ফিচার ডেস্ক
পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন কিছু নয়। কিন্তু যদি বলা হয়, বাড়ির ছাদে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা থেকে ঘরে আলো জ্বালাতে পারবেন! শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমন এক অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক। তাঁরা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে ছোট পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘এসিএস সেন্ট্রাল সায়েন্স’-এ।
কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি
এই যন্ত্রে একটি লম্বা সরু নল থাকে। ওপর থেকে বৃষ্টির মতো পানির ফোঁটা ফেলা হয় এর ভেতরে। ফোঁটাগুলো ধাক্কা খেয়ে একধরনের পানির কলাম তৈরি করে, যার ফাঁকে থাকে বাতাস। একে বিজ্ঞানীরা বলেন প্লাগ ফ্লো। এই ফোঁটাগুলো নলের ভেতরে পড়ে নিচে নামার সময় পানির মধ্যে থাকা বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা হয়ে যায়। নলের ওপরে ও নিচে বসানো তার সেই চার্জ সংগ্রহ করে। সেখান থেকে তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, বৃষ্টির ফোঁটার শক্তির প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুতে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। একসঙ্গে দুটি নল ব্যবহার করা হলে সেই বিদ্যুৎ দিয়ে ১২টি এলইডি বাতি টানা ২০ সেকেন্ড জ্বালানো সম্ভব। এই পরীক্ষায় কৃত্রিমভাবে তৈরি পানির ফোঁটা ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষকদের মত, প্রকৃত বৃষ্টির বড় ফোঁটা দিয়ে আরও বেশি বিদ্যুৎ তৈরি হতে পারে।
শহরাঞ্চলের জন্য উপযোগী প্রযুক্তি
বর্তমানে অনেক শহরে সোলার প্যানেল বসানো হলেও বর্ষাকালে বা বৃষ্টির দিনে সেগুলো কাজে আসে না। কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তি সোলার সিস্টেমের এক চমৎকার পরিপূরক হতে পারে।
ব্যবহারের সম্ভাব্য স্থানগুলো
বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা ও গুরুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। এমন সময় এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের জন্য বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। সুলভ, সহজে বসানো যায়, রক্ষণাবেক্ষণ কম—এই বৈশিষ্ট্যগুলো একে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সমস্যার বিকল্প সমাধান হিসেবেও তুলে ধরতে পারে।
এ মুহূর্তে প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে সেদিন খুব দূরে নয়, যেদিন শহরের ছাদ থেকে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা দিয়ে আমাদের চারপাশ আলোকিত হবে। আর সেই আলো আসবে প্রকৃতি থেকে, একেবারে বিনা দূষণে।
সূত্র: গ্লোবাল এনার্জি
পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নতুন কিছু নয়। কিন্তু যদি বলা হয়, বাড়ির ছাদে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা থেকে ঘরে আলো জ্বালাতে পারবেন! শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমন এক অভিনব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক। তাঁরা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে ছোট পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘এসিএস সেন্ট্রাল সায়েন্স’-এ।
কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি
এই যন্ত্রে একটি লম্বা সরু নল থাকে। ওপর থেকে বৃষ্টির মতো পানির ফোঁটা ফেলা হয় এর ভেতরে। ফোঁটাগুলো ধাক্কা খেয়ে একধরনের পানির কলাম তৈরি করে, যার ফাঁকে থাকে বাতাস। একে বিজ্ঞানীরা বলেন প্লাগ ফ্লো। এই ফোঁটাগুলো নলের ভেতরে পড়ে নিচে নামার সময় পানির মধ্যে থাকা বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা হয়ে যায়। নলের ওপরে ও নিচে বসানো তার সেই চার্জ সংগ্রহ করে। সেখান থেকে তৈরি হয় বিদ্যুৎ।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, বৃষ্টির ফোঁটার শক্তির প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুতে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। একসঙ্গে দুটি নল ব্যবহার করা হলে সেই বিদ্যুৎ দিয়ে ১২টি এলইডি বাতি টানা ২০ সেকেন্ড জ্বালানো সম্ভব। এই পরীক্ষায় কৃত্রিমভাবে তৈরি পানির ফোঁটা ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষকদের মত, প্রকৃত বৃষ্টির বড় ফোঁটা দিয়ে আরও বেশি বিদ্যুৎ তৈরি হতে পারে।
শহরাঞ্চলের জন্য উপযোগী প্রযুক্তি
বর্তমানে অনেক শহরে সোলার প্যানেল বসানো হলেও বর্ষাকালে বা বৃষ্টির দিনে সেগুলো কাজে আসে না। কিন্তু এই নতুন প্রযুক্তি সোলার সিস্টেমের এক চমৎকার পরিপূরক হতে পারে।
ব্যবহারের সম্ভাব্য স্থানগুলো
বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা ও গুরুত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। এমন সময় এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের জন্য বড় সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। সুলভ, সহজে বসানো যায়, রক্ষণাবেক্ষণ কম—এই বৈশিষ্ট্যগুলো একে গ্রামীণ বিদ্যুৎ সমস্যার বিকল্প সমাধান হিসেবেও তুলে ধরতে পারে।
এ মুহূর্তে প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে সেদিন খুব দূরে নয়, যেদিন শহরের ছাদ থেকে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা দিয়ে আমাদের চারপাশ আলোকিত হবে। আর সেই আলো আসবে প্রকৃতি থেকে, একেবারে বিনা দূষণে।
সূত্র: গ্লোবাল এনার্জি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগিয়ে তাদের ডেলিভারি এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে আমাজন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেগুগল ও চিলি সরকার একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছে, যার আওতায় দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া এবং ওশেনিয়া মহাদেশকে যুক্ত করতে একটি সাবমেরিন ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপন করা হবে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘হুম্বোল্ড কেবল’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কেবলটি চিলির উপকূলীয় শহর ভালপারাইসো থেকে
৪ ঘণ্টা আগেচ্যাটজিপিটির সেবায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। এবার থেকে ব্যবহারকারীরা গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, শেয়ারপয়েন্ট ও ওয়ানড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে চ্যাটজিপিটিকে সরাসরি সংযুক্ত করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তথ্য অনুসন্ধান, সারসংক্ষেপ প্রস্তুত এবং তথ্য বিশ্লেষণ
৫ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনে মামলা করেছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম রেডিট। গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, অ্যানথ্রপিক অবৈধভাবে রেডিটের ১০ কোটিরও বেশি দৈনিক ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করে তাদের
৮ ঘণ্টা আগে