মইনুল হাসান, ফ্রান্স
রক্ত হিম করা খবর দিচ্ছেন একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আগে থেকে প্রায় নির্ভুলভাবে, নির্দিষ্ট করে মৃত্যুর দিনক্ষণ বলে দিতে পারবেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু না ঘটলে আগে থেকে জানা যাবে মৃত্যুর তারিখ!
এ বিষয়ে গবেষণায় এগিয়ে আছেন ড্যানিশ বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা তাঁদের গবেষণার ফলাফল গত বছর নেচার কম্পিউটেশনাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশ করেছেন। ‘লাইফ২ভেক’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এরই মধ্যে প্রায় ৭৯ শতাংশ নিশ্চয়তা দিয়ে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বাভাস দিতে বা ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম। মানুষের আয়ু নিয়ে গবেষণায় একযোগে কাজ করছেন ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।
তাঁদের গবেষণার মূল হাতিয়ার হচ্ছে গাণিতিক পরিভাষা, অ্যালগরিদম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বুদ্ধিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষের শারীরবৃত্তীয়, বংশগতির বৈশিষ্ট্য এবং রোগসম্পর্কিত বিশাল তথ্য-উপাত্ত ভান্ডার সাজিয়ে দিচ্ছেন যান্ত্রিক মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষে।এসব তথ্য-উপাত্তের মূল চারটি উৎস হচ্ছে রক্ত পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম এবং চোখের রেটিনার স্ক্যান।
বোদ্ধা বিজ্ঞানীদের অনেকে ভ্রু কুঁচকে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে সাবধান করে দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সীমা লঙ্ঘন করতে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, আগে থেকে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানলে মানুষের স্বাভাবিক আচার-আচরণ বদলে যাবে। এ ছাড়া ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্বিপাক বা মানসিক বিপর্যয়। তা ছাড়া নাগরিকদের এমন ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয়ে গেলে তা রাষ্ট্রীয় দুর্যোগের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
যাঁরা সবক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর ভর করতে চান, তাঁদের যুক্তিতেও ধার খুব একটা কম নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, জাতি বা রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দক্ষতার সঙ্গে কার্যকর করতে নাগরিকদের আয়ুসম্পর্কিত তথ্য বিশেষ অনুষঙ্গ হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার মতো গুরুদায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জীবনের মেয়াদ সম্পর্কে নাগরিকদের ধারণা থাকা নাগরিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। এ ছাড়া নাগরিকদের আয়ুসম্পর্কিত প্রায় নির্ভুল তথ্য স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমিয়ে আনবে এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
উদাহরণ হিসেবে ফরাসি গবেষকেরা একটি ভয়াবহ এবং করুণ খবর দিচ্ছেন। এক ফ্রান্সেই প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। এসব দুর্ভাগা মানুষের মধ্যে ১০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। বিশেষজ্ঞরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এ কারণে যে আকস্মিক মৃত্যুর শিকার ব্যক্তিদের আগে থেকে কোনো অসুখ-বিসুখ বা অন্য কোনো শারীরিক অসংগতির লক্ষণ ছিল না।
গবেষকেরা বিষয়টির একটি সুরাহা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারস্থ হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চোখকে অতি সূক্ষ্ম ‘বায়োমার্কার’ বা জীবনকে সদা সচল রাখতে মানবদেহের জৈব-রাসায়নিক, ভৌত কার্যকলাপ ফাঁকি দিতে পারবে না। তাই অতি সূক্ষ্ম এই অসংগতি আগে থেকে চিহ্নিত করতে পারলে বহু জীবনকে অকালমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
গুগলের একজন পুরোধা ব্যক্তি রে কার্জউইল জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের দিকেই মানুষ ‘সুপার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র যুগে প্রবেশ করবে।আর সে সময়ে অতি উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার জন্মসনদে জন্মতারিখের ঠিক পাশেই নির্ভুলভাবে শিশুটির মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ করা হলে তাতে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না।
রক্ত হিম করা খবর দিচ্ছেন একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আগে থেকে প্রায় নির্ভুলভাবে, নির্দিষ্ট করে মৃত্যুর দিনক্ষণ বলে দিতে পারবেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু না ঘটলে আগে থেকে জানা যাবে মৃত্যুর তারিখ!
এ বিষয়ে গবেষণায় এগিয়ে আছেন ড্যানিশ বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা তাঁদের গবেষণার ফলাফল গত বছর নেচার কম্পিউটেশনাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশ করেছেন। ‘লাইফ২ভেক’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এরই মধ্যে প্রায় ৭৯ শতাংশ নিশ্চয়তা দিয়ে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বাভাস দিতে বা ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম। মানুষের আয়ু নিয়ে গবেষণায় একযোগে কাজ করছেন ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।
তাঁদের গবেষণার মূল হাতিয়ার হচ্ছে গাণিতিক পরিভাষা, অ্যালগরিদম। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বুদ্ধিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষের শারীরবৃত্তীয়, বংশগতির বৈশিষ্ট্য এবং রোগসম্পর্কিত বিশাল তথ্য-উপাত্ত ভান্ডার সাজিয়ে দিচ্ছেন যান্ত্রিক মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষে।এসব তথ্য-উপাত্তের মূল চারটি উৎস হচ্ছে রক্ত পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে, ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম এবং চোখের রেটিনার স্ক্যান।
বোদ্ধা বিজ্ঞানীদের অনেকে ভ্রু কুঁচকে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে সাবধান করে দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সীমা লঙ্ঘন করতে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, আগে থেকে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানলে মানুষের স্বাভাবিক আচার-আচরণ বদলে যাবে। এ ছাড়া ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্বিপাক বা মানসিক বিপর্যয়। তা ছাড়া নাগরিকদের এমন ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয়ে গেলে তা রাষ্ট্রীয় দুর্যোগের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
যাঁরা সবক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর ভর করতে চান, তাঁদের যুক্তিতেও ধার খুব একটা কম নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, জাতি বা রাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দক্ষতার সঙ্গে কার্যকর করতে নাগরিকদের আয়ুসম্পর্কিত তথ্য বিশেষ অনুষঙ্গ হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার মতো গুরুদায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জীবনের মেয়াদ সম্পর্কে নাগরিকদের ধারণা থাকা নাগরিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। এ ছাড়া নাগরিকদের আয়ুসম্পর্কিত প্রায় নির্ভুল তথ্য স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় কমিয়ে আনবে এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
উদাহরণ হিসেবে ফরাসি গবেষকেরা একটি ভয়াবহ এবং করুণ খবর দিচ্ছেন। এক ফ্রান্সেই প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। এসব দুর্ভাগা মানুষের মধ্যে ১০ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। বিশেষজ্ঞরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এ কারণে যে আকস্মিক মৃত্যুর শিকার ব্যক্তিদের আগে থেকে কোনো অসুখ-বিসুখ বা অন্য কোনো শারীরিক অসংগতির লক্ষণ ছিল না।
গবেষকেরা বিষয়টির একটি সুরাহা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারস্থ হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চোখকে অতি সূক্ষ্ম ‘বায়োমার্কার’ বা জীবনকে সদা সচল রাখতে মানবদেহের জৈব-রাসায়নিক, ভৌত কার্যকলাপ ফাঁকি দিতে পারবে না। তাই অতি সূক্ষ্ম এই অসংগতি আগে থেকে চিহ্নিত করতে পারলে বহু জীবনকে অকালমৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
গুগলের একজন পুরোধা ব্যক্তি রে কার্জউইল জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের দিকেই মানুষ ‘সুপার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র যুগে প্রবেশ করবে।আর সে সময়ে অতি উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার জন্মসনদে জন্মতারিখের ঠিক পাশেই নির্ভুলভাবে শিশুটির মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ করা হলে তাতে বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না।
বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। শুধু প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই নয়, বরং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদেরও মূল্যায়ন করবে এআই। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ট্র্যাক করে। র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটি এবং আইএমডিইএ নেটওয়ার্কসের এক
৬ ঘণ্টা আগেআমরা প্রতিদিন অসংখ্য ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়ে থাকি। তবে পরে চাইলে সেই লাইক দেওয়া পোস্টগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ না। প্রিয় কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট আবার দেখতে চাইলে অনেক সময় খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ভালো খবর হলো, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি ফিচার রয়েছে
১০ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগিয়ে তাদের ডেলিভারি এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে আমাজন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে।
১ দিন আগে