Ajker Patrika

ইউটিউবের ভিডিও ডেসক্রিপশনে কী লিখবেন

অনলাইন ডেস্ক
ইউটিউব ভিডিওর ডেসক্রিপশনের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৫ হাজার অক্ষর (প্রায় ৮০০ শব্দ)। ছবি: ডিজিটাল ইনফরমেশন ওয়ার্ল্ড
ইউটিউব ভিডিওর ডেসক্রিপশনের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৫ হাজার অক্ষর (প্রায় ৮০০ শব্দ)। ছবি: ডিজিটাল ইনফরমেশন ওয়ার্ল্ড

ইউটিউব একটি বিশাল ভিডিও প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ ভিডিও আপলোড হয়। তবে শুধু ভিডিও আপলোড করলেই কাজ হয় না, দর্শকদের কাছে আপনার ভিডিও পৌঁছাতে হলে ভিডিওর ডেসক্রিপশন ঠিকঠাক ও প্রাসঙ্গিক হওয়া প্রয়োজন। ডেসক্রিপশন হলো ভিডিওর নিচে থাকা একটি লেখা, যা ভিডিওর বিষয়বস্তু, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, লিংকসহ বিভিন্ন বিষয় লেখা থাকে। এটি দর্শকদের জন্য ভিডিও সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয় এবং ইউটিউবের সার্চ র‍্যাঙ্কিং বাড়াতেও সাহায্য করে।

ইউটিউব ভিডিওর ডেসক্রিপশনের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৫ হাজার অক্ষর (প্রায় ৮০০ শব্দ)। তবে প্রথম ১৫০ অক্ষরের (প্রায় ২৫-৩০ শব্দ) পরের অংশ ‘মোর’ বোতামের নিচে লুকানো থাকে। তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো অবশ্যই প্রথম ১৫০ অক্ষরের মধ্যেই দেওয়া উচিত। কারণ, বেশির ভাগ দর্শক পুরো ডেসক্রিপশন খুলে পড়ে না।

১. সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

ভিডিওর বিষয়বস্তু সংক্ষেপে এবং স্পষ্ট ভাষায় লিখতে হয়। প্রথম ১-২ লাইনে ভিডিওর মূল কথা তুলে ধরতে হবে। কারণ, ইউটিউবের ডেসক্রিপশনের প্রথম অংশ দর্শকদের নজরে দ্রুত আসে।

২. কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন

ভিডিও সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে, যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে (এসইও) সাহায্য করে। সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে ভিডিও সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। যদি কি-ওয়ার্ড খুঁজে নিতে গুগল অ্যাডস কি-ওয়ার্ড প্ল্যানার বা গুগল ট্রেন্ডস ব্যবহার করা যাবে। গুগল ট্রেন্ডস বুঝতে সাহায্য করবে কোন কি-ওয়ার্ডগুলো বেশি জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং।

৩. কল টু অ্যাকশন (সিটিএ)

দর্শকদের সাবস্ক্রাইব করতে, লাইক দিতে, কমেন্ট করতে বা শেয়ার করতে উৎসাহিত করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত। যেমন—‘ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক ও সাবস্ক্রাইব করুন।’ সোজা, সহজবোধ্য ভাষায় কল টু অ্যাকশন থাকা ভালো।

৪. লিংক ও রেফারেন্স

ভিডিও-সংক্রান্ত অন্যান্য লিংক, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ওয়েবসাইট বা পণ্যের লিংক যুক্ত করা যেতে পারে। এটি দর্শকদের আরও তথ্য জানার সুযোগ দেয়।

৫. হ্যাশট্যাগের ব্যবহার

ভিডিওর সঙ্গে সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে ইউটিউবের সার্চে আরও ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়।

৬. টাইম স্ট্যাম্পের ব্যবহার

যদি ভিডিওর দৈর্ঘ্য লম্বা হয়, তাহলে টাইম স্ট্যাম্প ব্যবহার করা উচিত। এটা দর্শকদের ভিডিওতে নির্দিষ্ট অংশ খুঁজে নিতে সাহায্য করে এবং ওয়াচ টাইম বাড়ায়।

৭. যোগাযোগের তথ্য

প্রফেশনাল বা ব্যবসায়িক ভিডিও হলে যোগাযোগের ই-মেইল বা ফোন নম্বর দেওয়া যেতে পারে।

৮. বিভিন্ন ডিভাইসে পরীক্ষা করো

ভিডিওর ডেসক্রিপশন মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার এবং টিভিতে কেমন দেখা যাচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখা ভালো। এভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় কোনো কি-ওয়ার্ড বা তথ্য কাটা পড়ে নাকি।

৯. সময়সূচি

যদি ভিডিওটি একটি সিরিজ বা পর্বের অংশ হয়, তাহলে পরবর্তী ভিডিওর জন্য একটি সময়সূচি উল্লেখ করতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত