নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল–উর–রহমান বলেছেন, মার্কেটে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য কমিশন কাজ করবে। গ্রাহকদের অভিযোগ ও করণীয় বিষয়ে আগামী মাসে আমরা গণশুনানি করতে যাচ্ছি। যা হবে দেশের আটটি বিভাগে। এ ছাড়া অনলাইনেও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা, মুঠোফোন গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা সেক্টর এখন টেলিযোগাযোগের ওপর নির্ভর করে। স্বাস্থ্যখাত, বাণিজ্যখাত, আইনশৃঙ্খলা যাই বলেন, সব ক্ষেত্রেই টেলিযোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটিকে দুর্গম এলাকায় সম্প্রসারণ করে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করেছি। কেননা, টেলিযোগাযোগ খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
সংস্থার মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বিটিআরসির মূল উদ্দেশ্য থাকে যাতে গ্রাহক সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের সেবা পেতে পারে। একই সঙ্গে অপারেটর যারা আছে একটি ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ আমরা উপহার দিতে পারি। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের যে সার্ভিস আছে তা এখন অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে টেলিযোগাযোগের লাইসেন্স ৩ হাজারের ওপরে। অথচ শুরুতে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা ছিল।’
প্রতিদিন গড়ে ২৩৩ থেকে ২৩৪টি ফোনকল রিসিভ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকেরা নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান। ১০০ নম্বরে (টোল ফ্রি) যোগাযোগ করে আপনারা অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ও এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘গ্রামের মানুষ নেটওয়ার্কের দুর্বলতা থাকলেও ব্যবহার করতে পেরেই খুশি। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইলে নেটওয়ার্কের গতি বৃদ্ধির বিকল্প নেই।’
গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত বলেন, ‘অপারেটরদের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখানে কোনো একটি অপারেটর বেশি সুবিধা নিচ্ছে এ কথা ঠিক না। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকটি অপারেটরের বিজনেস পলিসির কারণেই তারা অগ্রগামী হয়। আর ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই তারা পিছিয়ে যায়। আমরা উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. ফজলে হুদা বলেন, ‘৫৭ শতাংশ রাজস্ব সরকারকে দিতে হয়। আর মাঝখানের কিছু অপারেটরদের বা মধ্যস্বত্বভোগীদের দিতে হয় ২১ শতাংশ। ২৬ থেকে ২৭ টাকার মধ্যে আমাদের অপারেশন পরিচালনা করতে হয়। এর মধ্যে যদি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে তাহলে দু–একটি অপারেটর ঝরে পড়লে বাজারে মনোপলি প্রতিষ্ঠা হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে খুব দ্রুতই এসএমপি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আরেক অপারেটর বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান বলেন, ‘ছোট অপারেটর হিসেবে আমরা খুব চাপে আছি। আমাদের প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ এবং স্ট্রাগল করতে হচ্ছে। এসএমপি বাস্তবায়িত হলে আমাদের সুবিধার পাশাপাশি নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ বা অন্য অপারেটর ব্যবসায় আসতে উৎসাহিত হবে।’
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালেদ আবু নাছের জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর রয়েছে। বর্তমানে এ খাতে গ্রাহকের ভিত্তিতে প্রথম অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবি আজিয়াটার ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ, বাংলালিংকের ২২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং চতুর্থ অপারেটর টেলিটকের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। রেভিনিউয়ের দিক থেকে গ্রামীণফোনের বাজার হিস্যা ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ, রবি আজিয়াটা ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ, বাংলালিংক ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং টেলিটকের মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সেলফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল–উর–রহমান বলেছেন, মার্কেটে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য কমিশন কাজ করবে। গ্রাহকদের অভিযোগ ও করণীয় বিষয়ে আগামী মাসে আমরা গণশুনানি করতে যাচ্ছি। যা হবে দেশের আটটি বিভাগে। এ ছাড়া অনলাইনেও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘টেলিযোগাযোগ খাতে বাজার প্রতিযোগিতা, মুঠোফোন গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা সেক্টর এখন টেলিযোগাযোগের ওপর নির্ভর করে। স্বাস্থ্যখাত, বাণিজ্যখাত, আইনশৃঙ্খলা যাই বলেন, সব ক্ষেত্রেই টেলিযোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটিকে দুর্গম এলাকায় সম্প্রসারণ করে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ শুরু করেছি। কেননা, টেলিযোগাযোগ খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
সংস্থার মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বিটিআরসির মূল উদ্দেশ্য থাকে যাতে গ্রাহক সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের সেবা পেতে পারে। একই সঙ্গে অপারেটর যারা আছে একটি ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ আমরা উপহার দিতে পারি। বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের যে সার্ভিস আছে তা এখন অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে টেলিযোগাযোগের লাইসেন্স ৩ হাজারের ওপরে। অথচ শুরুতে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা ছিল।’
প্রতিদিন গড়ে ২৩৩ থেকে ২৩৪টি ফোনকল রিসিভ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকেরা নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানান। ১০০ নম্বরে (টোল ফ্রি) যোগাযোগ করে আপনারা অভিযোগ জানাতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব ও এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘গ্রামের মানুষ নেটওয়ার্কের দুর্বলতা থাকলেও ব্যবহার করতে পেরেই খুশি। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাইলে নেটওয়ার্কের গতি বৃদ্ধির বিকল্প নেই।’
গ্রামীণফোন লিমিটেডের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত বলেন, ‘অপারেটরদের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখানে কোনো একটি অপারেটর বেশি সুবিধা নিচ্ছে এ কথা ঠিক না। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেকটি অপারেটরের বিজনেস পলিসির কারণেই তারা অগ্রগামী হয়। আর ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই তারা পিছিয়ে যায়। আমরা উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
রবি আজিয়াটার ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. ফজলে হুদা বলেন, ‘৫৭ শতাংশ রাজস্ব সরকারকে দিতে হয়। আর মাঝখানের কিছু অপারেটরদের বা মধ্যস্বত্বভোগীদের দিতে হয় ২১ শতাংশ। ২৬ থেকে ২৭ টাকার মধ্যে আমাদের অপারেশন পরিচালনা করতে হয়। এর মধ্যে যদি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে তাহলে দু–একটি অপারেটর ঝরে পড়লে বাজারে মনোপলি প্রতিষ্ঠা হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে খুব দ্রুতই এসএমপি বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
আরেক অপারেটর বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান বলেন, ‘ছোট অপারেটর হিসেবে আমরা খুব চাপে আছি। আমাদের প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ এবং স্ট্রাগল করতে হচ্ছে। এসএমপি বাস্তবায়িত হলে আমাদের সুবিধার পাশাপাশি নতুন করে বিদেশি বিনিয়োগ বা অন্য অপারেটর ব্যবসায় আসতে উৎসাহিত হবে।’
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালেদ আবু নাছের জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটর রয়েছে। বর্তমানে এ খাতে গ্রাহকের ভিত্তিতে প্রথম অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবি আজিয়াটার ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ, বাংলালিংকের ২২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং চতুর্থ অপারেটর টেলিটকের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। রেভিনিউয়ের দিক থেকে গ্রামীণফোনের বাজার হিস্যা ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ, রবি আজিয়াটা ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ, বাংলালিংক ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং টেলিটকের মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সেলফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, সংগঠনের উপদেষ্টা ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈধ ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্য এটি উদ্বেগের কারণ নয়। তবে কিছু ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ভুলবশত মুছে ফেলা হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে স্ক্যামাররা সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
১৩ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের আইফোন ১৭ মডেলের আত্মপ্রকাশের আর মাত্র দুই মাস বাকি। এর মধ্যেই নতুন আইফোন নিয়ে গুঞ্জন ও জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে ম্যাকরিউমরস আইফোন ১৭ সিরিজের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচারগুলো এবং কিছু সম্ভাব্য নেতিবাচক পরিবর্তন তুলে ধরেছে।
২ দিন আগেঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট ডেটা পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বুধবার সব অপারেটরকে এই নির্দেশনা দেয়।
৩ দিন আগেমহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল শুক্রবার ঢাকায় আসছে।
৪ দিন আগে