স নিউজ নেটওয়ার্ক আজ সকালে জানিয়েছে, মধ্য গাজার বুরেজি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের অন্তত ৫ জন। হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ আছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এবারই প্রথম এত দীর্ঘ সময় উপত্যকায় ত্রাণ ঢুকতে পারছে না। আজ বুধবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা।
দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতক
আমাদের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা ১৯৭৪ সালে। নগদ টাকা দিয়ে কেনা খাদ্য কিন্তু আসতে দেয়নি। কৃত্রিমভাবে সেখানে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতির পিতাকে যেভাবে হোক মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ৮ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের সবার বয়সই পাঁচ বছরের নিচে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, এই শিশুগুলোর প্রত্যেকেই অপুষ্টির কারণে তীব্র ঝুঁকিতে আছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
গাজায় অনেক ফ্রন্টেই যুদ্ধ চলছে। তার মধ্যে একটি হলো ত্রাণ পৌঁছানো। কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের বিরুদ্ধে রীতিমতো অবস্থান করছিল কয়েকজন ইসরায়েলি। এরপর ত্রাণের গাড়ির গাজায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে কাজ করছে আরেক দল ইসরায়েলি। গাজায় ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো এবং আটকানো নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপের প্রচেষ্টা
আন্তর্জাতিকভাবে ও দেশের অভ্যন্তরের অনেকেই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দ্বাদশ নির্বাচনের আগেই নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা সতর্ক করেছিলেন বলেও জানান কাদের
ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে থাকা ইসরায়েল আজ সোমবার ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাকের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। ইসরায়েলের অঞ্চলগুলোতে সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়কারী সংস্থা (সিওজিএটি) সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এক্সে এক পোস্ট দিয়ে বলেছে, মোট ট্রাকের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ, ২২৮টি ট্রাকে খাবার নিয়ে যাওয়া
উত্তর গাজার মানুষ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ২৪৫ ক্যালরির খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ শক্তি ও পুষ্টির চাহিদা রয়েছে, তার মাত্র ১২ শতাংশ পূরণ করে এই ২৪৫ ক্যালরির খাবার। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক এনজিও অক্সফাম।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জন্য ত্রাণবাহী দ্বিতীয় জাহাজের বহর আজ শনিবার সাইপ্রাস থেকে যাত্রা শুরু করেছে। সমুদ্রপথে ত্রাণ নিয়ে প্রথম বহরটি গাজায় পৌঁছানোর দুই সপ্তাহেরও বেশি পরে দ্বিতীয় দফায় গাজার উদ্দেশে সাহায্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মৌলিক সেবাসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত ও দুর্ভিক্ষ রোধে পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার পরিস্থিতি উল্লেখ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা অন্তর্বর্তী আদেশ জারির
ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসনের কারণে গাজার মানবিক বিপর্যয় এবার মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। কয়েক মাস আগে দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেওয়ার পর নতুন পরিসংখ্যানের আলোকে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের নজির পেয়েছে সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য জরুরি আদেশ না দিতে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) কাছে আবেদন করেছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া আইনি নথিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধকে ‘নৈতিকভাবে ঘৃণ্য’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে দেশটি।
আইপিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বাস্তবায়নে গাজার জনগণের জন্য মানবিক ও বাণিজ্যিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার উল্লেখযোগ্য ও অবিলম্বে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য অবিলম্বে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।’ সংস্থাটি বলেছে, সব মিলিয়ে গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক, অর্থা
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ১৩ হাজারের বেশি শিশু মারা গিয়েছে। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং