অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনে মামলা করেছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম রেডিট। গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, অ্যানথ্রপিক অবৈধভাবে রেডিটের ১০ কোটিরও বেশি দৈনিক ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
রেডিটের অভিযোগ, অ্যানথ্রপিক অনুমতি না নিয়েই এক লক্ষাধিকবার তাদের সাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেছে বা প্রবেশ করেছে। এতে রেডিটের কনটেন্ট নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ছাড়া, ডেটা ব্যবহারের জন্য কোনো লাইসেন্স চুক্তিতে যেতে অ্যানথ্রপিক অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং রেডিটের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রেডিটের প্রধান আইন কর্মকর্তা বেন লি বলেন, ‘অ্যানথ্রপিকের মতো মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি রেডিটের কনটেন্ট ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলার আয় করে, অথচ আমাদের ব্যবহারকারীদের কোনো সম্মান দেখায় না কিংবা তাদের গোপনীয়তার কোনো তোয়াক্কা করে না। এসব বিষয় আমরা মেনে নিতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এআই কোম্পানিগুলো যেন পরিষ্কার সীমারেখা ছাড়া মানুষের তথ্য ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
অ্যানথ্রপিকের এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তথ্য ব্যবহারের নিয়ম ভাঙার সর্বশেষ উদাহরণ। দীর্ঘদিন ধরেই এসব প্রতিষ্ঠান নানা উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের প্রযুক্তি উন্নত করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তথ্যের এই উন্মুক্ততা কমে আসায় এবং অনেক প্রতিষ্ঠান ডেটা লকডাউন শুরু করায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত রেডিট একটি সামাজিক বার্তা বোর্ড, যেখানে ব্যবহারকারীরা কুকুর থেকে শুরু করে টিভি সিরিজ বা ক্রিপ্টোকারেন্সি—যেকোনো বিষয়েই আলোচনা করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের এই বিপুল কথোপকথনের ভান্ডারকে সম্প্রতি অধিক মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছে রেডিট।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্টিভ হাফম্যান গুগল এবং ওপেনএআইয়ের মতো কোম্পানিগুলোর সঙ্গে লাইসেন্স চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গুগল ও ওপেনএআইয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়, যেখানে রেডিটের প্রকাশ্য তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ফি গ্রহণ করা হয়।
অ্যানথ্রপিক এখন শিল্প খাতের অন্যতম আলোচিত নাম। তাদের তৈরি ‘ক্লদ’ নামক চ্যাটবট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চলতি বছরের মার্চে নতুন এক ফান্ডিং রাউন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৬১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যে পৌঁছায়, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। দারিও আমোডেই এবং তার বোন ড্যানিয়েলা আমোডেই এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত এআই তৈরি।
তবে, রেডিটের অভিযোগ, অ্যানথ্রপিক বারবার ডেটা ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং অবৈধভাবে তাদের তথ্য চুরি করে চলেছে।
এই মামলার রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে তথ্য ব্যবহারের নীতিমালায় বড়সড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিকের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনে মামলা করেছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম রেডিট। গত বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর সুপিরিয়র কোর্টে দায়ের করা এই মামলায় বলা হয়েছে, অ্যানথ্রপিক অবৈধভাবে রেডিটের ১০ কোটিরও বেশি দৈনিক ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবহার করে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
রেডিটের অভিযোগ, অ্যানথ্রপিক অনুমতি না নিয়েই এক লক্ষাধিকবার তাদের সাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেছে বা প্রবেশ করেছে। এতে রেডিটের কনটেন্ট নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ছাড়া, ডেটা ব্যবহারের জন্য কোনো লাইসেন্স চুক্তিতে যেতে অ্যানথ্রপিক অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং রেডিটের ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রেডিটের প্রধান আইন কর্মকর্তা বেন লি বলেন, ‘অ্যানথ্রপিকের মতো মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানগুলো যদি রেডিটের কনটেন্ট ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলার আয় করে, অথচ আমাদের ব্যবহারকারীদের কোনো সম্মান দেখায় না কিংবা তাদের গোপনীয়তার কোনো তোয়াক্কা করে না। এসব বিষয় আমরা মেনে নিতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এআই কোম্পানিগুলো যেন পরিষ্কার সীমারেখা ছাড়া মানুষের তথ্য ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
অ্যানথ্রপিকের এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তথ্য ব্যবহারের নিয়ম ভাঙার সর্বশেষ উদাহরণ। দীর্ঘদিন ধরেই এসব প্রতিষ্ঠান নানা উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের প্রযুক্তি উন্নত করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তথ্যের এই উন্মুক্ততা কমে আসায় এবং অনেক প্রতিষ্ঠান ডেটা লকডাউন শুরু করায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত রেডিট একটি সামাজিক বার্তা বোর্ড, যেখানে ব্যবহারকারীরা কুকুর থেকে শুরু করে টিভি সিরিজ বা ক্রিপ্টোকারেন্সি—যেকোনো বিষয়েই আলোচনা করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের এই বিপুল কথোপকথনের ভান্ডারকে সম্প্রতি অধিক মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছে রেডিট।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্টিভ হাফম্যান গুগল এবং ওপেনএআইয়ের মতো কোম্পানিগুলোর সঙ্গে লাইসেন্স চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গুগল ও ওপেনএআইয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়, যেখানে রেডিটের প্রকাশ্য তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ফি গ্রহণ করা হয়।
অ্যানথ্রপিক এখন শিল্প খাতের অন্যতম আলোচিত নাম। তাদের তৈরি ‘ক্লদ’ নামক চ্যাটবট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চলতি বছরের মার্চে নতুন এক ফান্ডিং রাউন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৬১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যে পৌঁছায়, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। দারিও আমোডেই এবং তার বোন ড্যানিয়েলা আমোডেই এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত এআই তৈরি।
তবে, রেডিটের অভিযোগ, অ্যানথ্রপিক বারবার ডেটা ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং অবৈধভাবে তাদের তথ্য চুরি করে চলেছে।
এই মামলার রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে তথ্য ব্যবহারের নীতিমালায় বড়সড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
বিশ্বের অন্যতম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি মেটা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। শুধু প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই নয়, বরং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদেরও মূল্যায়ন করবে এআই। মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার–এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ট্র্যাক করে। র্যাডবাউড ইউনিভার্সিটি এবং আইএমডিইএ নেটওয়ার্কসের এক
৭ ঘণ্টা আগেআমরা প্রতিদিন অসংখ্য ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক দিয়ে থাকি। তবে পরে চাইলে সেই লাইক দেওয়া পোস্টগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ না। প্রিয় কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্যভিত্তিক কনটেন্ট আবার দেখতে চাইলে অনেক সময় খুঁজে পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে ভালো খবর হলো, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি ফিচার রয়েছে
১১ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) কাজে লাগিয়ে তাদের ডেলিভারি এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে আমাজন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করা হচ্ছে।
১ দিন আগে