ক্রীড়া ডেস্ক
চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
সেই অর্জনের ইতিহাস ১৯০৯ সালের—এক শতাব্দীরও বেশি আগের। তবে আজও গর্বের সঙ্গে সেই খেতাব বহন করে চলে দলটি। কিন্তু কীভাবে কয়লাখনি শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত একটি অপেশাদার দল ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে? চলুন দেখি...
ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ২১ বছর আগেই ১৯০৯ সালে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেন স্যার থমাস লিপটন। যিনি আইস টি’র জনক ও দানবীর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার নামও দেওয়া হয় ‘স্যার থমাস লিপটন ট্রফি’। সেই টুর্নামেন্টে দেশ নয়, লড়াই করেছিল ক্লাবগুলো। ইতালির তুরিন শহরে আয়োজিত টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির সেরা ক্লাবগুলোকে।
জার্মানি পাঠায় তাদের চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্ট, সুইজারল্যান্ড পাঠায় উইন্টারথার, ইতালি পাঠায় তুরিন ও পিয়েমন্তের যৌথ দল। তবে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) টুর্নামেন্টে দল পাঠাতে রাজি হয়নি। তখন লিপটন নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করেন ইংল্যান্ডের নর্দার্ন লিগের একটি দলের সঙ্গে। নানা জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি (ডব্লিউএএফসি)।
এক সময় গুজব ছিল, ‘ডব্লিউএএফসি’ দেখে লিপটনের সেক্রেটারি ভুল করে ‘উলউইচ আর্সেনালের’ বদলে ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় ইতিহাসবিদ মার্টিন কনোলির মতে, ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত বিখ্যাত দল বিশপ অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো কথা ছিল, কিন্তু ভুল করে বা অন্য কারণে ডাক পড়ে ওয়েস্ট অকল্যান্ডের।’
বৈচিত্র্যময় যাত্রা
ওয়েস্ট অকল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে তুরিনে পাড়ি দেন। কেউ কেউ নাকি আসবাবপত্র বিক্রি করে খরচ জোগাড় করেছিলেন। তাদের যাত্রাও বেশ বৈচিত্র্যময়। বাসে ডারলিংটন, ট্রেনে লন্ডন, ফেরিতে ফ্রান্স—সেখান থেকে রওনা হয়ে ইতালির উত্তরে তুরিন।
চ্যাম্পিয়ন
প্রথম ম্যাচেই চমক। জার্মান চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্টকে ২-০ গোলে হারায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। ফাইনালে একই স্কোরে পরাজিত করে সুইস দল উইন্টারথারকে। পুরো টুর্নামেন্টে একটিও গোল হজম করেনি তারা! কনোলির ভাষায়, ‘এটা সম্ভবত ইংরেজ ফুটবলের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য অর্জন। খনি থেকে উঠে আসা ছেলেরা এসে ইউরোপের সেরা দলগুলোকে হারায়—অসাধারণ!’
দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ও ট্রফির চূড়ান্ত মালিক
দুই বছর পর, ১৯১১ সালে, আবারও আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। এবার আরও কঠিন প্রতিপক্ষ তুরিনো ও জুভেন্টাস। ইস্টার সানডেতে ৩-২ গোলে তুরিনোকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় তারা। ফাইনালে ভবিষ্যতের ইউরোপীয় জায়ান্ট জুভেন্টাসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জেতে। এবার ট্রফিটা পুরোপুরিভাবে দিয়ে দেওয়া হয় ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে—চূড়ান্ত মালিকানা তাদেরই।
ট্রফি বিক্রি ও চুরি
কিন্তু জয় ফিরিয়ে আনল না অর্থ। আর্থিক সংকটে পড়া ক্লাবটি ট্রফিটি মাত্র ৪০ পাউন্ডে বিক্রি করে দেয় এক স্থানীয় হোটেল মালিককে। ৪৮ বছর পর, ১৯৬০ সালে, ক্লাব ট্রফিটি ফেরত কিনে নেয় ১০০ পাউন্ডে। সংরক্ষণে রাখা হয়েছিল ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে ওয়ার্কিং মেন্স ক্লাবে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। আজও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নেই। এখন ক্লাবের কাছে রয়েছে একটি অবিকল প্রতিরূপ (রেপ্লিকা)।
এখনো বেঁচে আছে সেই গৌরব
ওয়েস্ট অকল্যান্ডে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন সাইনবোর্ড—‘ওয়েলকাম টু ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে-হোম অব দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কাপ’। অর্থাৎ ‘ (স্বাগতম ওয়েস্ট অকল্যান্ডে, প্রথম বিশ্বকাপের ঘরবাড়ি’। ২০১৩ সালে টাউন গ্রিনে স্থাপন করা হয় একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য—যেখানে আছে খেলোয়াড়দের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ২ লাখ পাউন্ডের বেশি। স্থানীয়দের চাঁদা ও অনুদানে উঠে আসে এই অর্থ। স্থানীয় খেলার মাঠের পাশেই স্থাপন করা হয় ভাস্কর্যটি—সেখানে এখনো ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন ক্লাব তাদের ঘরের ম্যাচ খেলে।
সাবেক কাউন্সিলর রবার্ট ইয়র্ক বলেন, ‘পুরো গ্রাম একসঙ্গে চাঁদা দিয়েছে। এটা শুধু ট্রফি নয়, এটা ছিল আমাদের গর্বের অংশ।’ ইয়র্ক ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার পুনর্গঠনের সময় ওয়েস্ট অকল্যান্ডের কাউন্টি কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি মনে করেন, এই অসাধারণ ক্রীড়া সাফল্য উদ্যাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়ি—স্থানীয় আয়োজন, চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান চেয়ে টাকা তুলি।
গ্রামের সবাই অংশ নেয়, যা প্রমাণ করে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই অর্জন আমাদের কমিউনিটির কাছে।’
যদিও ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই গল্প বিশ্বব্যাপী ১৯৩০ বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়ে মতো বিখ্যাত নয়। তবুও ইয়র্ক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কারা ছিল আসল প্রথম বিশ্বকাপজয়ী তা নিয়ে তার সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি যে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল, এই গল্প কাউন্টি ডারহাম এলাকায় পরিচিত হলেও বাইরের দুনিয়ায় খুব কম মানুষ জানে। অথচ ১৯০৯ সালে নিজেদের অর্থে ইউরোপে গিয়ে খেলে সেই সময়কার সেরা টিমগুলোর বিপক্ষে জিতে আসাটা ছিল দারুণ এক কীর্তি।’
ইতিহাসে অমর
১৯৮২ সালে আইটিভি তৈরি করে ‘এ ক্যাপ্টেনস টেল’—ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক জয়ের গল্প নিয়ে নাট্যধর্মী টেলিফিল্ম। আর ইতিহাসবিদ ও গ্রামবাসীদের জোরালো দাবি, ‘১৯০৯ সালে যে দলটা বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট জিতেছিল, তারা-ই প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’
ইয়র্ক আরও যোগ করেন, ‘তাই যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে—প্রথম বিশ্বকাপ কে জিতেছিল? তুমি নিশ্চিন্তে বলতে পারো—ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি!’
চেলসি ও পিএসজি যখন ক্লাব বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে, তখন কেউ হয়তো কল্পনাও করে না, একসময় এমনই এক খেতাবের জন্য লড়েছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ডারহামের একটি অপেশাদার দল—ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি। ইংল্যান্ডের ফুটবল কাঠামোর নবম স্তরের দলটি আজও ফিফার স্বীকৃত প্রথম ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’।
সেই অর্জনের ইতিহাস ১৯০৯ সালের—এক শতাব্দীরও বেশি আগের। তবে আজও গর্বের সঙ্গে সেই খেতাব বহন করে চলে দলটি। কিন্তু কীভাবে কয়লাখনি শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত একটি অপেশাদার দল ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করল একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে? চলুন দেখি...
ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ২১ বছর আগেই ১৯০৯ সালে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেন স্যার থমাস লিপটন। যিনি আইস টি’র জনক ও দানবীর হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার নামও দেওয়া হয় ‘স্যার থমাস লিপটন ট্রফি’। সেই টুর্নামেন্টে দেশ নয়, লড়াই করেছিল ক্লাবগুলো। ইতালির তুরিন শহরে আয়োজিত টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ইংল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও ইতালির সেরা ক্লাবগুলোকে।
জার্মানি পাঠায় তাদের চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্ট, সুইজারল্যান্ড পাঠায় উইন্টারথার, ইতালি পাঠায় তুরিন ও পিয়েমন্তের যৌথ দল। তবে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) টুর্নামেন্টে দল পাঠাতে রাজি হয়নি। তখন লিপটন নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করেন ইংল্যান্ডের নর্দার্ন লিগের একটি দলের সঙ্গে। নানা জল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন এফসি (ডব্লিউএএফসি)।
এক সময় গুজব ছিল, ‘ডব্লিউএএফসি’ দেখে লিপটনের সেক্রেটারি ভুল করে ‘উলউইচ আর্সেনালের’ বদলে ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় ইতিহাসবিদ মার্টিন কনোলির মতে, ব্যাপারটা এ রকম ছিল না। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত বিখ্যাত দল বিশপ অকল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো কথা ছিল, কিন্তু ভুল করে বা অন্য কারণে ডাক পড়ে ওয়েস্ট অকল্যান্ডের।’
বৈচিত্র্যময় যাত্রা
ওয়েস্ট অকল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে তুরিনে পাড়ি দেন। কেউ কেউ নাকি আসবাবপত্র বিক্রি করে খরচ জোগাড় করেছিলেন। তাদের যাত্রাও বেশ বৈচিত্র্যময়। বাসে ডারলিংটন, ট্রেনে লন্ডন, ফেরিতে ফ্রান্স—সেখান থেকে রওনা হয়ে ইতালির উত্তরে তুরিন।
চ্যাম্পিয়ন
প্রথম ম্যাচেই চমক। জার্মান চ্যাম্পিয়ন স্টুটগার্টকে ২-০ গোলে হারায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। ফাইনালে একই স্কোরে পরাজিত করে সুইস দল উইন্টারথারকে। পুরো টুর্নামেন্টে একটিও গোল হজম করেনি তারা! কনোলির ভাষায়, ‘এটা সম্ভবত ইংরেজ ফুটবলের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য অর্জন। খনি থেকে উঠে আসা ছেলেরা এসে ইউরোপের সেরা দলগুলোকে হারায়—অসাধারণ!’
দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন ও ট্রফির চূড়ান্ত মালিক
দুই বছর পর, ১৯১১ সালে, আবারও আমন্ত্রণ পায় ওয়েস্ট অকল্যান্ড। এবার আরও কঠিন প্রতিপক্ষ তুরিনো ও জুভেন্টাস। ইস্টার সানডেতে ৩-২ গোলে তুরিনোকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় তারা। ফাইনালে ভবিষ্যতের ইউরোপীয় জায়ান্ট জুভেন্টাসকে ৬-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জেতে। এবার ট্রফিটা পুরোপুরিভাবে দিয়ে দেওয়া হয় ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে—চূড়ান্ত মালিকানা তাদেরই।
ট্রফি বিক্রি ও চুরি
কিন্তু জয় ফিরিয়ে আনল না অর্থ। আর্থিক সংকটে পড়া ক্লাবটি ট্রফিটি মাত্র ৪০ পাউন্ডে বিক্রি করে দেয় এক স্থানীয় হোটেল মালিককে। ৪৮ বছর পর, ১৯৬০ সালে, ক্লাব ট্রফিটি ফেরত কিনে নেয় ১০০ পাউন্ডে। সংরক্ষণে রাখা হয়েছিল ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে ওয়ার্কিং মেন্স ক্লাবে। কিন্তু ১৯৯৪ সালের জানুয়ারিতে ট্রফিটি চুরি হয়ে যায়। আজও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নেই। এখন ক্লাবের কাছে রয়েছে একটি অবিকল প্রতিরূপ (রেপ্লিকা)।
এখনো বেঁচে আছে সেই গৌরব
ওয়েস্ট অকল্যান্ডে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন সাইনবোর্ড—‘ওয়েলকাম টু ওয়েস্ট অকল্যান্ডকে-হোম অব দ্য ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড কাপ’। অর্থাৎ ‘ (স্বাগতম ওয়েস্ট অকল্যান্ডে, প্রথম বিশ্বকাপের ঘরবাড়ি’। ২০১৩ সালে টাউন গ্রিনে স্থাপন করা হয় একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য—যেখানে আছে খেলোয়াড়দের ট্রফি উঁচিয়ে ধরার দৃশ্য। এটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ২ লাখ পাউন্ডের বেশি। স্থানীয়দের চাঁদা ও অনুদানে উঠে আসে এই অর্থ। স্থানীয় খেলার মাঠের পাশেই স্থাপন করা হয় ভাস্কর্যটি—সেখানে এখনো ওয়েস্ট অকল্যান্ড টাউন ক্লাব তাদের ঘরের ম্যাচ খেলে।
সাবেক কাউন্সিলর রবার্ট ইয়র্ক বলেন, ‘পুরো গ্রাম একসঙ্গে চাঁদা দিয়েছে। এটা শুধু ট্রফি নয়, এটা ছিল আমাদের গর্বের অংশ।’ ইয়র্ক ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার পুনর্গঠনের সময় ওয়েস্ট অকল্যান্ডের কাউন্টি কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি মনে করেন, এই অসাধারণ ক্রীড়া সাফল্য উদ্যাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুত তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়ি—স্থানীয় আয়োজন, চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন শিল্প সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান চেয়ে টাকা তুলি।
গ্রামের সবাই অংশ নেয়, যা প্রমাণ করে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই অর্জন আমাদের কমিউনিটির কাছে।’
যদিও ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই গল্প বিশ্বব্যাপী ১৯৩০ বিশ্বকাপজয়ী উরুগুয়ে মতো বিখ্যাত নয়। তবুও ইয়র্ক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কারা ছিল আসল প্রথম বিশ্বকাপজয়ী তা নিয়ে তার সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি যে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল, এই গল্প কাউন্টি ডারহাম এলাকায় পরিচিত হলেও বাইরের দুনিয়ায় খুব কম মানুষ জানে। অথচ ১৯০৯ সালে নিজেদের অর্থে ইউরোপে গিয়ে খেলে সেই সময়কার সেরা টিমগুলোর বিপক্ষে জিতে আসাটা ছিল দারুণ এক কীর্তি।’
ইতিহাসে অমর
১৯৮২ সালে আইটিভি তৈরি করে ‘এ ক্যাপ্টেনস টেল’—ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক জয়ের গল্প নিয়ে নাট্যধর্মী টেলিফিল্ম। আর ইতিহাসবিদ ও গ্রামবাসীদের জোরালো দাবি, ‘১৯০৯ সালে যে দলটা বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট জিতেছিল, তারা-ই প্রথম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।’
ইয়র্ক আরও যোগ করেন, ‘তাই যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে—প্রথম বিশ্বকাপ কে জিতেছিল? তুমি নিশ্চিন্তে বলতে পারো—ওয়েস্ট অকল্যান্ড এফসি!’
সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি। মাঠের অবস্থা দেখেই বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার বুঝে যান, তা খেলার অযোগ্য। খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়টি সবার আগে ভাবনায় এল তাঁর। তবু মাঠে নামতে হলো দুই দলকে। প্রথমার্ধ শেষে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
৪ মিনিট আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে গত কয়েক বছরে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ হচ্ছে অনেক বেশি। ক্রিকেটাররা তো বটেই, সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থেকে বাদ যান না কোচেরাও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন নামবে সিরিজ জয়ের লড়াইয়ে, সেই সময়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
২৬ মিনিট আগে১৪.৩ ওভারে ২৭ রানে অলআউট—এমন স্কোরকার্ড দেখে কীইবা বলার থাকে! দলের এমন অবস্থায় অধিনায়কই তো সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান। জ্যামাইকায় গত রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন দলটির অধিনায়ক রস্টন চেজ।
২ ঘণ্টা আগেওয়াসিম জাফর আর মাইকেল ভনের মধ্যে যে দারুণ খুনসুটি রয়েছে, সেটা তো সবারই জানা। আর যখন ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ চলছে, তখন দুজনে কি চুপ করে থাকতে পারেন? লর্ডসে ভারত-ইংল্যান্ড রোমাঞ্চকর টেস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে দুজনের মধ্যে চলেছে মজার গল্প।
৩ ঘণ্টা আগে