আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতকে টেনে তুলতে আরও ২-৩ বছর লাগবে।
গতকাল সোমবার ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক তৃতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে গেছে একটি পরিবার। কমবেশি একই অবস্থা হয়েছে অন্যান্য ব্যাংকেরও। এই ধাক্কা সামলাতে হাতে তো ম্যাজিক নেই। তাই সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সুরাহাও হয়তো হবে না, তবে সমাধানের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেওয়া হচ্ছে তারল্য সহায়তাও। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যতের কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং আগের জের টানতে হচ্ছে। এখন সেগুলোরই সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হতে ২-৩ বছর লাগবে।
অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির ওপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে। তাই বলে আমরা কিন্তু শ্রীলঙ্কা হইনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি। এমন ইস্যুতে উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে চেষ্টা, তা সঠিক পথেই আছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে প্রবৃদ্ধি কমেনি। এভাবে অর্থনীতি চললে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ চলছে। এর জন্য আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় শুল্কও শিথিল করা হয়েছে। অর্থের জোগান কমাতে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে কোনো ঋণ দেয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও ৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’
ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে। আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছু করা সম্ভব হবে বলেও জানান গভর্নর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মধ্য, শর্ট ও লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে যখন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়, তখন কেউ পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু আমার শুধু মনে হয়েছে, একটা পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার প্রাণ চলে গেছে। আমরা যদি না এগিয়ে আসি, তবে কে আসবে? এখন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছি। পরিবর্তন চাই। আমরা যদি পরিবর্তন না করতে পারি, তবে আবার পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এখনো জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিথ্যা হলফনামা দিতে হয়। সত্যিকার লেনদেনের রেকর্ড আসে না। এটা জাতীয় লজ্জা। চাই সত্যিকার লেনদেনের ফিগারই রেকর্ড থাকুক, রেকর্ড হোক। আবার দেখি আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। কিন্তু জুয়েলারি স্বর্ণে ভরপুর। টন টন স্বর্ণ জুয়েলারিতে থাকে, যেখানে সত্য তথ্যটা আসা দরকার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে সংকুচিত মুদ্রানীতি নেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি খাতে খরচের সময় চলে সম্প্রসারিত নীতি। এ বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকুচিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে গলা টিপে ধরছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক রিফাইনারি তৈরি করতে হবে। জ্বালানির নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতকে টেনে তুলতে আরও ২-৩ বছর লাগবে।
গতকাল সোমবার ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক তৃতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে গেছে একটি পরিবার। কমবেশি একই অবস্থা হয়েছে অন্যান্য ব্যাংকেরও। এই ধাক্কা সামলাতে হাতে তো ম্যাজিক নেই। তাই সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সুরাহাও হয়তো হবে না, তবে সমাধানের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেওয়া হচ্ছে তারল্য সহায়তাও। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যতের কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং আগের জের টানতে হচ্ছে। এখন সেগুলোরই সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হতে ২-৩ বছর লাগবে।
অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির ওপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে। তাই বলে আমরা কিন্তু শ্রীলঙ্কা হইনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি। এমন ইস্যুতে উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে চেষ্টা, তা সঠিক পথেই আছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে প্রবৃদ্ধি কমেনি। এভাবে অর্থনীতি চললে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ চলছে। এর জন্য আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় শুল্কও শিথিল করা হয়েছে। অর্থের জোগান কমাতে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে কোনো ঋণ দেয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও ৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’
ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে। আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছু করা সম্ভব হবে বলেও জানান গভর্নর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মধ্য, শর্ট ও লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে যখন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়, তখন কেউ পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু আমার শুধু মনে হয়েছে, একটা পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার প্রাণ চলে গেছে। আমরা যদি না এগিয়ে আসি, তবে কে আসবে? এখন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছি। পরিবর্তন চাই। আমরা যদি পরিবর্তন না করতে পারি, তবে আবার পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এখনো জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিথ্যা হলফনামা দিতে হয়। সত্যিকার লেনদেনের রেকর্ড আসে না। এটা জাতীয় লজ্জা। চাই সত্যিকার লেনদেনের ফিগারই রেকর্ড থাকুক, রেকর্ড হোক। আবার দেখি আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। কিন্তু জুয়েলারি স্বর্ণে ভরপুর। টন টন স্বর্ণ জুয়েলারিতে থাকে, যেখানে সত্য তথ্যটা আসা দরকার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে সংকুচিত মুদ্রানীতি নেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি খাতে খরচের সময় চলে সম্প্রসারিত নীতি। এ বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকুচিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে গলা টিপে ধরছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক রিফাইনারি তৈরি করতে হবে। জ্বালানির নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতকে টেনে তুলতে আরও ২-৩ বছর লাগবে।
গতকাল সোমবার ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক তৃতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে গেছে একটি পরিবার। কমবেশি একই অবস্থা হয়েছে অন্যান্য ব্যাংকেরও। এই ধাক্কা সামলাতে হাতে তো ম্যাজিক নেই। তাই সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সুরাহাও হয়তো হবে না, তবে সমাধানের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেওয়া হচ্ছে তারল্য সহায়তাও। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যতের কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং আগের জের টানতে হচ্ছে। এখন সেগুলোরই সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হতে ২-৩ বছর লাগবে।
অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির ওপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে। তাই বলে আমরা কিন্তু শ্রীলঙ্কা হইনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি। এমন ইস্যুতে উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে চেষ্টা, তা সঠিক পথেই আছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে প্রবৃদ্ধি কমেনি। এভাবে অর্থনীতি চললে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ চলছে। এর জন্য আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় শুল্কও শিথিল করা হয়েছে। অর্থের জোগান কমাতে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে কোনো ঋণ দেয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও ৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’
ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে। আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছু করা সম্ভব হবে বলেও জানান গভর্নর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মধ্য, শর্ট ও লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে যখন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়, তখন কেউ পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু আমার শুধু মনে হয়েছে, একটা পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার প্রাণ চলে গেছে। আমরা যদি না এগিয়ে আসি, তবে কে আসবে? এখন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছি। পরিবর্তন চাই। আমরা যদি পরিবর্তন না করতে পারি, তবে আবার পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এখনো জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিথ্যা হলফনামা দিতে হয়। সত্যিকার লেনদেনের রেকর্ড আসে না। এটা জাতীয় লজ্জা। চাই সত্যিকার লেনদেনের ফিগারই রেকর্ড থাকুক, রেকর্ড হোক। আবার দেখি আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। কিন্তু জুয়েলারি স্বর্ণে ভরপুর। টন টন স্বর্ণ জুয়েলারিতে থাকে, যেখানে সত্য তথ্যটা আসা দরকার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে সংকুচিত মুদ্রানীতি নেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি খাতে খরচের সময় চলে সম্প্রসারিত নীতি। এ বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকুচিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে গলা টিপে ধরছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক রিফাইনারি তৈরি করতে হবে। জ্বালানির নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতকে টেনে তুলতে আরও ২-৩ বছর লাগবে।
গতকাল সোমবার ‘বৈষম্য, আর্থিক অপরাধ ও বাংলাদেশের অর্থনীতির নিরাময়’ শীর্ষক তৃতীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন। এ ছাড়া প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন খাতের বরেণ্য ব্যক্তি, শিল্পোদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকাই নিয়ে গেছে একটি পরিবার। কমবেশি একই অবস্থা হয়েছে অন্যান্য ব্যাংকেরও। এই ধাক্কা সামলাতে হাতে তো ম্যাজিক নেই। তাই সৃষ্ট সমস্যার দ্রুত সুরাহাও হয়তো হবে না, তবে সমাধানের জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিনই সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেওয়া হচ্ছে তারল্য সহায়তাও। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না। আর্থিক খাতের এই দুর্বলতার ছাপ দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ভবিষ্যতের কিছু করা সম্ভব হয়নি; বরং আগের জের টানতে হচ্ছে। এখন সেগুলোরই সংশোধনমূলক কাজ করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক হতে ২-৩ বছর লাগবে।
অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির ওপর অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে। তাই বলে আমরা কিন্তু শ্রীলঙ্কা হইনি। আমাদের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়নি। অর্থনীতিও ধসে পড়েনি। হতে পারত, কিন্তু হয়নি। এমন ইস্যুতে উপলব্ধি থাকতে হবে যে বাংলাদেশ মন্দা এড়াতে পেরেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের যে চেষ্টা, তা সঠিক পথেই আছে। এ কারণে চলতি অর্থবছরের গত চার মাসে প্রবৃদ্ধি কমেনি। এভাবে অর্থনীতি চললে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হওয়ার সুযোগ নেই।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ চলছে। এর জন্য আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় শুল্কও শিথিল করা হয়েছে। অর্থের জোগান কমাতে গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে কোনো ঋণ দেয়নি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এরপরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও ৮ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’
ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হবে, যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে সব ক্ষমতা চলে আসবে। আইনগতভাবেই তা হবে। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ, অধিগ্রহণসহ সবকিছু করা সম্ভব হবে বলেও জানান গভর্নর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেও দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা সেভাবে ডিজিটালাইজড হতে পারিনি। এখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না এলে কোনো কিছুই অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা মধ্য, শর্ট ও লং টার্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর মধ্যে আমরা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। দীর্ঘমেয়াদিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে যখন উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়, তখন কেউ পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু আমার শুধু মনে হয়েছে, একটা পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার প্রাণ চলে গেছে। আমরা যদি না এগিয়ে আসি, তবে কে আসবে? এখন পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়েছি। পরিবর্তন চাই। আমরা যদি পরিবর্তন না করতে পারি, তবে আবার পাঁচ হাজার মানুষ মারা যাবে।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, এখনো জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে মিথ্যা হলফনামা দিতে হয়। সত্যিকার লেনদেনের রেকর্ড আসে না। এটা জাতীয় লজ্জা। চাই সত্যিকার লেনদেনের ফিগারই রেকর্ড থাকুক, রেকর্ড হোক। আবার দেখি আমদানির তথ্যে স্বর্ণের পরিমাণ কম। কিন্তু জুয়েলারি স্বর্ণে ভরপুর। টন টন স্বর্ণ জুয়েলারিতে থাকে, যেখানে সত্য তথ্যটা আসা দরকার।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ৪০ শতাংশ বেকারের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সহজ করার জন্য দ্রব্যমূল্যের দিকে নজর দিতে হবে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে সংকুচিত মুদ্রানীতি নেওয়া হয়, কিন্তু সরকারি খাতে খরচের সময় চলে সম্প্রসারিত নীতি। এ বৈষম্যের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ সংকুচিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতকে গলা টিপে ধরছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম জে চৌধুরী বলেন, দেশের জ্বালানি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক রিফাইনারি তৈরি করতে হবে। জ্বালানির নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সায়মা হক, ইনস্টিটিউট অব ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা কে মুজেরী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাভেদ আখতার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।
আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।
এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত সংস্থাকে বাঁচাতে গোপনে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৯০০ কোটি রুপি) বিনিয়োগের পরিকল্পনা তৈরি করেছিল। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’ প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আর্থিক পরিষেবা বিভাগ (ডিএফএস), এলআইসি এবং নীতিনির্ধারণী সংস্থা নীতি আয়োগ সমন্বিতভাবে এই বিনিয়োগ কৌশল তৈরি করে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আদানি গ্রুপের বন্ড ও ইক্যুইটিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঢালা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আদানি পোর্টসের একটি ৫৮৫ মিলিয়ন ডলারের বন্ড ইস্যুতে এলআইসি একা অর্থায়ন করে। মে মাসের ৩০ তারিখে আদানি গ্রুপ ঘোষণা করে, পুরো বন্ডটির অর্থায়ন করেছে একটিমাত্র বিনিয়োগকারী—এলআইসি। সমালোচকেরা এই পদক্ষেপকে জনগণের অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন।
পরিকল্পনাটির ঘোষিত লক্ষ্য ছিল আদানির প্রতি ‘আস্থার বার্তা’ দেওয়া এবং অন্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। যদিও এর ঠিক এক বছর আগে আদানি গ্রুপের ঋণ ২০ শতাংশ বেড়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুতর দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল।
আদানি গ্রুপ বর্তমানে একাধিক আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় তদন্তের মুখোমুখি।
মার্কিন বিচার বিভাগ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) আদানি এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের ঘুষ এবং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, জ্বালানি চুক্তি জেতার জন্য মিথ্যা বিবৃতি ও ২৫০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেন করা হয়েছিল। যদিও আদানি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
২০২৩ সালে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। এই প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি বড় আমেরিকান ও ইউরোপীয় ব্যাংক আদানির ঋণ-সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তা করতে ইতস্তত করছিল।
এই পরিস্থিতিতে ডিএফএসের অভ্যন্তরীণ নথিতে ভারতীয় কর্মকর্তারা আদানিকে ‘দূরদর্শী উদ্যোক্তা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তাঁরা মনে করেন, বন্দর, জ্বালানি এবং অবকাঠামোসহ আদানির ব্যবসাগুলো জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এলআইসি লাখ লাখ ভারতীয়র জীবন বিমা করে এবং তাদের গ্রাহকদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের, এমন একটি প্রতিষ্ঠান একটি রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বেসরকারি সংস্থায় এত বেশি বিনিয়োগ করে উচ্চ ঝুঁকি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে উদ্ধৃত স্বাধীন বিশ্লেষক হেমিন্দ্র হাজারি বলেন, ‘একটি বেসরকারি করপোরেট সত্তায় এলআইসির এত বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা অস্বাভাবিক। এলআইসি-এর যদি কিছু হয়...তবে একমাত্র সরকারই এটিকে উদ্ধার করতে পারে।’
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আদানি গ্রুপের ওপর তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র ধারাবাহিক টুইটে মোদি সরকার এবং আদানি গ্রুপের সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতীয় করদাতাদের ৩০ হাজার কোটি রুপি কীভাবে আদানিদের “পিগিব্যাংক” হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগ দিন।’ তিনি অভিযোগ করেন, মোদি সরকার আদানিকে অর্থায়ন করে চলেছে এবং উল্টো ভারতীয় জনগণকেই তাঁকে উদ্ধার করতে হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গৌতম আদানি এবং তাঁর সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ ওঠার পর মাত্র চার ঘণ্টার ট্রেডিংয়ে এলআইসির ৭ হাজার ৮৫০ কোটি রুপি লোকসান হয়েছিল। তিনি এই ঘটনাকে ‘মোদানি মেগাস্ক্যাম’-এর অংশ বলে অভিহিত করেন। যেখানে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—জোরপূর্বক সম্পদ বিক্রি, কারচুপি করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বেসরকারীকরণ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চুক্তির মতো ক্ষমতার অপব্যবহার।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাদের যেকোনো ভূমিকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার’ করেছে। তারা রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে, তাদের উত্থান নরেন্দ্র মোদির জাতীয় নেতা হয়ে ওঠার বহু আগের ঘটনা।

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতক
১২ নভেম্বর ২০২৪
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগাম জাতের শিম, মুলা, ফুলকপি ও লাউয়ের সরবরাহ গত এক সপ্তাহে ব্যাপক বেড়েছে। এতে অন্যান্য সবজির চাহিদা ও দাম দুটোই কমছে। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে টমেটো, শালগম, গাজর, ব্রোকলি ও লালশাকসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাবে, তখন দাম আরও কমে আসবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মুগদা, মানিকনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এটি বিক্রি হয়েছিল ২২০-২৪০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গতকাল তা ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া গেছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। ভালো মানের লাউ এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতিটি ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারের অন্যান্য সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০, যা ছিল ১০০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০, যা ছিল ৮০ টাকা কেজি। বরবটি ৭০-৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা কেজি। কমেছে জলপাইয়ের দামও। জলপাই পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজিতে, গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ টাকার আশপাশে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, শীত মৌসুমে দেশে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, আলু, গাজর, বেগুন, মুলা, লাউ, শিম, পালংশাক, লালশাকসহ ৩০ ধরনের সবজি উৎপাদন হয়। আর গ্রীষ্মকালে হয় ১৬ ধরনের সবজি। দেশে শীত এবং গ্রীষ্ম মিলে বছরে মোট ৫৫ দশমিক ৫০ লাখ টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়, যার মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ টনই উৎপাদন হয় শীত মৌসুমে। বাকিটা গ্রীষ্মকালে।
অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচা মরিচ, টমেটো, কচুর মুখীসহ কিছু সবজির দাম। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, টমেটো-১২০ ও কচুর মুখী প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। কিছুটা বেশি দেখা গেছে শসার দাম। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বেশি ছিল। তার ওপর এখন আবার একটু একটু করে বাড়ছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনতে এখন ৮৫-৯০ টাকা কেজি লাগছে, যা এক সপ্তাহ আগে ৮০-৮৫ টাকায় পাওয়া যেত। অবশ্য আকারে কিছুটা ছোট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি, যা ৭০-৭৫ টাকা ছিল।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা গত বছরের পেঁয়াজ বিক্রি করে নতুন আবাদ করছেন। ফলে পেঁয়াজের সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদি আমদানি না হয়, তবে আগামী এক-দেড় মাস দাম বেশিই থাকবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে দুই ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে প্রধান পেঁয়াজ হলো ‘হালি’ পেঁয়াজ, যা সংরক্ষণ করা যায় এবং সারা বছরের চাহিদা পূরণ হয়। ডিসেম্বরে এই পেঁয়াজের আবাদ হয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাজারে আসে। এর আগে অক্টোবরে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়. যা ডিসেম্বরের শুরুতেই বাজারে আসে। এই পেঁয়াজের উৎপাদন অল্প হলেও মধ্যবর্তী চাহিদা পূরণে সহায়তা করে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে গত মৌসুমের হালি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। আগামী ডিসেম্বরে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসার আগপর্যন্ত দাম কিছুটা চড়া থাকবে।
সবজি ও পেঁয়াজ ছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্য গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা ডজন।

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতক
১২ নভেম্বর ২০২৪
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৪ ঘণ্টা আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২ দিন আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না। বিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
বিমা কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ বিমা মূলত শুধু বিমানে পরিবহনের সময়কার ঝুঁকি; যেমন বিমান দুর্ঘটনা, হাইজ্যাক বা জোরপূর্বক অবতরণজনিত ক্ষতি কভার করে। ফলে কার্গো ভিলেজে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব নয়।
এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে জানালেন, অগ্নিকাণ্ডে রপ্তানিকারকদের আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘আইনের কারণে আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশই ক্ষতিপূরণ পাবেন না। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা করা, কারণ সরকারি জিম্মায় মালামাল পুড়ে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’
রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড ৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার মালামাল চীন থেকে আমদানি করেছিল। এলসি শর্ত অনুযায়ী বিমা বাধ্যতামূলক হওয়ায় তিনি ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজের আওতায় বিমা করেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা করা হয়। দালালেরাই করিয়ে দেয়, আমরা সবটা জানি না।’
একই অবস্থায় আছে টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। তাদের ৯৪ হাজার টাকার মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার কায়সার আলম জানান, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম কম হওয়ায় ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজে বিমা দিয়েছে, ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই।
সিএনএফ এজেন্ট ও এসজিএস কোম্পানির মাসুদ বকুল বলেন, ‘এ ধরনের দুর্ঘটনা আগে হয়নি। খরচ কমাতে আমরা এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজই ব্যবহার করি।’
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, সেক্টরে এখন পর্যন্ত ৩০০ চালানের কনসাইনমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমদানিকারকেরা বিমা করেছেন, কিন্তু বিমা কোম্পানিগুলো গোপন শর্তে দাবি পরিশোধ করছে না। ফলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না।’
আইন অনুযায়ী, আমদানিকারকেরা স্থানীয়ভাবে বিমা করা বাধ্যতামূলক হলেও ব্যবসায়ীরা প্রিমিয়াম কমাতে বিদেশে, বিশেষত সরবরাহকারীর দেশে বিমা করেন। ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক বলেন, ‘কম প্রিমিয়ামের কারণে অনেকে এয়ার রিস্ক অনলি নেন, কিন্তু এতে কভারেজ সীমিত। নিরাপত্তার জন্য এয়ার অল রিস্ক পলিসি নেওয়াই উত্তম।’
বিমা বিশেষজ্ঞ এ কে এম এহসানুল হক (এফসিআইআই) বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত ইনস্টিটিউট কার্গো ক্লজ (এয়ার) ব্যবহৃত হয়, যেখানে ওয়্যারহাউস টু ওয়্যারহাউস পর্যন্ত কভারেজ থাকে। ‘এয়ার রিস্ক অনলি’ ক্লজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম বলেন, ‘আগুনে পোড়ার ঘটনায় হয়তো ১০০-১৫০ কোটি টাকার বিমা দাবি হতে পারে। কোনোভাবে এটা ১০-১২ হাজার কোটি টাকা হবে না।’ এ ছাড়া বেবিচকের কার্গো ভিলেজে সর্বোচ্চ বিমা রয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) জানায়, অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেউ বিমা দাবি করতে পারবে না। আইডিআরএর মুখপাত্র সাইফুন্নাহার সুমি বলেন, ‘বিমা দাবি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার জন্য বিমা কোম্পানিগুলোকে শিগগির চিঠি পাঠানো হবে।’

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতক
১২ নভেম্বর ২০২৪
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই দিনে খোলাবাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের রেট কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের নগদ ডলার বিক্রিমূল্য ছিল ১২৪ টাকা। আর এবি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের রেট যথাক্রমে ১২৩ টাকা ৯৫ পয়সা ও ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯০ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বিক্রিমূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। একই সময়ে আন্তব্যাংক রেট ছিল ১২২ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সাময়িক হলেও হঠাৎ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কিছুটা মন্থর হয়ে গেছে অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার চাপ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের দরে। বিষয়টির প্রতি আমরা নজর রাখছি, জানান তিনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি তিন মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কিনেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,ডলারের দাম কিছুটা বেশি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ ছাড়া আমদানির ও সরকারি পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় দরও বেড়েছে।

রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানির জন্য এলসি খোলার চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে ডলারের দর ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি খাতের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি ব্যাংকে নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৪ টাকা ২৫ পয়সায়, যা দেশের ইতিহাসে ব্যাংকে ঘোষিত সর্বোচ্চ রেকর্ড। একই দিনে খোলাবাজারে ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১২৪ টাকা, বিক্রয়মূল্য ১২৫ টাকা ২০ পয়সা। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের রেট কাছাকাছি অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন ব্যাংকের নগদ ডলার বিক্রিমূল্য ছিল ১২৪ টাকা। আর এবি ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের রেট যথাক্রমে ১২৩ টাকা ৯৫ পয়সা ও ১২৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিক্রিমূল্য সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ৯০ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বিক্রিমূল্য ছিল ১২২ টাকা ৭০ পয়সা। একই সময়ে আন্তব্যাংক রেট ছিল ১২২ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সাময়িক হলেও হঠাৎ প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কিছুটা মন্থর হয়ে গেছে অথচ রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার চাপ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ডলারের দরে। বিষয়টির প্রতি আমরা নজর রাখছি, জানান তিনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি তিন মাসে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কিনেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন,ডলারের দাম কিছুটা বেশি রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ ছাড়া আমদানির ও সরকারি পেমেন্ট বেড়ে যাওয়ায় দরও বেড়েছে।

দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতক
১২ নভেম্বর ২০২৪
নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় যখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গৌতম আদানিকে ঋণ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, তখন পাশে দাঁড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স করপোরেশন অব ইন্ডিয়াকে (এলআইসি) ব্যবহার করে এই বিতর্কিত শিল্পপতির ঋণগ্রস্ত...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহও বেড়েছে বেশ। এতে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও দুঃসংবাদ এসেছে পেঁয়াজে। চলতি সপ্তাহে মসলা পণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ন্যূনতম ৫ টাকা বেড়েছে।
২ দিন আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকেরা বিমা থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। আমদানি চালানে তাঁদের মালামাল বিমাকৃত ছিল ‘এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজ’-এর আওতায়, এই বিধান অনুযায়ী বিমান থেকে পণ্য আনলোড হওয়ার পর আর ওই মালামালের কোনো সুরক্ষা থাকে না।
২ দিন আগে