গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ১৩ হাজারের বেশি শিশু মারা গিয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
সাধারণত বিশ্বের যেকোনো যুদ্ধ বা সংঘাতে শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা বা তাদের প্রাণহানি খুব কম দেখা যায়। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিষয়টি কোনোভাবেই মানা হয়নি। ইসরায়েলি হামলায় যেখানে ৩১ হাজার ৬০০ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, সেখানে কেবল শিশুই নিহত হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০। একই সঙ্গে প্রচুর শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যুর অপেক্ষা করছে। ক্ষুধা-অপুষ্টির কারণে কান্নার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না তারা।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জানান, হাজারো শিশু এ যুদ্ধে হতাহত হয়েছে। তাদের অনেককেই এখনো শনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া যায়নি। কেননা তারা কোথায় আছে, আমরা তা জানি না।
রাসেল বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য কোনো যুদ্ধে এত ভয়াবহ শিশুমৃত্যু হার দেখা যায়নি। শিশুদের মধ্যে মারাত্মক অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ঢুকলেও কোনো কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায় না। কারণ কান্নার মতো শক্তি তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই।’ তিনি এ সময় জানান, গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিতে আরও বড় কূটনীতিক কৌশল ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গত শনিবার জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বিচার হামলার কারণে গাজা উপত্যকা দুর্ভিক্ষের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বিচারে গণহত্যা চালানো, গাজায় জোরপূর্বক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি বা গাজায় খাদ্য ঢুকতে না দেওয়া—এসব নানা অপকৌশল নিয়ে বরাবরই আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্নের মুখে পড়ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নষ্ট করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েল আগ্রাসনে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। এই অবস্থায় খাবার প্রবেশ করতে না পারায় অনাহার সংকট প্রকট থেকে প্রকটতর আকার ধারণ করছে।
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ১৩ হাজারের বেশি শিশু মারা গিয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
সাধারণত বিশ্বের যেকোনো যুদ্ধ বা সংঘাতে শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা বা তাদের প্রাণহানি খুব কম দেখা যায়। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিষয়টি কোনোভাবেই মানা হয়নি। ইসরায়েলি হামলায় যেখানে ৩১ হাজার ৬০০ জনের মতো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, সেখানে কেবল শিশুই নিহত হয়েছে ১৩ হাজার ৩০০। একই সঙ্গে প্রচুর শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যুর অপেক্ষা করছে। ক্ষুধা-অপুষ্টির কারণে কান্নার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না তারা।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল জানান, হাজারো শিশু এ যুদ্ধে হতাহত হয়েছে। তাদের অনেককেই এখনো শনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া যায়নি। কেননা তারা কোথায় আছে, আমরা তা জানি না।
রাসেল বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য কোনো যুদ্ধে এত ভয়াবহ শিশুমৃত্যু হার দেখা যায়নি। শিশুদের মধ্যে মারাত্মক অপুষ্টি ও রক্তস্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ঢুকলেও কোনো কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায় না। কারণ কান্নার মতো শক্তি তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই।’ তিনি এ সময় জানান, গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিতে আরও বড় কূটনীতিক কৌশল ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গত শনিবার জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজন শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বিচার হামলার কারণে গাজা উপত্যকা দুর্ভিক্ষের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বিচারে গণহত্যা চালানো, গাজায় জোরপূর্বক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি বা গাজায় খাদ্য ঢুকতে না দেওয়া—এসব নানা অপকৌশল নিয়ে বরাবরই আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্নের মুখে পড়ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নষ্ট করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েল আগ্রাসনে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছেন। এই অবস্থায় খাবার প্রবেশ করতে না পারায় অনাহার সংকট প্রকট থেকে প্রকটতর আকার ধারণ করছে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশের পর তাদের ২৫টি ত্রাণের গাড়ি ঘিরে ফেলে ‘ক্ষুধার্ত গাজাবাসী’। এরপরেই সেখানে গুলি ছোড়া হয়। ডব্লিউএফপির বিবৃতিতে বলা হয়, সহায়তা চাওয়া বেসামরিকদের ওপর হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
২ ঘণ্টা আগেনেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী গত রাতে অসুস্থতা বোধ করেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি অন্ত্রের প্রদাহ এবং পানিশূন্যতায় ভুগছেন। এর জন্য তাঁকে শিরায় ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেপানির গাড়ি আসার শব্দ শুনলে প্রতিদিন ৪২ বছর বয়সী রাহিলা বালতি আর কনটেইনার নিয়ে ছুটে যান রাস্তায়। কারণ, দেরি করলে কিছুই জুটবে না। তিনি বলেন, ‘পানি পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটা এখন আমাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন।’
৩ ঘণ্টা আগেভারতের শীর্ষস্থানীয় ক্রিপটোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন-ডিসিএক্স একটি বড়সড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৫৩৩ কোটি টাকার বেশি।
৩ ঘণ্টা আগে