Ajker Patrika

কুয়েট ভিসি অপসারণের দাবিতে মুখোমুখি ছাত্র-শিক্ষক

  • ভিসি অপসারণের দাবিতে অনড় শিক্ষার্থীরা।
  • আজ থেকে আমরণ অনশন পালনের ঘোষণা।
  • দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষক সমিতি।
  • ভিসিসহ শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার দাবি শিক্ষকদের।
খুলনা প্রতিনিধি
উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ব্রিফ করেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি না মানলে আজ থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তাঁরা। গতকাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ব্রিফ করেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবি না মানলে আজ থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তাঁরা। গতকাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের এই এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। উল্টো ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা ও বিশৃঙ্খলাকারীদের সুষ্ঠু বিচার না হলে ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এরপর থেকে আন্দোলন চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর সম্প্রতি সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। এর পর থেকে আবারও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন ভিসির বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ গতকাল রোববার বেলা আড়াইটায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালেও উপাচার্য নিরাপত্তা দিতে পারেননি। উল্টো ২২ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বাইরের একজন আদালতে মামলা করেছেন। এ ছাড়া ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে হামলাকারী নন, বরং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাঁরা উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানালেও কোনো সুফল পাননি।

তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি করবেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা এক দফার (ভিসি অপসারণ) দাবিতে অনড়। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি প্রত্যাখ্যান

এদিকে ভিসি অপসারণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তারা বলছে, অনুমাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত নয়—এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসির পদত্যাগ দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গত মঙ্গলবার কুয়েট শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় হয়। এরপর গতকাল এ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, অনুমাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত নয়—এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিসির পদত্যাগ দাবি করা ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করছে শিক্ষক সমিতি। এ ছাড়া ভিসিসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। এই দাবি না মানলে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত