কমিউনিটি ক্লিনিক

রোগী এলে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য একজন চিকিৎসক পর্যন্ত নেই। নেই অ্যানেসথেটিস্ট বা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার মতো কোনো চিকিৎসক। তবু নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আনাচ-কানাচে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বহাল তবিয়তে চলছে।

মুলাদীতে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা...

মুলাদী উপজেলার ২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের অধিকাংশই নিয়মিত খোলা হয় না বলে দাবি করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ক্লিনিকগুলোতে সঠিক সেবা মিলছে না এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে কার্যক্রম অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে...

খুলনার দাকোপের তিলডাঙা কাছারি বাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনটি জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেবাদান কার্যক্রম। গত দশ বছর ধরে এর কোনো সংস্কার না হওয়ায় ভবনটির অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষের পরম বন্ধু হিসেবে দাঁড়িয়েছে মরিচা কামরুল হাছান ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক। এই ক্লিনিক থেকে রাজামেহার ইউনিয়নের মরিচা, চুলাশ, বেতরা, সৈয়দপুর, উখারী গ্রামের মানুষ চিকিৎসাসেবা পাবে। ক্লিনিকটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলার গোডাউন মোড়-সোয়ালিয়া সংযোগ সড়কে রাস্তার পাশে ছয় শতক জমিতে গড়ে ওঠা ৫৪০ বর্গফুটের একতলা ভবন। চারপাশ সুশোভিত গাছপালায় ঘেরা ২ কক্ষের ছোট এ স্থাপনা স্বাস্থ্য সেবায় ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। সংস্কার ও নজরদারির অভাবে ১৬টিই নানা সমস্যায় জর্জরিত। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে চিকিৎসাসেবা। অনেক ক্লিনিকে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল। কিছু ক্লিনিকে রয়েছে ওষুধের সংকট। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। নিয়মিত পানির সরবরাহ নেই। কোথাও আ

শ্বাসকষ্ট নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলার সেহাংঙ্গল কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা রোগী আয়সা বলেন, ‘ক্লিনিকে কর্তব্যরতরা যখন খুশি তখন অফিস খোলেন এবং চলে যান। অফিস খুলে অল্প সময় বসেন। তখন কোনো রোগী আসলে মন চাইলে দু-চারটি ওষুধ দেন...

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলার পানি দ্রুত হ্রাস পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্গত এলাকার বেশির ভাগ বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেছে। উঁচু স্থান ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিরা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। এদিকে আবারও ত

নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন অলিগলিতে নামে-বেনামে গড়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চিকিৎসাসেবার নামে ব্যবসা করাই এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য। লাভজনক হওয়ায় একক বা যৌথ মালিকানায় অনেকেই এ ব্যবসায় আগ্রহী হচ্ছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কোনটি বৈধ আর কোনটি অবৈধ, তা বোঝার উপায় নেই রোগীদের।

বেসরকারি ক্লিনিক পরিচালনা-সংক্রান্ত যাবতীয় শর্ত পূরণ না হওয়ায় গত সপ্তাহে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে নওয়াবেকী বাজারের ফয়সাল আমিনসহ ৪টি ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের সাতটি পাড়ায় ডায়রিয়া ব‍্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একই সময় ওইসব পাড়ায় ম‍্যালেরিয়াও ছড়িয়েছে...

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বরান্তর কমিউনিটি ক্লিনিক। মাসেও এক দিন খোলা হয় না। ভেতরে ময়লা জমে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা আসেন না। এখানে কেউ কর্মরত রয়েছেন কি না, সে বিষয়ে জানেন না স্থানীয় বাসিন্দারাও। ক্লিনিকটির এমন অবস্থায় হতাশ স্থানীয় বাসিন্দারা। হাওরবেষ্টিত ওই এলাকায় এভাবেই সেবাবিহীন

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি যেন ভুতুড়ে বাড়ি। ভাঙাচোরা ভবন ও চিকিৎসক-কর্মচারীশূন্য এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অন্তত ১০ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে ভবনটি এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

চারদিকে অথই পানি। কিছু দূর পরপর একখণ্ড উঁচু ভূমি। ছোট ছোট দ্বীপের মতো একেকটা গ্রাম। যেদিকে চোখ যায় যেন জলরাশি। চোখ মেললে দেখা যায়, সাপের ফণার মতো ঢেউ। আর ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো। এরই মাঝে উঁচু স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে একতলা ভবন। এ ভবনটিই শাল্লা উপজেলার সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিক। যার

‘দুই দিন থাকি গায়ে জ্বর, সর্দি। হামার গ্রামোত সরকার ক্লিনিক করি দেওয়ায় খুব উপকার হইচে। একনা অসুস্থ হইলে হামরা এটে আসি। ওষুধ নিয়া খাই। আল্লাহর রহমতে সুস্থ হই। শেখের বেটি প্রধানমন্ত্রীর জইন্যে দোয়া করি।’ কথাগুলো বলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসতী রহমানপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ নিতে আসা রওশন আর

সংস্কার না হওয়ায় বরগুনার শতাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। ভবনধসসহ অধিকাংশ ভবনের দরজা-জানালা খুলে গেছে, ছাদে ফাটল ধরেছে, পলেস্তারা খসে পড়েছে। এই অবস্থায় রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছেন না সিএইচসিপিরা। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের স্