Ajker Patrika

রোগীর মস্তিষ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল নিউরালিংকের প্রথম চিপ

আপডেট : ১০ মে ২০২৪, ১৪: ৪৪
রোগীর মস্তিষ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল নিউরালিংকের প্রথম চিপ

নোলান্ড আরবারের মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের কয়েক সপ্তাহ পরই চিপটির কিছু তার মস্তিষ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক ব্লগ পোস্টে এই সমস্যার কথা স্বীকার করল ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক। সিএনএনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। 

ব্লগ পোস্টে কোম্পানিটি বলে, চিপের বেশ কয়েকটি সংযোগকারী তার নোল্যান্ড আরবারের মস্তিষ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে ডেটা আদান-প্রদানের গতি ও চিপটির কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়। কোম্পানিটি ঘটনাটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য জানিয়েছে। তবে চিপটিকে আরও সংবেদশীল করে এর কার্যকারিতা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। 

নিউরালিংকের মাইক্রো চিপটিতে ৬৪টি ইলেকট্রোড তারে ১ হাজার ২৪টি ইলেকট্রোড রয়েছে। এসব তার সুতার চেয়েও চিকন। তারগুলো মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্কে সংকেত আদান-প্রদান করতে পারে। 

মানব মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো চিপ স্থাপন করে নিউরালিংক। ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আরবারের শরীর কাঁধের নিচ থেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রাইম স্টাডি নামে গবেষণার আওতায় গত জানুয়ারিতে চিপটি পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়। প্রাইম স্টাডির বিস্তারিত রূপ হলো—প্রিসাইজ রোবোটিক্যালি ইমপ্ল্যান্টেড ব্রেইন–কম্পিউটার ইন্টারফেস। 

 ২০২৩ সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বাছাই প্রক্রিয়ার সময় নিউরালিংক বলে, চিপ ও সার্জিকাল রোবটের নিরাপত্তা এবং ডিভাইসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এই গবেষণা করা হবে। 

চলাফেলার জন্য মস্তিষ্কের যে অংশ দায়ী, সেই অংশে এই চিপ স্থাপন করা হবে। রোবটের মাধ্যমে চিপটি স্থাপন করা হয়। আর মস্তিষ্কের বিভিন্ন সিগন্যাল অ্যাপে পাঠানো হয়। 

নিউরালিংক বলে, চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটারের কারসর ও কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেওয়াই কোম্পানির প্রাথমিক উদ্দেশ্য। 
মস্তিষ্কে চিপ স্থাপনের এক মাস পরে মাস্ক জানান আরবার চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার মাউস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। 

নিউরালিংকের লক্ষ হলো—ইমপ্লান্ট ব্যবহার করে মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করা, উদাহরণস্বরূপ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের স্মার্টফোন বা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে বা অন্ধ ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে এই চিপ সাহায্য করবে। বিদ্যমান ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেসের মতো, কোম্পানির ইমপ্লান্ট মস্তিষ্কের পাঠানো বৈদ্যুতিক সংকেত সংগ্রহ করবে ও তাদের ক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করবে। 

এর আগে মাস্ক বলেন, কোম্পানির তৈরি প্রথম পণ্যটিকে ‘টেলিপ্যাথি’ হিসেবে নামকরণ করা হবে। যারা শরীরে কোনো অঙ্গ হারিয়েছেন তারা এই পণ্য ব্যবহার করতে পারবেন। 

মাস্ক আরও বলেন, একজন টাইপিস্ট বা নিলামকারীর চেয়ে স্টিফেন হকিং মানুষের সঙ্গে দ্রুত যোগযোগ করতে পারে। 

এই প্রযুক্তি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় প্রয়োজন। নিউরালিংকের মস্তিষ্কের চিপগুলো বিস্তৃত বাজারে ছাড়ার আগে নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত