নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
শ্বাসকষ্ট নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলার সেহাংঙ্গল কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা রোগী আয়সা বলেন, ‘ক্লিনিকে কর্তব্যরতরা যখন খুশি তখন অফিস খোলেন এবং চলে যান। অফিস খুলে অল্প সময় বসেন। তখন কোনো রোগী এলে মন চাইলে দু-চারটি ওষুধ দেন। ইচ্ছা না হলে ওষুধ নেই বলে বিদায় করে দেন। মোট কথা, ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) শিল্পী দাসের মর্জির ওপর চলে চিকিৎসাব্যবস্থা।’
সরেজমিনে সেহাংঙ্গল কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে ক্লিনিকের প্রধান দরজায় ঝুলছে তালা। দরজার সামনে বসে আছেন আয়সা বেগম (৫২) নামে এক নারী। তাঁর সঙ্গে রয়েছে ১৩ বছর বয়সী এক নাতনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার শ্বাসকষ্ট, কোমর ও হাঁটুতে ভীষণ ব্যথা আছে। আইছিলাম রোগের কথা বলে একটু ওষুধ নিতে। রোগ নিয়ে সব সময় আসতে পারি না। আর কষ্ট করে আসলেও এখানে কাউকে পাওয়া যায় না।’
একই অভিযোগ করেন মিঠু খান নামে স্থানীয় এক যুবক। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মাঠে কাজ করতে গিয়ে পা কেটে গেছে। পরে পায়ে কোনো রকমে কাপড় বেঁধে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে আসছিলাম। ক্লিনিকের শিল্পী দাস ব্যথার কোনো ওষুধ নেই বলেই আমাকে বিদায় করে দেন। আর বলেন, উপজেলায় গিয়ে দেখেন।’
মিঠু খান বলেন, ‘নিয়ম রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সেবা দান করার। অথচ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লিনিকে ঝোলে তালা। শুধু তাই নয়, শিল্পী দাস নিয়মিত অফিসে আসেন না। মাঝেমধ্যে ১০টা-১১টার মধ্যে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করেই চলে যান।’
ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী রেদওয়ান নামে একজনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কল দিলে তিনি ক্লিনিকে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ক্লিনিকে ৩ জনের পদ রয়েছে। ওই তিনজনের মধ্যে দুজনের মাঠে কাজ থাকে। তাই ভাগাভাগি করে ডিউটি করে। তবে সিএইচসিপি শিল্পী দাসের এখানে নিয়মিত থাকার কথা। কিন্তু তিনি ঠিকমতো অফিসে আসেন না।’
স্বাস্থ্য সহকারী আরও বলেন, ‘শিল্পী দাস ২০১০ সালে এই ক্লিনিকে কাজে যোগদান করেন। তখন নিয়মিত অফিসে এলেও দুই বছর আগে থেকে ইচ্ছেমতো অফিস করেন। যখন খুশি আসেন এবং চলে যান। স্টোরে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধ থাকা সত্ত্বেও তিনি সবাইকে ওষুধ দেন না। আবার যাঁর সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক আছে, তাঁকে বেশি ওষুধ দেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিল্পী দাসকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘গত সোমবার আমার বাচ্চাটা একটু অসুস্থ থাকায় আগেভাগে বাসায় এসেছি।’
দেরি করে অফিসে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাসা দূরে হওয়ায় মাঝেমধ্যে ক্লিনিকে আসতে একটু দেরি হয়।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, এর আগেও শিল্পী দাসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পেয়ে শোকজ করা হয়েছিল। তখন তাঁর বিপক্ষে সামনে কথা বলার জন্য কাউকে পাইনি। আর তিনি অফিসে একটু অনিয়মিত। সেটা অনেকেই অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি এবার শক্তভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে নেছারাবাদ উপজেলার সেহাংঙ্গল কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা রোগী আয়সা বলেন, ‘ক্লিনিকে কর্তব্যরতরা যখন খুশি তখন অফিস খোলেন এবং চলে যান। অফিস খুলে অল্প সময় বসেন। তখন কোনো রোগী এলে মন চাইলে দু-চারটি ওষুধ দেন। ইচ্ছা না হলে ওষুধ নেই বলে বিদায় করে দেন। মোট কথা, ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) শিল্পী দাসের মর্জির ওপর চলে চিকিৎসাব্যবস্থা।’
সরেজমিনে সেহাংঙ্গল কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে ক্লিনিকের প্রধান দরজায় ঝুলছে তালা। দরজার সামনে বসে আছেন আয়সা বেগম (৫২) নামে এক নারী। তাঁর সঙ্গে রয়েছে ১৩ বছর বয়সী এক নাতনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার শ্বাসকষ্ট, কোমর ও হাঁটুতে ভীষণ ব্যথা আছে। আইছিলাম রোগের কথা বলে একটু ওষুধ নিতে। রোগ নিয়ে সব সময় আসতে পারি না। আর কষ্ট করে আসলেও এখানে কাউকে পাওয়া যায় না।’
একই অভিযোগ করেন মিঠু খান নামে স্থানীয় এক যুবক। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মাঠে কাজ করতে গিয়ে পা কেটে গেছে। পরে পায়ে কোনো রকমে কাপড় বেঁধে চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে আসছিলাম। ক্লিনিকের শিল্পী দাস ব্যথার কোনো ওষুধ নেই বলেই আমাকে বিদায় করে দেন। আর বলেন, উপজেলায় গিয়ে দেখেন।’
মিঠু খান বলেন, ‘নিয়ম রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সেবা দান করার। অথচ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্লিনিকে ঝোলে তালা। শুধু তাই নয়, শিল্পী দাস নিয়মিত অফিসে আসেন না। মাঝেমধ্যে ১০টা-১১টার মধ্যে এসে কিছু সময় অপেক্ষা করেই চলে যান।’
ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী রেদওয়ান নামে একজনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কল দিলে তিনি ক্লিনিকে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ক্লিনিকে ৩ জনের পদ রয়েছে। ওই তিনজনের মধ্যে দুজনের মাঠে কাজ থাকে। তাই ভাগাভাগি করে ডিউটি করে। তবে সিএইচসিপি শিল্পী দাসের এখানে নিয়মিত থাকার কথা। কিন্তু তিনি ঠিকমতো অফিসে আসেন না।’
স্বাস্থ্য সহকারী আরও বলেন, ‘শিল্পী দাস ২০১০ সালে এই ক্লিনিকে কাজে যোগদান করেন। তখন নিয়মিত অফিসে এলেও দুই বছর আগে থেকে ইচ্ছেমতো অফিস করেন। যখন খুশি আসেন এবং চলে যান। স্টোরে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধ থাকা সত্ত্বেও তিনি সবাইকে ওষুধ দেন না। আবার যাঁর সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক আছে, তাঁকে বেশি ওষুধ দেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিল্পী দাসকে মোবাইলে কল করা হলে তিনি বলেন, ‘গত সোমবার আমার বাচ্চাটা একটু অসুস্থ থাকায় আগেভাগে বাসায় এসেছি।’
দেরি করে অফিসে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাসা দূরে হওয়ায় মাঝেমধ্যে ক্লিনিকে আসতে একটু দেরি হয়।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, এর আগেও শিল্পী দাসের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ পেয়ে শোকজ করা হয়েছিল। তখন তাঁর বিপক্ষে সামনে কথা বলার জন্য কাউকে পাইনি। আর তিনি অফিসে একটু অনিয়মিত। সেটা অনেকেই অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি এবার শক্তভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীতে অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহায়তার জন্য অক্সিলিয়ারি ফোর্স হিসেবে ৪২৬ জন ‘সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। প্রশিক্ষণ ছাড়াই তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ায় তাঁদের অনেকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না।
৫ ঘণ্টা আগেনতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ৩৬টি খাল ঘিরে বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা বরাদ্দে শুরু করা এ প্রকল্পের আকার এখন ৮ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেসরকার পতনের পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়রকে অপসারণ ও কাউন্সিলদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর জরুরি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাঁদের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পর এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নাগরিক সনদ, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, রাস্তা মেরামত, পরিচ্ছন্নতা, মশক নিয়ন্ত্রণসহ
৫ ঘণ্টা আগে