ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
রোগী এলে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য একজন চিকিৎসক পর্যন্ত নেই। নেই অ্যানেসথেটিস্ট বা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার মতো কোনো চিকিৎসক। তবু নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আনাচ-কানাচে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বহাল তবিয়তে চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সব মিলিয়ে ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ক্লিনিক পাঁচটি। অনুমোদন আছে মাত্র দুটির। একটি ক্লিনিক ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের।
সম্প্রতি লাইফ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান এবং কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসূতি রহিমা খাতুন জানান, প্রসব বেদনা উঠলে ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে লাইফ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন তিনি। এরপরই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন ওই নারী। কিন্তু পুরোপুরি অবশ না করে একই ডাক্তার অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি করায় অনেক যন্ত্রণা হয়েছে তাঁর। আর জন্মের পরেই আয়ার ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া নবজাতককে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়। ওই রাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরুরি বিভাগ, মানসম্মত যন্ত্রপাতি, ল্যাব ও টেকনোলজিস্ট ছাড়া নামমাত্র বেতনে অনভিজ্ঞ নার্স ও আয়া দিয়েই চলছে অনুমোদনহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় জরুরি বিভাগে নেই কোনো চিকিৎসক। মেডিনোভা নামের একটি ক্লিনিকের ম্যানেজার চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
চিকিৎসা নিতে আসা এক প্রসূতির অভিভাবক ক্লিনিকের ম্যানেজারকে দেখিয়ে বলেন, ‘ইনিই এখানকার ডাক্তার।’ তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ম্যানেজার হর্ষবর্ধন রায়।
লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের দায়িত্বরত ম্যানেজার তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আমাদের নয়, এ উপজেলার কোনো ক্লিনিকের নিজস্ব কোনো ডাক্তার নেই। আমাদের এখানে রোগী আসার পর বাইরে থেকে ডাক্তার আসতে বলি অপারেশন করানোর জন্য।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়া জানান, ‘ডিউটি ডাক্তার নেই। নার্স দিয়েই চলে অপারেশন ও রোগীদের চিকিৎসা। বর্তমানে কেউ না থাকায় আমিই নার্সের দায়িত্ব পালন করছি।’
মেডিনোভা ক্লিনিকের দায়িত্বরত নার্স শিউলি জানান, তাঁর কোনো ডিপ্লোমা ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ নেই। তিনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এ বিষয়ে নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির জানান, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলতে দেওয়া হবে না। অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একজন চিকিৎসক একসঙ্গে সার্জারি ও অ্যানেসথেসিয়া করতে পারেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, ‘যেসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে একটি ক্লিনিক বন্ধ করেছি।’
রোগী এলে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য একজন চিকিৎসক পর্যন্ত নেই। নেই অ্যানেসথেটিস্ট বা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করার মতো কোনো চিকিৎসক। তবু নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আনাচ-কানাচে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বহাল তবিয়তে চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সব মিলিয়ে ১৭টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ক্লিনিক পাঁচটি। অনুমোদন আছে মাত্র দুটির। একটি ক্লিনিক ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের।
সম্প্রতি লাইফ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান এবং কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রসূতি রহিমা খাতুন জানান, প্রসব বেদনা উঠলে ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে লাইফ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন তিনি। এরপরই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি পুত্রসন্তান জন্ম দেন ওই নারী। কিন্তু পুরোপুরি অবশ না করে একই ডাক্তার অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জারি করায় অনেক যন্ত্রণা হয়েছে তাঁর। আর জন্মের পরেই আয়ার ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া নবজাতককে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়। ওই রাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জরুরি বিভাগ, মানসম্মত যন্ত্রপাতি, ল্যাব ও টেকনোলজিস্ট ছাড়া নামমাত্র বেতনে অনভিজ্ঞ নার্স ও আয়া দিয়েই চলছে অনুমোদনহীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় জরুরি বিভাগে নেই কোনো চিকিৎসক। মেডিনোভা নামের একটি ক্লিনিকের ম্যানেজার চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা।
চিকিৎসা নিতে আসা এক প্রসূতির অভিভাবক ক্লিনিকের ম্যানেজারকে দেখিয়ে বলেন, ‘ইনিই এখানকার ডাক্তার।’ তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ম্যানেজার হর্ষবর্ধন রায়।
লাইফ কেয়ার ক্লিনিকের দায়িত্বরত ম্যানেজার তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আমাদের নয়, এ উপজেলার কোনো ক্লিনিকের নিজস্ব কোনো ডাক্তার নেই। আমাদের এখানে রোগী আসার পর বাইরে থেকে ডাক্তার আসতে বলি অপারেশন করানোর জন্য।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়া জানান, ‘ডিউটি ডাক্তার নেই। নার্স দিয়েই চলে অপারেশন ও রোগীদের চিকিৎসা। বর্তমানে কেউ না থাকায় আমিই নার্সের দায়িত্ব পালন করছি।’
মেডিনোভা ক্লিনিকের দায়িত্বরত নার্স শিউলি জানান, তাঁর কোনো ডিপ্লোমা ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ নেই। তিনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এ বিষয়ে নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির জানান, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলতে দেওয়া হবে না। অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একজন চিকিৎসক একসঙ্গে সার্জারি ও অ্যানেসথেসিয়া করতে পারেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, ‘যেসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে একটি ক্লিনিক বন্ধ করেছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪