ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসনের কারণে গাজার মানবিক বিপর্যয় এবার মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। কয়েক মাস আগে দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেওয়ার পর নতুন পরিসংখ্যানের আলোকে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের নজির পেয়েছে সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, গাজায় এমন অনেক প্রমাণযোগ্য ঘটনা রয়েছে, যা থেকে দেখা যায়—অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। আর এটি যদি প্রমাণিত হয়, তবে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।
তুর্কের এমন সতর্কবার্তাকে সম্পূর্ণ অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী নির বারকাত। ইসরায়েলের অন্য মন্ত্রীদের মতো তিনিও দাবি করেছেন, ‘জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে বরং হামাসকে সহায়তা করেছে সংস্থাটি।’
তবে বাস্তব চিত্র হলো, ত্রাণ বোঝাই ট্রাকগুলো রাফাহ সীমান্তের কাছে মিসরে সারিবদ্ধ হয়ে থেমে আছে। গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না এগুলো। এর আগে জটিল ও আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অঞ্চলটিতে মানবিক সহায়তা সরবরাহের আংশিক স্থলপথ সচলের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। তবে জটিলতার কারণে প্রয়োজনীয় ত্রাণ কার্যক্রম সম্ভব হচ্ছে না।
ফলে বাধ্য হয়েই জর্ডান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ আকাশপথে প্যারাসুটের সাহায্যে ত্রাণসামগ্রী ফেলছে গাজায়। এ ছাড়া জলপথে ত্রাণবাহী জাহাজ এলেও তা কয়েক লাখ ফিলিস্তিনির প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত। এই অবস্থায় অনেকেই ধারণা করছেন, ফিলিস্তিনিদের অনাহারের মাধ্যমে দমন করতে চাইছে ইসরায়েল।
শুধু তা-ই নয়, এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে শিশুসহ অনেক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ত্রাণের লাইনে একাধিকবার গুলির ঘটনায় নিহতও হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল যদি গাজায় স্থলপথে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেয়, তবে উত্তরাঞ্চলে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত হবে। এতে জলপথ ও আকাশপথে ত্রাণ কার্যক্রমের আর প্রয়োজন পড়বে না।
তুর্ক দাবি করছেন, ইসরায়েল ত্রাণ কার্যক্রমের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে—এ বিষয়ে প্রমাণ রয়েছে। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় হামাসের নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের এই পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষই দায় এড়াতে পারে না।
তুর্ক বলেন, ‘আমার সব সহকর্মী আমাদের বলেছেন, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এ জন্য কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না (ইসরায়েল)। আপনি এমন সব বিধিনিষেধ রেখেছেন, যা জরুরি অবস্থায় অযৌক্তিক। এখন ফিলিস্তিনিদের ওপর অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জাতিসংঘের সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানের নতুন পরিসংখ্যানে দাবি করা হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। গাজার প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ১১ লাখ মানুষ চরমভাবে খাবারের সংকটে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণসহায়তা না পৌঁছালে কীভাবে আর মাত্র আট সপ্তাহের মধ্যে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ জেঁকে বসতে পারে—তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসনের কারণে গাজার মানবিক বিপর্যয় এবার মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। কয়েক মাস আগে দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেওয়ার পর নতুন পরিসংখ্যানের আলোকে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের নজির পেয়েছে সংস্থাটি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, গাজায় এমন অনেক প্রমাণযোগ্য ঘটনা রয়েছে, যা থেকে দেখা যায়—অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। আর এটি যদি প্রমাণিত হয়, তবে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।
তুর্কের এমন সতর্কবার্তাকে সম্পূর্ণ অর্থহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী নির বারকাত। ইসরায়েলের অন্য মন্ত্রীদের মতো তিনিও দাবি করেছেন, ‘জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে বরং হামাসকে সহায়তা করেছে সংস্থাটি।’
তবে বাস্তব চিত্র হলো, ত্রাণ বোঝাই ট্রাকগুলো রাফাহ সীমান্তের কাছে মিসরে সারিবদ্ধ হয়ে থেমে আছে। গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না এগুলো। এর আগে জটিল ও আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অঞ্চলটিতে মানবিক সহায়তা সরবরাহের আংশিক স্থলপথ সচলের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। তবে জটিলতার কারণে প্রয়োজনীয় ত্রাণ কার্যক্রম সম্ভব হচ্ছে না।
ফলে বাধ্য হয়েই জর্ডান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ আকাশপথে প্যারাসুটের সাহায্যে ত্রাণসামগ্রী ফেলছে গাজায়। এ ছাড়া জলপথে ত্রাণবাহী জাহাজ এলেও তা কয়েক লাখ ফিলিস্তিনির প্রয়োজনের তুলনায় সীমিত। এই অবস্থায় অনেকেই ধারণা করছেন, ফিলিস্তিনিদের অনাহারের মাধ্যমে দমন করতে চাইছে ইসরায়েল।
শুধু তা-ই নয়, এসব ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে শিশুসহ অনেক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। ত্রাণের লাইনে একাধিকবার গুলির ঘটনায় নিহতও হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল যদি গাজায় স্থলপথে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেয়, তবে উত্তরাঞ্চলে আশদোদের আধুনিক কনটেইনার বন্দরের মাধ্যমে প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত হবে। এতে জলপথ ও আকাশপথে ত্রাণ কার্যক্রমের আর প্রয়োজন পড়বে না।
তুর্ক দাবি করছেন, ইসরায়েল ত্রাণ কার্যক্রমের গতি কমিয়ে দিচ্ছে বা আটকে রেখেছে—এ বিষয়ে প্রমাণ রয়েছে। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বেসামরিক ও সেনাদের ওপর হামলার ঘটনায় হামাসের নিন্দা জানিয়ে তুর্ক বলেন, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের এই পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষই দায় এড়াতে পারে না।
তুর্ক বলেন, ‘আমার সব সহকর্মী আমাদের বলেছেন, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এ জন্য কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না (ইসরায়েল)। আপনি এমন সব বিধিনিষেধ রেখেছেন, যা জরুরি অবস্থায় অযৌক্তিক। এখন ফিলিস্তিনিদের ওপর অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জাতিসংঘের সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠানের নতুন পরিসংখ্যানে দাবি করা হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন। গাজার প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ১১ লাখ মানুষ চরমভাবে খাবারের সংকটে রয়েছে। যুদ্ধবিরতি না হলে এবং ত্রাণসহায়তা না পৌঁছালে কীভাবে আর মাত্র আট সপ্তাহের মধ্যে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ জেঁকে বসতে পারে—তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১০ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৭ মিনিট আগেইলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও প্রযুক্তি মহল যখন উত্তাল, তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এসেছে মাস্কের বিচ্ছিন্ন মেয়ে ভিভিয়ান জেনা উইলসনের পক্ষ থেকে।
৪২ মিনিট আগেলন্ডনের মর্যাদাপূর্ণ হ্যাম পোলো ক্লাবের আন্তর্জাতিক দূত, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং বিশ্বের নানা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে প্রযুক্তি সরবরাহকারী সফল ব্যবসায়ী—এই পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত ছিলেন মোহাম্মেদ আসিফ হাফিজ।
১ ঘণ্টা আগে