নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নেমে আসে স্থবিরতা। ফুটবল আর ক্রিকেট বাদে বাকি ৫৩ ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম একেবারে থমকে গেছে। এর মধ্যে গত পরশু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রথমে তিনজন, পরে একসঙ্গে ৪২ সংস্থার সভাপতিদেরই অব্যাহতি দিয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকায় শিগগির নতুন সভাপতি পাচ্ছে না ফেডারেশনগুলো। বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
যদিও বেশির ভাগ ফেডারেশনের চাওয়া, দ্রুত সভাপতি নিয়োগ হোক। যত তাড়াতাড়ি তারা নতুন সভাপতি পাবে, তত দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে পারবে। বিশেষ করে খেলাধুলা, আসন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি এবং দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজগুলোয় গতি ফিরবে। এ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মৌসুম আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সভাপতিরা আমাদের মূল চালিকাশক্তি। এখন সভাপতিই যদি না থাকেন, তাহলে তো আমাদের সমস্যা হবে। আমরা চাই আগের মতো ক্রীড়াঙ্গনের সবকিছু স্বাভাবিক হোক।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তবে ফেডারেশনগুলোয় অন্য সব পদে নির্বাচন হলেও সভাপতি পদে মনোনয়ন দিয়ে আসছে সরকার। গত ১৫ বছরে এমন চিত্রই দেখা যায়। ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া দেশের বাকি ফেডারেশনের সভাপতি সরকার মনোনয়ন দিয়েছে। এই সভাপতি নিয়োগ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ সালের ২২ ধারায় বলা হয়েছে, কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপসিলে বর্ণিত সংস্থার প্রধান হিসাবে একজন সভাপতি থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত অথবা, ক্ষেত্রমত, বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হইবেন।’
মূলত এই ধারা মেনেই সভাপতি নির্বাচন করার কাজটা করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়া বাকি সব ফেডারেশন ও সংস্থাগুলোর সভাপতি তারাই বাছাই করে। সভাপতি সরিয়ে দেওয়ার এখতিয়ারও এই মন্ত্রণালয়ের। জানা গেছে, আগস্টের মাঝামাঝি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতিদের নিয়ে একটা প্রতিবেদন জমা দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের সভাপতি অপসারণ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তারা নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া শুরু করবে। যদিও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ক্রীড়াঙ্গনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি সভাপতি নিয়োগের বিষয়টি দেখছে। তারা যাছাই-বাছাই করার পর আইন মেনে ফেডারেশনগুলোতে নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
মহিউদ্দীন বলেন, ‘এটা (নতুন সভাপতি নিয়োগ) নিয়ে সার্চ কমিটি কাজ করছে। তারা দেখবে।
আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন অনুযায়ী তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
এদিকে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বলেছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ধারী বা দলীয় কাউকে ফেডারেশনের সভাপতি রাখা হবে না, ‘দেখুন আমাদের লক্ষ্যটা পরিষ্কার। আমরাও চাই সুন্দর একটা ক্রীড়াঙ্গন। সে ক্ষেত্রে নতুন সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেলার মানুষ, মাঠের মানুষদেরই গুরুত্ব দেওয়া হবে। কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় মানুষদের স্থান দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নেমে আসে স্থবিরতা। ফুটবল আর ক্রিকেট বাদে বাকি ৫৩ ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম একেবারে থমকে গেছে। এর মধ্যে গত পরশু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় প্রথমে তিনজন, পরে একসঙ্গে ৪২ সংস্থার সভাপতিদেরই অব্যাহতি দিয়েছে। সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকায় শিগগির নতুন সভাপতি পাচ্ছে না ফেডারেশনগুলো। বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
যদিও বেশির ভাগ ফেডারেশনের চাওয়া, দ্রুত সভাপতি নিয়োগ হোক। যত তাড়াতাড়ি তারা নতুন সভাপতি পাবে, তত দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে পারবে। বিশেষ করে খেলাধুলা, আসন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি এবং দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজগুলোয় গতি ফিরবে। এ নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মৌসুম আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সভাপতিরা আমাদের মূল চালিকাশক্তি। এখন সভাপতিই যদি না থাকেন, তাহলে তো আমাদের সমস্যা হবে। আমরা চাই আগের মতো ক্রীড়াঙ্গনের সবকিছু স্বাভাবিক হোক।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তবে ফেডারেশনগুলোয় অন্য সব পদে নির্বাচন হলেও সভাপতি পদে মনোনয়ন দিয়ে আসছে সরকার। গত ১৫ বছরে এমন চিত্রই দেখা যায়। ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া দেশের বাকি ফেডারেশনের সভাপতি সরকার মনোনয়ন দিয়েছে। এই সভাপতি নিয়োগ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ সালের ২২ ধারায় বলা হয়েছে, কতিপয় সংস্থার সভাপতি নিয়োগে সরকারের ক্ষমতা, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, চুক্তি বা আইনি দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তপসিলে বর্ণিত সংস্থার প্রধান হিসাবে একজন সভাপতি থাকিবেন, যিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত অথবা, ক্ষেত্রমত, বিধি মোতাবেক নির্বাচিত হইবেন।’
মূলত এই ধারা মেনেই সভাপতি নির্বাচন করার কাজটা করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়া বাকি সব ফেডারেশন ও সংস্থাগুলোর সভাপতি তারাই বাছাই করে। সভাপতি সরিয়ে দেওয়ার এখতিয়ারও এই মন্ত্রণালয়ের। জানা গেছে, আগস্টের মাঝামাঝি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সভাপতিদের নিয়ে একটা প্রতিবেদন জমা দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের সভাপতি অপসারণ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর তারা নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া শুরু করবে। যদিও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ক্রীড়াঙ্গনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি সভাপতি নিয়োগের বিষয়টি দেখছে। তারা যাছাই-বাছাই করার পর আইন মেনে ফেডারেশনগুলোতে নতুন সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
মহিউদ্দীন বলেন, ‘এটা (নতুন সভাপতি নিয়োগ) নিয়ে সার্চ কমিটি কাজ করছে। তারা দেখবে।
আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন অনুযায়ী তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এখন এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
এদিকে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বলেছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ধারী বা দলীয় কাউকে ফেডারেশনের সভাপতি রাখা হবে না, ‘দেখুন আমাদের লক্ষ্যটা পরিষ্কার। আমরাও চাই সুন্দর একটা ক্রীড়াঙ্গন। সে ক্ষেত্রে নতুন সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেলার মানুষ, মাঠের মানুষদেরই গুরুত্ব দেওয়া হবে। কোনো রাজনৈতিক বা দলীয় মানুষদের স্থান দেওয়া হবে না।’
কিছুদিন আগেই ক্রিকেট ছেড়েছেন নিকোলাস পুরান। এবার ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। একের পর এক এভাবে ক্রিকেটারদের জাতীয় দল ছেড়ে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখছেন না ব্রায়ান লারা। এর জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকেই (সিডব্লুআই) দুষছেন ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেট কিংবদন্তি।
৩৬ মিনিট আগেঅগোছাল ফুটবলের কারণে শুরুতে অচেনা লাগছিল বাংলাদেশকে। কোচ পিটার বাটলারও তাই একাদশে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন ৩১ মিনিটের মধ্যে। জড়তা কাটিয়ে মেয়েরাও খুঁজে পান ছন্দ। ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অক্ষত রাখেন টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকার ধারা।
১ ঘণ্টা আগেম্যাচের শুরু থেকে অপেক্ষা বাংলাদেশ গোল কখন দেবে। কারণ আগের তিন ম্যাচেই প্রথমার্ধে গোলের দেখা পেয়ে যায় পিটার বাটলারের দল। তাও শুরুর দিকে। গোলের দেখা মিলেছে আজও। সেজন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩৩ মিনিট। সেই এক গোলে এগিয়ে ভুটানের বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগেদুজনের শুরুটা হয়েছে একই বছরে। এরপর থেকে তাদের নিয়ে তুলনায় তর্কে বেঁধে যান অনেকেই। এবার সেই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার কাছে। শেন ওয়ার্ন নাকি মুত্তিয়া মুরালিধরণ, তাঁর চোখে কে সেরা? টেস্টে ১১৯৫৩ রান করা লারা অবশ্য ওয়ার্নকেই এগিয়ে রাখলেন। তবে এটাও মুরালির মতো...
৩ ঘণ্টা আগে