Ajker Patrika

‘দেশের পতাকা সব সময় এক আবেগের জায়গা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২১, ২১: ৩৮
‘দেশের পতাকা সব সময় এক আবেগের জায়গা’

বাংলাদেশের ছয় অ্যাথলেটের মধ্যে টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পেয়েছেন শুধু তিরন্দাজ রোমান সানা। ২৩ জুলাই অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের পতাকা বহনের কথা ছিল তাঁরই। একই দিনে নিজের ইভেন্ট থাকায় রোমান পতাকা বহন করছেন না।

কমনওয়েলথ গেমসে তিন পদকজয়ী আবদুল্লাহ হেল বাকির হাতেও পতাকা উঠছে না। ‘গ্রেটেস্ট শো অব দি আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে লাল-সবুজ পতাকা বহন করবেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম।

অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের মানুষের চোখ যখন থাকবে তাঁর দিকে, কেমন হবে সেই অনুভূতি? ‘এই অনুভূতি বলার মতো নয়! দেশের পতাকা সব সময় এক আবেগের জায়গা। রাজনীতির মঞ্চে কী সেটা খেলার মাঠে, দেশের পতাকা হাতে নেওয়ার পর অন্যরকম এক অনুভূতি তৈরি হয়’—ফ্রান্স থেকে মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলছিলেন আরিফ।

পরশু যখন আরিফের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন অনুশীলন থেকে মাত্রই ফিরেছেন। অলিম্পিকের পক্ষ থেকে বিশেষ বৃত্তি নিয়ে তিন বছর ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে অনুশীলন করেছেন। গতকালই শেষ হয়েছে সেই বিশেষ বৃত্তির মেয়াদ। আরিফ আজ টোকিওর বিমান ধরবেন, তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ৩০ জুলাই থেকে শুরু হবে আরিফের ইভেন্ট ৫০ মিটার ফ্রি-স্টাইল সাঁতার। কোভিড নিয়ম অনুযায়ী ইভেন্ট শেষ হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়তে হবে অলিম্পিক ভিলেজ।অলিম্পিকের এই নতুন নিয়মে খানিকটা মন খারাপই হয়েছে আরিফের। পরিকল্পনা ছিল ইভেন্ট শেষে সম্ভব হলে আরও কয়েকটা দিন জাপানে থেকে যাওয়া, প্রিয় কোচ সো সোডের সঙ্গে একটা দিন কাটিয়ে আসা। তাঁর ক্যারিয়ারের এতটা পথ আসার পেছনে জাপানি এই কোচের বিশেষ অবদান আছে। আরিফ বললেন, ‘সো সোডে অসাধারণ একজন কোচ ছিলেন। তিনি যদি বাংলাদেশে লম্বা সময় থাকতে পারতেন, সাঁতার থেকে কেউ না কেউ সরাসরি অলিম্পিকে সুযোগ পেত।’

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ফ্রান্সে অনুশীলন করেছেন আরিফ। সেখানকার অনুশীলনে নিজের কতটা উন্নতি দেখছেন আরিফ? অলিম্পিকে নিজের সম্ভাবনাই বা কতটুকু? আরিফের কণ্ঠে অবশ্য হতাশা। বললেন, ‘আমি বলব, এটা খুবই অল্প সময়। ফ্রান্সে একটা অলিম্পিক সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করা হয়। ছোটবেলা থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়। তবু ওরা ফাইনালেও যেতে পারে না। আর আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয় অলিম্পিকের আগেভাগে। বেলজিয়ামের ফুটবল দলটা দেখুন, তাদের ১৪ বছর বয়স থেকে তৈরি করা হচ্ছে। আর আমাদের অনুশীলনের যে ধরন, সেটা এখনো আদিকালের। ইচ্ছে করছে খেলা ছেড়ে ছোট বাচ্চাদের কোচিং করাই!’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত