আধুনিক স্মার্টফোন বলতে ২০০০ সালের আগে সে অর্থে এমন কোনো ডিভাইসের অস্তিত্ব ছিল না। তবে নব্বইয়ের দশক থেকেই একাধিক কোম্পানি বেশ কিছু আধুনিক ফিচারসহ টাচ ফোন বাজারে আনতে শুরু করে। এর মধ্যে এই দশকের শুরুর দিকে আইবিএমের ইঞ্জিনিয়ার ফ্রাঙ্ক ক্যানোভা প্রথম জোর দিয়ে বলেন, চিপ ও ওয়্যারলেস প্রযুক্তির উন্নয়ন এরই মধ্যে এতটা ঘটে গেছে যে ডিভাইসগুলো হাতের মুঠোয় ধরেই অপারেট করা যাবে।
সত্যিকারের স্মার্টফোন বলা যায় এমন একটি প্রোটোটাইপ প্রথম প্রকাশ করে আইবিএম। ১৯৯২ সালের নভেম্বরে কম্পিউটার শিল্পের মেলা কোডেক্স একটি প্রোটোটাইপ দেখান ক্যানোভা। ‘অ্যাঙ্গলার’ নামে ওই ডিভাইসটিতে অনেক কাজই করা যেত। পরে সেটির একটি সংস্করণ বাজারে আনে বেল সাউথ নামে এক কোম্পানি। সেটি ১৯৯৪ সালের ঘটনা। ডিভাইসটির নাম দেওয়া হয় সাইমন পারসোনাল কমিউনিকেটর। টাচস্ক্রিন যুক্ত এই ফোন দিয়ে কল করার পাশাপাশি ফ্যাক্স ও ই-মেইল করা যেত। এ ছাড়া অ্যাড্রেসবুক, ক্যালেন্ডার, অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউলার, ক্যালকুলেটর, ওয়ার্ল্ড টাইম ক্লক এবং নোটপ্যাড ছিল। এ ছাড়া তখনো পর্যন্ত কেউ কল্পনা করেনি এমন ফিচার যেমন—ম্যাপ, শেয়ারবাজারের আপডেট এবং খবর পড়ার মতো ব্যবস্থাও ছিল।
এত গেল আধুনিক স্মার্টফোনের মোটামুটি জন্ম ইতিহাস। তবে তারও অনেক আগে ১৯৬৩ সালে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ম্যানসফিল্ড টেলিফোন কোম্পানি। এই কোম্পানির পত্রিকা ম্যানসফিল্ড নিউজ-জার্নালে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সংখ্যায় একটি ফোনের ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিকে ভবিষ্যৎ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রাচীনতম সংবাদ প্রতিবেদন বলা যেতে পারে। সেখানে বলা হয়, কোম্পানিটি এমন একটি ফোন তৈরি করছে যেটি পকেটে বহন করা যাবে।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিগগিরই এমন টেলিফোন আসবে যেটি মানুষ পকেটে বহন করতে পারবে। অবশ্য এটি কালই বাজারে এসে পড়বে এমনটি ভাবা ঠিক হবে না।
কোম্পানির কমার্শিয়াল ব্যবস্থাপক ফ্রেডেরিক হান্টসম্যান বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এই টেলিফোনের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত এটি গবেষণাগার পর্যায়ে রয়েছে। এই টেলিফোনের বাহক যে কোনো স্থান থেকে কল করতে বা রিসিভ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এর সঙ্গে যুক্ত হবে লাউডস্পিকার, সঙ্গে থাকবে ছবি দেখার ব্যবস্থা। গৃহিণীরা এটিকে ইন্টারকম স্টেশন হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
ছবি দেখার ফিচারযুক্ত টেলিফোনে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে আলাপ করা যাবে এবং লাউডস্পিকার চালু করে ছোট্ট টেলিভিশন ক্যামেরার মাধ্যমে দুইপাশে পরস্পরের ছবি দেখা যাবে। এ ছাড়া টেপ রেকর্ডারও যুক্ত হবে যাতে উভয় পক্ষের আলাপ রেকর্ড করা যাবে। তখন যেহেতু মোবাইল ক্যামেরা, ভিডিও কলের ধারণা ছিল না সে কারণে হান্টসম্যান সম্ভবত এসব ফিচার বলতে ভিডিও চ্যাটকেই বোঝাতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানসফিল্ড, ওহাইও নিউজ জার্নালে ১৯৬৩ সালের ১৮ এপ্রিল এই সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এ ধরনের সেলফোনের ভবিষ্যদ্বাণী অবশ্য একাধিকজন এর বহু আগেই করে ফেলেছিলেন।
১৯২৬ সালে কিংবদন্তি প্রযুক্তিবিদ নিকোলা টেসলা বলেছিলেন, ভবিষ্যতে এমন ডিভাইস আসবে যেটি দিয়ে মানুষ দুনিয়ার সব খান থেকে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। সেই ডিভাইস পোশাকের পকেটেই আঁটবে।
তথ্যসূত্র: নিউজপেপারস ডটকম, এবিসি নিউজ, স্নোপস ডটকম
প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আধুনিক স্মার্টফোন বলতে ২০০০ সালের আগে সে অর্থে এমন কোনো ডিভাইসের অস্তিত্ব ছিল না। তবে নব্বইয়ের দশক থেকেই একাধিক কোম্পানি বেশ কিছু আধুনিক ফিচারসহ টাচ ফোন বাজারে আনতে শুরু করে। এর মধ্যে এই দশকের শুরুর দিকে আইবিএমের ইঞ্জিনিয়ার ফ্রাঙ্ক ক্যানোভা প্রথম জোর দিয়ে বলেন, চিপ ও ওয়্যারলেস প্রযুক্তির উন্নয়ন এরই মধ্যে এতটা ঘটে গেছে যে ডিভাইসগুলো হাতের মুঠোয় ধরেই অপারেট করা যাবে।
সত্যিকারের স্মার্টফোন বলা যায় এমন একটি প্রোটোটাইপ প্রথম প্রকাশ করে আইবিএম। ১৯৯২ সালের নভেম্বরে কম্পিউটার শিল্পের মেলা কোডেক্স একটি প্রোটোটাইপ দেখান ক্যানোভা। ‘অ্যাঙ্গলার’ নামে ওই ডিভাইসটিতে অনেক কাজই করা যেত। পরে সেটির একটি সংস্করণ বাজারে আনে বেল সাউথ নামে এক কোম্পানি। সেটি ১৯৯৪ সালের ঘটনা। ডিভাইসটির নাম দেওয়া হয় সাইমন পারসোনাল কমিউনিকেটর। টাচস্ক্রিন যুক্ত এই ফোন দিয়ে কল করার পাশাপাশি ফ্যাক্স ও ই-মেইল করা যেত। এ ছাড়া অ্যাড্রেসবুক, ক্যালেন্ডার, অ্যাপয়েন্টমেন্ট শিডিউলার, ক্যালকুলেটর, ওয়ার্ল্ড টাইম ক্লক এবং নোটপ্যাড ছিল। এ ছাড়া তখনো পর্যন্ত কেউ কল্পনা করেনি এমন ফিচার যেমন—ম্যাপ, শেয়ারবাজারের আপডেট এবং খবর পড়ার মতো ব্যবস্থাও ছিল।
এত গেল আধুনিক স্মার্টফোনের মোটামুটি জন্ম ইতিহাস। তবে তারও অনেক আগে ১৯৬৩ সালে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ম্যানসফিল্ড টেলিফোন কোম্পানি। এই কোম্পানির পত্রিকা ম্যানসফিল্ড নিউজ-জার্নালে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সংখ্যায় একটি ফোনের ছবিসহ প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটিকে ভবিষ্যৎ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রাচীনতম সংবাদ প্রতিবেদন বলা যেতে পারে। সেখানে বলা হয়, কোম্পানিটি এমন একটি ফোন তৈরি করছে যেটি পকেটে বহন করা যাবে।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিগগিরই এমন টেলিফোন আসবে যেটি মানুষ পকেটে বহন করতে পারবে। অবশ্য এটি কালই বাজারে এসে পড়বে এমনটি ভাবা ঠিক হবে না।
কোম্পানির কমার্শিয়াল ব্যবস্থাপক ফ্রেডেরিক হান্টসম্যান বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এই টেলিফোনের বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত এটি গবেষণাগার পর্যায়ে রয়েছে। এই টেলিফোনের বাহক যে কোনো স্থান থেকে কল করতে বা রিসিভ করতে পারবেন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এর সঙ্গে যুক্ত হবে লাউডস্পিকার, সঙ্গে থাকবে ছবি দেখার ব্যবস্থা। গৃহিণীরা এটিকে ইন্টারকম স্টেশন হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
ছবি দেখার ফিচারযুক্ত টেলিফোনে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে আলাপ করা যাবে এবং লাউডস্পিকার চালু করে ছোট্ট টেলিভিশন ক্যামেরার মাধ্যমে দুইপাশে পরস্পরের ছবি দেখা যাবে। এ ছাড়া টেপ রেকর্ডারও যুক্ত হবে যাতে উভয় পক্ষের আলাপ রেকর্ড করা যাবে। তখন যেহেতু মোবাইল ক্যামেরা, ভিডিও কলের ধারণা ছিল না সে কারণে হান্টসম্যান সম্ভবত এসব ফিচার বলতে ভিডিও চ্যাটকেই বোঝাতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানসফিল্ড, ওহাইও নিউজ জার্নালে ১৯৬৩ সালের ১৮ এপ্রিল এই সংবাদ প্রকাশ করা হলেও এ ধরনের সেলফোনের ভবিষ্যদ্বাণী অবশ্য একাধিকজন এর বহু আগেই করে ফেলেছিলেন।
১৯২৬ সালে কিংবদন্তি প্রযুক্তিবিদ নিকোলা টেসলা বলেছিলেন, ভবিষ্যতে এমন ডিভাইস আসবে যেটি দিয়ে মানুষ দুনিয়ার সব খান থেকে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন। সেই ডিভাইস পোশাকের পকেটেই আঁটবে।
তথ্যসূত্র: নিউজপেপারস ডটকম, এবিসি নিউজ, স্নোপস ডটকম
প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৫ সালের বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নতুন একাধিক এআইভিত্তিক উদ্যোক্তা স্থান পেয়েছেন। তবে এআইকে ঘিরে প্রতিক্রিয়া সবার এক রকম নয়।
৪ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে মেটা এআই-এর কাছে ছবি, ভিডিও ও টেক্সট পাঠিয়ে সেগুলোর বিশ্লেষণ করাতে পারবেন। পরীক্ষামূলকভাবে ফিচারটি প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডের জন্য ২.২৫. ১৮.৮ সংস্করণে চালু হয়েছে। পাশাপাশি কিছু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্যও এটি ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেএক সময় ইন্টারনেট থেকে তথ্য জানার জন্য মানুষ নির্ভর করত একমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের ওপর। আর সেই দুনিয়ার শীর্ষে ছিল গুগল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এখন চিত্রটা বদলাতে শুরু করেছে। চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য জেনারেটিভ এআই টুল তথ্য খোঁজার নতুন বিকল্প হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
৭ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনের মুহূর্তগুলো আরও আকর্ষণীয় ও জীবন্ত করে তুলতে স্টোরি ফিচারটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন ইনস্টাগ্রামের ব্যবহারকারীরা। এই ফিচারের মাধ্যমে শুধু ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলেই হয় না, তাতে বাড়তি আকর্ষণ যোগ করে স্টিকার, মিউজিক ও টেক্সট। এই উপাদানগুলো স্টোরিকে করে তোলে আরও জীবন্ত, তথ্যপূর্ণ ও মনোমুগ্ধ
১০ ঘণ্টা আগে