অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসিকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে এই কোম্পানিকে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসনাল কমিটির (আরএনসিসি) অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের কোনো টাকা দিইনি। শুধু একটাই কথা বলেছিলাম, যদি তোমরা কারখানা এখানে না তৈরি করো, তাহলে তোমাদের বড় ধরনের কর দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টিএসএমসির মার্কিন শাখাকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করার জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন ‘সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর কোনো অনুদান প্রয়োজন ছিল না।’
টিএসএমসি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপমেকার টিএসএমসি। গত মার্চ মাসে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার মধ্যে রয়েছে—আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা।
এ ছাড়া টিএসএমসিকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বা তারও বেশি জরিমানা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ কোম্পানিটির তৈরি একটি চিপ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রসেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে টিএসএমসির এই জরিমানা হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনাভিত্তিক সফগো নামক কোম্পানির জন্য টিএসএমসি চিপ তৈরি করছে কি না, তা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সফগোর অর্ডার করা চিপটির ডিজাইন হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের সঙ্গে মিলে গেছে। এ তথ্য তদন্তে প্রমাণিত হলে টিএসএমসিকে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের হুয়াওয়ে। এই তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য সরবরাহ করা নিষিদ্ধ।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়ার আরএএনডির টেকনোলজি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন চিপ তৈরি করেছ টিএসএমসি, যা সফগোর অর্ডার করা চিপগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিপ সম্ভবত হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে।
এজন্য টিএসএমসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা হতে পারে। কারণ মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য লেনদেনের দ্বিগুণ মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেহেতু টিএসএমসির চিপ উৎপাদন টুলগুলোর মধ্যে মার্কিন প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাইওয়ানভিত্তিক কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এ কারণে হুয়াওয়ের জন্য চিপ তৈরি করতে পারবে না টিএসএমসি বা কোনো চীনা গ্রাহকের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করতে হলে মার্কিন লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, এ ধরনের ডিজাইন মূলত এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য তৈরি। তাই চীনা কোম্পানির জন্য টিএসএমসির এসব চিপ তৈরি করা উচিত হয়নি। বিশেষত যখন সেগুলো হুয়াওয়ের মতো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর ঝুঁকি ছিল।
এই খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির শেয়ার কিছুটা কমে গেছে।
বর্তমানে, টিএসএমসির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা একটি ‘প্রস্তাবিত অভিযোগপত্র’ পাঠায়। এতে লঙ্ঘনের সময়, মূল্য এবং জরিমানার হিসাব দেওয়া থাকে এবং কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়।
গত মার্চে টিএসএমসি জানায়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই জরিমানার বিষয়টি এমন একটি সময়ে আসছে, যখন মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও এই শুল্ক চিপগুলোর ওপর প্রযোজ্য নয়, ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
সংসবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এক বিবৃতিতে টিএসএমসির মুখপাত্র নিনা কাউ বলেন, কোম্পানিটি আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হুয়াওয়ের কাছে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি টিএসএমসি।
তাইপেইতে সাংবাদিকদের তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রী কুয়া ঝি-হুয়ে বলেন, টিএসএমসি আইন ও বিধিমালাকে সম্মান করে। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কোনো সম্ভাব্য জরিমানা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
গত মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে রপ্তানি বিধিনিষেধের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রশাসনের অধীনে খুব দ্রুত এবং শক্তভাবে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাড়াতে চলেছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রী জেফ্রি কেসলার বলেন, টিএসএমসি থেকে হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহের খবর বড় উদ্বেগের বিষয়।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মূল্যের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাঠানোর কারণে বিআইএস সেগেট টেকনোলজি হোল্ডিংসকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই অ্যাক্সিলারেটরের ভেতরে টিএসএমসি চিপের উপস্থিতি খুঁজে পায় কানাডার প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকইনসাইটস। এরপর টিএসএমসি সফগোকে চিপ সরবরাহ স্থগিত করে এবং গত নভেম্বরে চীনে সাত ন্যানোমিটার বা আরও উন্নত চিপ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, সফগো কোম্পানিও হুয়াওয়ের মতো একই বাণিজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি চিপটি চীনা কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত এআই চিপ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার জন্য একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করলে তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিএসএমসিকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হবে বলে হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এক্সপোর্ট কন্ট্রোল বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তদন্তের কারণে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা দিতে হতে পারে এই কোম্পানিকে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসনাল কমিটির (আরএনসিসি) অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের কোনো টাকা দিইনি। শুধু একটাই কথা বলেছিলাম, যদি তোমরা কারখানা এখানে না তৈরি করো, তাহলে তোমাদের বড় ধরনের কর দিতে হবে।’
সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, টিএসএমসির মার্কিন শাখাকে ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন করার জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন ‘সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর কোনো অনুদান প্রয়োজন ছিল না।’
টিএসএমসি এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্ট্রাক্ট চিপমেকার টিএসএমসি। গত মার্চ মাসে হোয়াইট হাউসে জানিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার মধ্যে রয়েছে—আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা।
এ ছাড়া টিএসএমসিকে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বা তারও বেশি জরিমানা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কারণ কোম্পানিটির তৈরি একটি চিপ চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রসেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে টিএসএমসির এই জরিমানা হতে পারে। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনাভিত্তিক সফগো নামক কোম্পানির জন্য টিএসএমসি চিপ তৈরি করছে কি না, তা তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সফগোর অর্ডার করা চিপটির ডিজাইন হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের সঙ্গে মিলে গেছে। এ তথ্য তদন্তে প্রমাণিত হলে টিএসএমসিকে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের হুয়াওয়ে। এই তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর জন্য মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য সরবরাহ করা নিষিদ্ধ।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়ার আরএএনডির টেকনোলজি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড পলিসি সেন্টারের গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে প্রায় তিন মিলিয়ন চিপ তৈরি করেছ টিএসএমসি, যা সফগোর অর্ডার করা চিপগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিপ সম্ভবত হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে।
এজন্য টিএসএমসির বিরুদ্ধে ১ বিলিয়ন ডলার বা তারও বেশি জরিমানা হতে পারে। কারণ মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য লেনদেনের দ্বিগুণ মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
যেহেতু টিএসএমসির চিপ উৎপাদন টুলগুলোর মধ্যে মার্কিন প্রযুক্তি রয়েছে। তাই তাইওয়ানভিত্তিক কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়ে। এ কারণে হুয়াওয়ের জন্য চিপ তৈরি করতে পারবে না টিএসএমসি বা কোনো চীনা গ্রাহকের জন্য অত্যাধুনিক চিপ তৈরি করতে হলে মার্কিন লাইসেন্স প্রয়োজন হবে।
গবেষক লেনার্ট হেইম বলেন, এ ধরনের ডিজাইন মূলত এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য তৈরি। তাই চীনা কোম্পানির জন্য টিএসএমসির এসব চিপ তৈরি করা উচিত হয়নি। বিশেষত যখন সেগুলো হুয়াওয়ের মতো নিষিদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর ঝুঁকি ছিল।
এই খবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির শেয়ার কিছুটা কমে গেছে।
বর্তমানে, টিএসএমসির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ কার্যক্রমের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা একটি ‘প্রস্তাবিত অভিযোগপত্র’ পাঠায়। এতে লঙ্ঘনের সময়, মূল্য এবং জরিমানার হিসাব দেওয়া থাকে এবং কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলা হয়।
গত মার্চে টিএসএমসি জানায়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ করবে, যার অংশ হিসেবে আগামী বছরগুলোতে পাঁচটি নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই জরিমানার বিষয়টি এমন একটি সময়ে আসছে, যখন মার্কিন-তাইওয়ান সম্পর্ক পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও এই শুল্ক চিপগুলোর ওপর প্রযোজ্য নয়, ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকার সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
সংসবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে এক বিবৃতিতে টিএসএমসির মুখপাত্র নিনা কাউ বলেন, কোম্পানিটি আইন মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে হুয়াওয়ের কাছে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি টিএসএমসি।
তাইপেইতে সাংবাদিকদের তাইওয়ানের অর্থমন্ত্রী কুয়া ঝি-হুয়ে বলেন, টিএসএমসি আইন ও বিধিমালাকে সম্মান করে। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কোনো সম্ভাব্য জরিমানা সম্পর্কে কোনো বিজ্ঞপ্তি পায়নি এবং তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
গত মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক কনফারেন্সে রপ্তানি বিধিনিষেধের কঠোর প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লাটনিক। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রশাসনের অধীনে খুব দ্রুত এবং শক্তভাবে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানা বাড়াতে চলেছি।’
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শিল্প ও নিরাপত্তা বিভাগের উপমন্ত্রী জেফ্রি কেসলার বলেন, টিএসএমসি থেকে হুয়াওয়ের কাছে চিপ সরবরাহের খবর বড় উদ্বেগের বিষয়।
এ ছাড়া, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ের কাছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন মূল্যের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পাঠানোর কারণে বিআইএস সেগেট টেকনোলজি হোল্ডিংসকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি এআই অ্যাক্সিলারেটরের ভেতরে টিএসএমসি চিপের উপস্থিতি খুঁজে পায় কানাডার প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের টেকইনসাইটস। এরপর টিএসএমসি সফগোকে চিপ সরবরাহ স্থগিত করে এবং গত নভেম্বরে চীনে সাত ন্যানোমিটার বা আরও উন্নত চিপ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, সফগো কোম্পানিও হুয়াওয়ের মতো একই বাণিজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের অ্যাসেন্ড ৯১০বি চিপটি চীনা কোম্পানির সবচেয়ে উন্নত এআই চিপ হিসেবে পরিচিত, যা মার্কিন কোম্পানি এনভিডিয়ার জন্য একটি বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রিয়েলমি আবারও নতুন চমক নিয়ে আসছে। রিয়েলমি ‘সি ৭৫’ লাইনআপের আরও আধুনিক একটি ডিভাইস রিয়েলমি ‘সি ৭৫ এক্স’ দেশের বাজারে আসছে শিগগির।
৭ ঘণ্টা আগেবৈশ্বিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজে তিনটি মডেল—নোট ৫০, নোট ৫০ প্রো এবং নোট ৫০ প্রো প্লাস—বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে প্রযুক্তি বিশ্বে একসময় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ফেসবুকের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রাসঙ্গিকতা কমছে বলেই মনে করছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। তবে ২০২২ সালে ফেসবুকের ব্যবহার বাড়াতে তিনি এক ‘উদ্ভট’ ধারণা দিয়েছিলেন—সবার বন্ধুতালিকা মুছে ফেলা!
১১ ঘণ্টা আগেবহুল প্রতীক্ষিত জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৬০ সিরিজের গ্রাফিকস কার্ড বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে এনভিডিয়া। এই সিরিজে তিনটি আলাদা মডেল আসছে, যার মধ্যে আরটিএক্স ৫০৬০ টিআই-এর ১৬ জিবি ও ৮ জিবি সংস্করণ আজ থেকেই বিক্রি করা হবে। অন্যদিকে তুলনামূলক সস্তা আরটিএক্স ৫০৬০ (নন-টিআই) মডেলটি আগামী মে মাসে বাজারে আসবে
১২ ঘণ্টা আগে